Loading AI tools
ব্রিটিশ অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন (ইংরেজি: Emma Charlotte Duerre Watson; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯৯০) একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও মডেল, যিনি এমা ওয়াটসন নামেই বেশি পরিচিত। তিনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে অভিনয় করে সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ওয়াটসন নয় বছর বয়সে এই চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এর আগে তিনি বিদ্যালয়ের মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।[3] ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওয়াটসন হ্যারি পটারকে ঘিরে নির্মিত প্রথম ছয়টি চলচ্চিত্রে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করেন। এসব চলচ্চিত্রে তার সহকর্মী ছিলেন ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ (হ্যারি পটার চরিত্রে ) এবং রুপার্ট গ্রিন্ট ( রন উইসলি চরিত্রে )। এছাড়াও তিনি হ্যারি পটার ধারাবাহিকের শেষ দুটি চলচ্চিত্র হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোসেও অভিনয় করেছেন।[4] হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি এসব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি আয় করেন।[5] ২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মত মডেলিং করেন। এই অভিনেত্রী বর্তমানে ইউএন ওমেনের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন, এর পাশাপাশি তিনি লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।
এমা ওয়াটসন | |
---|---|
Emma Watson | |
জন্ম | এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন[1] এপ্রিল ১৫, ১৯৯০[2] |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ) |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯৯ – বর্তমান |
পুরস্কার | নিচে দেখুন |
স্বাক্ষর | |
২০০৭ সালে ওয়াটসন হ্যারি পটার চলচ্চিত্র ছাড়াও অন্য দুইটি চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা ঘোষণা করেন। একটি হল - শিশু-ঔপন্যাসিক নোয়েল স্ট্রিটফিল্ডের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ব্যালেট সুজ এবং অন্যটি - দ্য টেল অব ডেসপ্যারক্স নামে একটি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র। ব্যালেট সুজ ২০০৭-এর ডিসেম্বরে টেলিভিশনে প্রচারিত হয় যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫.২ মিলিয়ন দর্শক উপভোগ করেন। দ্য টেল অব ডেসপারেক্স নামের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি মার্কিন ঔপন্যাসিক কেট ডিক্যামিলোর একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়। এটি ২০০৮ সালে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী $৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করে।[6][7]
২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এমা ওয়াটসন তার পড়ালেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের কাজেও নিজেকে জড়িত রাখেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।[8]
ওয়াটসন মডেল হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বারবেরি এবং লনকোম।[9][10] ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস ২০১৪ সালে ওয়াটসনকে বর্ষসেরা ব্রিটিশ আর্টিস্ট পুরস্কারে ভূষিত করে।[11] একই বছরে ইউএন ওমেন ওয়াটসনকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত করে। ইউএন ওমেনের হিফরশি প্রচারণায় ওয়াটসন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল - ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো’।[12] এরপর থেকেই তিনি জেন্ডার ইকুয়ালিটি ( লিঙ্গ সমতা ) নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।
