এম. পি. বিড়লা তারামণ্ডল
কলকাতার তারামণ্ডল যাদুঘর, ভারত / From Wikipedia, the free encyclopedia
এম. পি. বিড়লা তারামণ্ডল হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের একটি মহাকাশচর্চা কেন্দ্র ও প্ল্যানেটরিয়াম জাদুঘর। এটি সাঁচীর বৌদ্ধ স্তুপের আদলে নির্মিত একটি একতলা ভবনে অবস্থিত।[1] দক্ষিণ কলকাতার জওহরলাল নেহেরু রোডে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, সেন্ট পল'স ক্যাথিড্রাল ও ময়দানের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই প্ল্যানেটরিয়ামটি এশিয়ার বৃহত্তম প্ল্যানেটরিয়াম[2] তথা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্ল্যানেটরিয়াম।[3] উল্লেখ্য, ভারতে আরও দুটি বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম আছে। এগুলি হল বি. এম. বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম (চেন্নাই) ও বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম (হায়দ্রাবাদ)।
স্থাপিত | ১৯৬৩ |
---|---|
অবস্থান | ৯৬, জওহরলাল নেহেরু রোড, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
ধরন | প্ল্যানেটরিয়াম জাদুঘর |
১৯৬৩ সালের ২ জুলাই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এই প্ল্যানেটরিয়ামটি উদ্বোধন করেছিলেন।[4] এই প্ল্যানেটরিয়ামে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নকশা প্রস্তুতের জন্য একটি ইলেকট্রনিকস ল্যাবরেটরি আছে। এছাড়া একটি জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্যালারি এবং চিত্রকলা ও বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মূর্তিও এখানে রয়েছে। এখানে একটি মহাকাশ অবজার্ভেটরি আছে। এই অবজার্ভেটরিতে একটি সেলেস্ট্রন সি-১৪ টেলিস্কোপ ও অন্যান্য যন্ত্র পাতি (যেমন, এসটি৬ ক্যামেরা ও সোলার ফিল্টার) রয়েছে। জনসাধারণ ও ছাত্রদের জন্য জ্যোতিবিজ্ঞান, মহাকাশ-পদার্থবিদ্যা, মহাকাশবিজ্ঞান এবং গ্রহণক্ষত্র সংক্রান্ত গণিতবিদ্যার বিভিন্ন প্রকল্পও এখানে চালু রয়েছে। ৬৮০ জন একসঙ্গে এখানে বসে অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। দৈনিক অনুষ্ঠানগুলি দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় সঞ্চালিত হয়। মাঝে মাঝে ওড়িয়া, তামিল ও গুজরাতি ভাষাতেও অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।[5] ছুটির দিনগুলিতে অতিরিক্ত অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এমএল ডালমিয়া অ্যান্ড কোম্পানি এই প্ল্যানেটরিয়ামটি নির্মাণ করেছিল। এই সংস্থার প্রধান ছিলেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া।
বিড়লা তারামণ্ডলে মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিনামূল্যে একটি কোর্স পড়ানো হয়ে থাকে। এই কোর্সে সাধারণ মানুষকে মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান দান করা হয় এবং পাঠক্রমের শেষে একটি ডিপ্লোমাও দেওয়া হয়। তারামণ্ডল কর্তৃপক্ষ জার্নাল অফ বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম নামে একটি ইংরেজি গবেষণা পত্রিকাও প্রকাশ করে থাকেন। এখানকার একটি ছোটো সেমিনার হলে নিয়মিত মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বক্তৃতার আয়োজন করা হয়ে থাকে।[6][7]