এমআরটি লাইন ৬
ঢাকা মেট্রোরেলের রেলপথ / From Wikipedia, the free encyclopedia
এমআরটি লাইন ৬ ঢাকা মেট্রোরেলের একটি লাইন বা রেলপথ। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এই দ্রুতগামী গণপরিবহন রেলপথটি ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেবা প্রদান করে আসছে। ১৬টি স্টেশন বিশিষ্ট এই রেলপথ সম্পূর্ণরূপে উড়াল যেটি উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু রয়েছে।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন ৬ | |||
---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
অন্য নাম | মেট্রোরেল লাইন-৬ | ||
স্থিতি | সচল | ||
মালিক | সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ | ||
অঞ্চল | বৃহত্তর ঢাকা, বাংলাদেশ | ||
বিরতিস্থল |
| ||
স্টেশন | ১৭ (১৬টি চালু) | ||
মানচিত্রে রং | ■ সবুজ (#006747) | ||
পরিষেবা | |||
ধরন | দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা | ||
ব্যবস্থা | ঢাকা মেট্রোরেল | ||
ট্রেনের সংখ্যা | ১২ | ||
পরিচালক | ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড | ||
ডিপো | দিয়াবাড়ি | ||
রোলিং স্টক | কাওয়াসাকি রেলগাড়ি | ||
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | প্রা. ২,৯০,০০০ | ||
ইতিহাস | |||
নির্মাণকাজ | ২৬ জুন ২০১৬ (2016-06-26) | ||
চালু |
| ||
কারিগরি তথ্য | |||
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ২১.২৬ কিলোমিটার (১৩.২১ মা) (২০.১ কিলোমিটার চালু) | ||
ট্র্যাকসংখ্যা | ২ | ||
বৈশিষ্ট্য | উড়াল | ||
ট্র্যাক গেজ | ১,৪৩৫ মিলিমিটার (৪ ফুট ৮ ১⁄২ ইঞ্চি) আদর্শ গেজ | ||
বিদ্যুতায়ন | ১,৫০০ ভি ডিসি ওভারহেড ক্যাটেনারি | ||
চালন গতি | ১০০ কিমি/ঘ (৬২ মা/ঘ) | ||
সিগন্যালিং | যোগাযোগ ভিত্তিক রেলগাড়ি নিয়ন্ত্রণ | ||
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১৩ মিটার (৪৩ ফু) | ||
|
এই রেলপথ জামিলুর রেজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার পর্যালোচনা কমিটি কর্তৃক ঢাকায় দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা কার্যকর করার প্রস্তাব এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কর্তৃক প্রস্তুতকৃত শহরাঞ্চলীয় পরিবহন গঠন গবেষণার ফলাফল।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই রেলপথের নির্মাণকাজ এর যাত্রাপথের অবস্থান নিয়ে মতভেদ, গুলশান হামলা ও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে একাধিকবার বিলম্বিত হয়। ২০২২ সালে এর প্রথম পর্যায় খুলে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায় উদ্বোধনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রেলপথ চালু করা হয়।
২০২৬ সালের মধ্যে রেলপথটি তৃতীয় পর্যায়ে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কমলাপুর পর্যন্ত সম্পূর্ণ রেলপথ খুলে দেওয়ার পর এর মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২১ কিলোমিটার। ভবিষ্যতে লাইনটি উত্তরে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত করার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের দিক থেকে এটি এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল দ্রুতগামী গণপরিবহন রেলপথ।