১৯৯০ সালের ১৫ এপ্রিল প্যারিসে এমা ওয়াটসন জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জ্যাকলিন লুসবি এবং মাতার নাম ক্রিস ওয়াটসন। তারা উভয়ই ব্রিটিশ আইনজীবী।[13][14] এমা ওয়াটসনের একজন ফরাসী দাদি রয়েছেন,[15] ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ওয়াটসন প্যারিসে বসবাস করেন। পরবর্তীতে এমা ওয়াটসনের বাবা-মায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ হলে তিনি তার মা এবং ছোট ভাইসহ যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারে স্থানান্তরিত হন।[13] ছয় বছর বয়স থেকে ওয়াটসন অভিনেত্রী হতে চাইতেন।[16] স্টেজকোচ থিয়েটার আর্টসের অক্সফোর্ড শাখায় তিনি বেশ কয়েক বছর সঙ্গীত, নৃত্য ও অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন।[17] দশ বছর বয়সের মধ্যে তিনি স্টেজকোচের বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আর্থার: দ্য ইয়ং ইয়ার্স এবং দ্য হ্যাপি প্রিন্স।[18] কিন্তু হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পূর্ব পর্যন্ত তিনি কখনো পেশাগতভাবে অভিনয় করেননি। একটি সাময়িকীতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ওয়াটসন বলেছেন, “হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের ব্যপ্তিকাল সম্পর্কে পূর্বে আমার ধারণা ছিল না, যদি থাকত তবে আমি অত্যন্ত বিস্মিত হতাম।”[19]
ওয়াটসনের বিবাহ-বিচ্ছেদপ্রাপ্ত মা ও বাবা প্রত্যকেই ইতোমধ্যে তাদের নতুন দাম্পত্য অংশীদার জুটিয়ে ফেলেন। ওয়াটসনের বাবার ‘টোবি’ নামে একটি পুত্র সন্তান এবং দুইজন জমজ কন্যা সন্তান হয়। কন্যা সন্তানদ্বয়ের একজনের নাম ‘নিনা’ ও অন্যজনের ‘লুসি’।[20] ওয়াটসনের মায়ের আবার দুইটি পুত্র সন্তান হয়। তারা (ওয়াটসনের সৎ ভাতৃদ্বয়) প্রায়ই ওয়াটসনের সাথে একত্রে থাকেন।[21] ওয়াটসনের আপন ভাই, ‘আলেকজান্ডার’ অতিরিক্ত অভিনেতা হিসেবে হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের দুইটি চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হয়েছেন।[22] এছাড়া ওয়াটসনের সৎ দুইবোনও বিবিসিতে প্রচারিত ব্যালেট সুজ-এ পলিন ফসিলের চরিত্রে অভিনয় করেন।[20]
মা ও ছোট ভাইসহ অক্সফোর্ডে স্থানান্তরের পর ওয়াটসন ড্রাগন স্কুলে ২০০৩ এর জুন পর্যন্ত পড়ালেখা করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি হেডিংটন স্কুলে ভর্তি হন। হেডিংটন স্কুলটি শুধু ছাত্রীদের জন্য পরিচালিত একটি স্বায়ত্বশাসিত বিদ্যালয়, এটিও অক্সফোর্ডে অবস্থিত।[13] চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের সময় ওয়াটসন ও তার সহ-অভিনেতাগণ দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত পড়ালেখা করার সুযোগ পেতেন।[23] চলচ্চিত্রে অধিক সময় ব্যয় করলেও ওয়াটসন ভাল ফলাফল অব্যাহত রেখেছিলেন। ২০০৬ এর জুনে ওয়াটসন জিসিএসই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এতে তিনি ১০টি পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে আটটিতে ‘এ*’ এবং দুইটিতে ‘এ’ গ্রেড অর্জন করেন।[13][24] জিসিএসই পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্যে হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রে অভিনয় সেটে তাকে নিয়ে সবাই ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করতো। ২০০৮ সালের এ লেভেল পরীক্ষাতে ওয়াটসন ইংরেজি সাহিত্য, ভূগোল ও মানবিকে ‘এ’ গ্রেড অর্জন করেন।[25] ২০০৭ সালে এএস (অ্যাডভান্সড সাবসিডিয়ারি) পরীক্ষাতে তিনি মানবিক ইতিহাস বিষয়েও ‘এ’ গ্রেড অর্জন করেন।[13]
বিদ্যালয় ছাড়ার পর ওয়াটসন ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারিতে[26] হ্যারি পটার আন্ড দ্য দেথলি হ্যালোস এ অভিনয়ের জন্য এক বছরের শিক্ষাবিরতি নেন।[25] কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল ঐ সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার।[27] বিভিন্ন উৎস হতে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি নিশ্চিতভাবে ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ;[28] কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়;[29][30][31] ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় বা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করবেন।[32] তবে ওয়াটসন এ ব্যাপারে জনসমক্ষে কোন মন্তব্য করতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি আরো বলেন যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন।[33] ২০০৯ এর জুলাইয়ে জোনাথন রস এবং ডেভিড লেটারম্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াটসন বলেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে লিবারেল আর্টস বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।[1] তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বিদ্যালয়ে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি। এছাড়া ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচী বৈচিত্র্যময় ও বিস্তৃত হওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেন।[34] ২০০৯ এর জুলাইয়ে ওয়াটসনকে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত গুজব ছড়ায়।[35] দ্য প্রভিডেন্স জার্নাল খবরে প্রকাশ করে যে, অনিচ্ছাসত্ত্বেও ওয়াটসন রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সে অবস্থিত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছেন।[36][37] কিন্তু সাক্ষাৎকারে ওয়াটসন তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে কিছু বলেননি। এদিকে ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরপরই হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স মুক্তি পাবে বলে নির্ধারিত হয়েছে।[38] ওয়াটসন বলেন, “আমি স্বাভাবিক থাকতে চাই...শিক্ষা গ্রহণ অন্যান্যদের মতই আমি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে চাই। যতক্ষণ না পর্যন্ত হ্যারি পটার-এর পোস্টার সর্বত্র দেখতে পাই, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি স্বাভাবিক থাকবো।“[37]
২০১১ সালের মার্চে, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ মাস অধ্যয়নের পর ওয়াটসন বলেন যে তিনি একটি বা দুইটি সেমিস্টারের জন্য শিক্ষাগ্রহণ স্থগিত রাখবেন।[39] তিনি অবশ্য এ সময় ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরচেস্টার কলেজে অস্থায়ী শিক্ষার্থী হিসেবেও অধ্যয়ন করেন।[40] ওয়াটসন পরবর্তীকালে বলেছেন যে, তার চার বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর সময় লেগেছে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে, কারণ তিনি দুইটি সেমিস্টারে বিরতি নিয়ে অভিনয়ের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন।[41] ২০১৪ সালের ২৫ মে ওয়াটসন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।[8] ২০১৩ সালে ওয়াটসন যোগ ও ধ্যান শিক্ষায় সনদ লাভ করেন।[42]
১৯৯৯ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোনের চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছিল। নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ডের স্টেজকোচ থিয়েটার আর্টসের এক শিক্ষকের মাধ্যমে এমা ওয়াটসনের খোঁজ পায়।[16] তারা ওয়াটসনের আত্মবিশ্বাসে অভিভূত হয়ে যান। আটবার অডিশনের পর[34] চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ডেভিড হেম্যান বলেন যে, ওয়াটসন এবং তার সহকর্মী অভিনেতা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ ও রুপার্ট গ্রিন্ট যথাক্রমে হারমায়োনি গ্রেঞ্জার, হ্যারি পটার ও রন উইজলি চরিত্রে অভিনয় করবে। জে কে রাউলিং ওয়াটসনকে তার প্রথম যোগ্যতা পরীক্ষাতেই সমর্থন করেছিলেন।[16]
২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন ছিল এমা ওয়াটসনের প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি মুক্তি লাভের প্রথম দিনেই অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করে এবং এটি ২০০১ এর সর্বাধিক সফল চলচ্চিত্রে পরিণত হয়।[43][44] সমালোচকগণ চলচ্চিত্রটির তিন প্রধান অভিনেতা-অভিনেত্রীর উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। এছাড়াও তারা এমা ওয়াটসনের অভিনয়ের বিশেষ প্রশংসা করেন। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ তার অভিনয়কে “প্রশংসনীয়” আখ্যায়িত করে[45] এবং আইজিএন উল্লেখ করেছে, “তার অভিনয় ছিল সবচেয়ে নজরকাড়া”।[46] এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ওয়াটসন পাঁচটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং ইয়ং আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।[47]
এক বছর পর ওয়াটসন আবার হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটসে অভিনয় করেন। এটি হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। যদিও চলচ্চিত্রটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে, পর্যালোচকগণ প্রধান অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনয়ের ব্যাপারে প্রশংসা করেন। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ওয়াটসন এবং তার সহকর্মীদের ব্যাপারে বলেছে যে, তারা পূর্বের তুলনায় অধিক পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন।[48] এদিকে দ্য টাইমস, চলচ্চিত্রটির পরিচালক ক্রিস কলম্বাসকে সমালোচনা করে বলেছে, চলচ্চিত্রে ওয়াটসনের জনপ্রিয় চরিত্রকে যথাযোগ্যভাবে মর্যাদা দেওয়া হয়নি।[49] ওয়াটসনের এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জার্মান সাময়িকী ব্র্যাভো তাকে ‘অটো অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত করে।[50]
২০০৪ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এমা ওয়াটসনের প্রশংসা করা হয় এবং বলা হয়, তার চরিত্রটি “মনোমুগ্ধকর” এবং “অভিনয়ের জন্য একটি দারুণ চরিত্র”।[51] সমালোচকগণ র্যাডক্লিফের অভিনয়কে কদর্য বলে আখ্যায়িত করলেও ওয়াটসনের অভিনয়ের প্রশংসা করেছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ওয়াটসনের অভিনয়ের গুণকীর্তন করে বলেছে, “চলচ্চিত্রটিতে র্যাডক্লিফের অভিনয়ের নমনীয়তা ও ওয়াটসনের চাঞ্চল্যকে চমৎকারভাবে সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। তবে হারমায়োনি চরিত্রটি সবচেয়ে বেশি সাধুবাদ অর্জন করেছে।“[52] যদিও প্রিজনার অব আজকাবান হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের সবচেয়ে কম ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনকারী চলচ্চিত্র, কিন্তু এতে ওয়াটসনের ব্যক্তিগত অভিনয় তাকে দুইটি পুরস্কার অটো অ্যাওয়ার্ড এবং টোটাল ফিল্ম ম্যাগাজিনের চাইল্ড পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার এনে দিয়েছে।[53][54][55]
২০০৫ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার মুক্তি লাভের ফলে এমা ওয়াটসন এবং হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্র - উভয়ই নতুন মাইলফলক অর্জন করে। মুক্তি লাভের প্রথম সপ্তাহেই চলচ্চিত্রটি রেকর্ড ভঙ্গ করে। সমালোচকগণ ওয়াটসন ও তার সহ-অভিনেতাদের ক্রমাগত পরিপক্কতার প্রশংসা করেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ওয়াটসনকে ‘অতি আন্তরিক’ বলে অভিহিত করে।[56] ওয়াটসন ও তার প্রধান দুই সহ-অভিনেতাদের পরিপক্কতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ওয়াটসন বলেছেন, “আমি সমস্ত তর্ক-বিতর্ক পছন্দ করতাম...আমি মনে করি এটা অনেক বেশি বাস্তবধর্মী যে তাঁরা তর্ক করবে এবং এক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে।”[57] এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ওয়াটসন তিনটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং ব্রোঞ্জ অটো অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।[58][59][60] পরবর্তীতে ওয়াটসন সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তি হিসেবে টিন ভগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে উপস্থিত হন।[61] ২০০৬ সালে ওয়াটসন বাকিংহাম প্রাসাদে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত হ্যারি পটারের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণে হারমায়োনির ভূমিকায় অভিনয় করেন।[62]
হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের পঞ্চম চলচ্চিত্র হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স ২০০৭ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বহুল পরিমাণে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করে। অবমুক্তির প্রথম সপ্তাহেই চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী $৩৩২.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[63] এই চলচ্চিত্রে সবচেয়ে উত্তম নারী অভিনেত্রী হিসেবে এমা ওয়াটসন ন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।[64] ওয়াটসন ও হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের খ্যাতি ক্রমশঃই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০০৭ সালের ৯ জুলাই ওয়াটসন, ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ ও রুপার্ট গ্রিন্ট গ্র্যাউম্যান চাইনিজ থিয়েটারে তাদের হাত, পা ও জাদুদণ্ডের ছাপ মুদ্রিত করে।[65]
অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স এর সাফল্য সত্ত্বেও হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ সন্দিহান হয়ে পড়ে। প্রধান তিন অভিনেতা-অভিনেত্রীই ধারাবাহিকের শেষ দুইটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তির ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অনুভব করতে থাকেন।[66] র্যাডক্লিফ অবশেষে ২০০৭ এর ২ মার্চে চুক্তি করেন।[66] কিন্তু ওয়াটসন তুলনামূলকভাবে অধিক দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।[67] তিনি বলেন যে, সিদ্ধান্তটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এই চুক্তির ফলে পরবর্তী চার বছর ধরে তাকে দুইটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সময় দিতে হবে। অবশেষে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি বাকি দুইটি চলচ্চিত্রে হারমায়োনির চরিত্রে অভিনয় করবেন।[68] ২৩ মার্চ ২০০৭ তারিখে ওয়াটসন চুক্তি করেন।[69] এই দুইটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ওয়াটসনের পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করে ২ মিলিয়ন পাউন্ডে উপনীত করা হয়।[70] ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের ষষ্ঠ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ ২০০৭ এর শেষের দিকে শুরু হয়। ওয়াটসন ২০০৮ এর ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১৭ মে পর্যন্ত এই চলচ্চিত্রের অভিনয়ের কাজ করেন।[71][72]
হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্সের প্রথম অভিনয় শুরু হয় ১৫ জুলাই ২০০৯ তারিখে।[73] তবে এর কার্যক্রম ২০০৮ এর নভেম্বরে শুরু হবার কথা ছিল।[74] এ সময়ে প্রধান তিন অভিনেতা-অভিনেত্রীই তাদের বয়ঃসন্ধিকালের শেষ পর্যায়ে উপনীত হন। সমালোচকগণ চলচ্চিত্রটির পর্যালোচনার জন্য ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস এই চলচ্চিত্রকে “যুক্তরাজ্যের সমকালীন অভিনয়ের সর্বাঙ্গীণ নির্দেশিকা” বলে অভিহিত করে।[75] ওয়াটসন তার সবচেয়ে উত্তম অভিনয়শৈলী এতে প্রদর্শন করবেন বলে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট আশা প্রকাশ করে।[76] দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ প্রধান তিন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্পর্কে বলে, “তারা এখন নব-মুক্তির স্বাদপ্রাপ্ত ও উদ্দীপনাসম্পন্ন। তারা তাদের সর্বোত্তম অভিনয় কুশলতা প্রদর্শন করতে আগ্রহী।“[77]
ওয়াটসনের হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের সর্বশেষ চলচ্চিত্র হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোসে অভিনয়ের কাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ শুরু হয়ে ১২ জুন ২০১০-এ শেষ হয়।[78][79] আর্থিক ও পাণ্ডুলিপিগত কারণে মূল বইটির কাহিনীকে দুই খণ্ডে বিভক্ত করে দুইটি ভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[26][80] হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস - পার্ট ১ এবং হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস - পার্ট ২ যথাক্রমে নভেম্বর ২০১০ ও জুলাই ২০১১-এ মুক্তি পাবে বলে নির্ধারিত হয়েছিল।[81]
হ্যারি পটার ব্যতীত এমা ওয়াটসনের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হল ব্যালেট সুজ, যা ২০০৭ সালে মুক্তি পায়। ঔপন্যাসিক নোয়েল স্ট্রিটফিল্ড রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়।[82][83] চলচ্চিত্রটির পরিচালক স্যান্ড্রা গোল্ডব্যাচার মন্তব্য করেছিলেন যে, চলচ্চিত্রের উচ্চাকাঙ্খী অভিনেত্রী পলিন ফিসেলের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ওয়াটসন “অত্যন্ত উপযুক্ত”; “সে তীব্র, সূক্ষ্ম মনোভাবের অধিকারী।“[84] চলচ্চিত্রটি ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়। সমালোচকদের পর্যালোচনায় এটি নিন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৫.৭ মিলিয়ন দর্শক চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।[85][86][87][88][89]
ওয়াটসন অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র দ্য টেল অব ডেসপ্যারক্সে প্রিন্সেস পী-এর চরিত্রে কন্ঠ দিয়েছেন। ম্যাথু ব্রডরিক অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এটি ২০০৮ এর ডিসেম্বরে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[90] ২০০৮ এর এপ্রিলে এমা ওয়াটসন নেপোলিয়ন এন্ড বেটসি নামক চলচ্চিত্রে “বেটসি” বোনাপার্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলে গুজব ছড়ায়। কিন্তু তার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হয় যে, এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে ওয়াটসন কোন আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেননি এবং চলচ্চিত্রটি প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে।[91][92][93] তবে বাস্তব জীবনে ওয়াটসন চলচ্চিত্রে বা টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পরিবর্তে পড়ালেখার প্রতি অধিক মনোযোগী হন।[27]
২০১০ সালের মে মাসে ওয়াটসন দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন বলে খবরে প্রকাশিত হয়।[94] ওয়ান নাইট অনলি ব্যান্ডের প্রধান গায়ক জর্জ ক্রেইগের সাথে সাক্ষাতের পর একই মাসে তিনি ঘোষণা দেন যে, ব্যান্ডটির একটি মিউজিক ভিডিওতে তিনি অংশ নেবেন। হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রে জড়িত হবার পর একটি গীতিধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয়েরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ওয়াটসন।[95] ওয়াটসন অভিনীত “সে ইউ ডোন্ট ওয়ান্ট ইট” শীর্ষক মিউজিক ভিডিওটি ২০১০ এর ২৬ জুনে চ্যানেল ৪-এ প্রথম প্রচারিত হয় এবং ১৬ আগস্টে অবমুক্ত হয়।[96]
২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র দ্য ব্লিং রিংয়ে এমা ওয়াটসন ‘নিকি’ ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি একটি বাস্তব ডাকাতি ঘটনার কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করলেও সমালোচকগণ ওয়াটসনের অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আরেকটি কমেডি চলচ্চিত্র দিস ইজ দি ইন্ডে ওয়াটসন অভিনয় করেন। এখানে ওয়াটসন নিজ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
২০১২ সালের জুনে ড্যারেন আরোনোফস্কি পরিচালিত নূহ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে ওয়াটসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এটি ২০১৪ সালের মার্চে মুক্তি পায়। বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট চলচ্চিত্রটির গিলের্মো দেল টরো সংস্করণে অভিনয়ের ব্যাপারে ওয়াটসনের কথাবার্তা হয়। ২০১৩ সালের মার্চে ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের সিন্ডারেলা নামক চলচ্চিত্রের ‘টিটুলার’ নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন বলে ওয়াটসন জানান। কেনেথ ব্র্যানাগ এটি পরিচালনা করবেন বলে জানা যায় এবং কেট ব্ল্যানচেট চলচ্চিত্রটিতে সৎ মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন বলে খবরে প্রকাশিত হয়। ওয়াটসনকেও এই ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়, কিন্তু তিনি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
২০১২ সালের চলচ্চিত্র ইউর ভয়েস ইন মাই হেড-এ এমা ওয়াটসন অভিনয় করেন। এটি নির্মাণে হ্যারি পটার ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের পরিচালক ডেভিড ইয়েটসও জড়িত ছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে জানা যায় যে, ওয়াটসন চলচ্চিত্রটির শ্রেষ্ঠাংশে এমা ফরেস্ট ভূমিকায় থাকবেন না। বরং এমিলি ব্লান্ট নামের চরিত্রটিতে অভিনয় করবেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ জানা যায় যে, ওয়াটসন আবার এমা ফরেস্ট ভূমিকায় অভিনয় করছেন এবং চলচ্চিত্রটির কাজ নভেম্বরে শুরু হবে। তবে ঐ সময় পরিচালক ফ্রান্সেসকা গ্রেগরিনি চলচ্চিত্রটির পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
২০১৩ সালের জুনে জানা যায় যে, ওয়াটসন, হ্যারি পটারের নির্মাতা ডেভিড হেয়ম্যানের কুইন অব দ্য টিয়ার্লিংয়ে অভিনয় করবেন। এটি একটি বইয়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হবে। ওয়াটসন চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করবেন এবং এর মূল চরিত্র কেলসি গ্লেন-এর ভূমিকায় অভিনয় করবেন। ওয়ার্নার ব্রস. চলচ্চিত্রটি বাজারজাত করবে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে খবরে প্রকাশিত হয় যে, ওয়াটসন হোয়াইল উই আর ইয়াং নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন। এটি অ্যাডিনা হেলপার্নের ২০১০ সালে প্রকাশিত একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হবে। চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনীতে দেখা যায় যে, তাতে একজন দাদি তার কন্যার চেয়ে নাতনীর সাথে বেশি সময় কাটাতে ব্যস্ত রয়েছেন। ওয়াটসন অভিনীত দ্য পার্ক্স অব বিয়িং আ ওয়ালফ্লাওয়ার চলচ্চিত্রটির পরিচালকই এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন।
মার্কিন সাময়িকী জিকিউ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াটসনকে ওমেন অব দ্য ইয়ার খেতাবে ভূষিত করে।[97] ঐ বছরে প্রায় ৫০০০০ চলচ্চিত্র ভক্তদের ভোটে ওয়াটসন ২০১৩ সালের সর্বাধিক জনপ্রিয় যৌন আবেদনময়ী তারকা হিসেবে নির্বাচিত হন। এই জরিপে ওয়াটসন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন ও জেনিফার লরেন্সকে পরাজিত করে এই খেতাব অর্জন করেন।[98]
ওয়াটসন ২০১৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্রিটানিয়া অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন। এ বছরেই ওয়াটসন ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস প্রদত্ত ব্রিটিশ আর্টিস্ট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এই পুরস্কারটি ওয়াটসন তার পোষা ইঁদুর মিলিকে উৎসর্গ করেন। ফিলসফার্স স্টোন চলচ্চিত্রের কাহিনীতে ওয়াটসনের এই পোষা ইঁদুরটি মারা যায়।[11] ওয়াটসন ২০১৫ সালে দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, প্রথমটি হল ড্যানিয়েল ব্রুল ও মাইকেল নিকভিস্টের সাথে রোমহর্ষক কলোনিয়া;[99] এবং দ্বিতীয়টি হল ইথান হক ও তার হ্যারি পটার চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের সহশিল্পী ডেভিড থেলিসের সাথে আলেহান্দ্রো আমেনাবারের রিগ্রেসন।[100][101] চলচ্চিত্র দুটি লিখেন নেতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করে।[102][103] এছাড়া তিনি দ্য ভিকার অভ ডিবলি ধারাবাহিকের একটি পর্বে রেভারেন্ড আইরিস চরিত্রে অভিনয় করেন।[104] ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াটসন ঘোষণা দেন যে তিনি অভিনয় থেকে এক বছরের বিরতি নিবেন। তিনি এই সময়টুকু ব্যক্তিগত বিকাশ ও তার নারী অধিকার কাজে ব্যয় করেন।[105]
ওয়াটসন ২০১৭ সালে ডিজনির বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট চলচ্চিত্রে বেল চরিত্রে অভিনয় করেন। বিল কনডন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে বিস্ট চরিত্রে অভিনয় করেন ড্যান স্টিভেন্স।[106] চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে $১.২ বিলিয়ন আয় করে এবং স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডাই-এর পর ২০১৭ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র এবং সর্বকালের ১৪তম সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে। তিনি লভ্যাংশের $৩ মিলিয়ন পান, যার ফলে তার মোট পারিশ্রমিক দাঁড়ায় $১৫ মিলিয়ন।[107] চলচ্চিত্রটি মূলত ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করে, শিকাগো সান-টাইমস-এর রিচার্ড রোপার তার অভিনয় সম্পর্কে লিখেন, "তিনি বেলের মত তেজোদ্দীপ্ত, সাহসী, ও বুদ্ধিমতী।"[108] এই বছর এরপর তিনি টম হ্যাঙ্কসের সাথে ডেভ ইগার্সের দ্য সার্কেল উপন্যাস অবলম্বনে একই নামের চলচ্চিত্রে মে হল্যান্ড চরিত্রে অভিনয় করেন।[109]
২০১৯ সালে ওয়াটসন লুইজা মে অ্যালকটের লিটল উইমেন উপন্যাসের ষষ্ঠ চলচ্চিত্র উপযোগকরণে মেগ মার্চ চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি এমা স্টোনের সময়সূচি বিষয়ক জটিলতার কারণে তার স্থলাভিষিক্ত হন। গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন সার্শা রোনান, ফ্লোরেন্স পাউ, টিমাথি শালামে, লরা ডার্ন ও মেরিল স্ট্রিপ।[110]
ওয়াটসন যতই বয়সে পরিণত হতে থাকেন, ততই তিনি ফ্যাশন অনুরাগী হয়ে ওঠেন। তিনি বলেছেন যে, ফ্যাশনকে তিনি শিল্পসদৃশ মনে করেন এবং এ বিষয়ে তিনি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছিলেন। ২০০৮ এর সেপ্টেম্বরে তিনি একটি ব্লগে উল্লেখ করেন যে, আমি শিল্পের প্রতি বেশি মনোযোগ প্রদান করছি এবং তারচেয়েও বেশি মনোযোগ প্রদান করছি ফ্যাশনের দিকে।[111]
২০০৮ সালে ব্রিটেনে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, ফ্যাশন হাউস চ্যানেলের বিপণন মডেল হিসেবে কিরা নাইটলি’র পরিবর্তে ওয়াটসন অভিনয় করবেন। পরবর্তীতে ওয়াটসন ও নাইটলি উভয়ই স্পষ্টভাবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেন।[112][113] কয়েক মাসের অবিরত গুজব-গুঞ্জনের পর ২০০৯ এর জুনে ওয়াটসন নিশ্চিত করেন যে, তিনি ফ্যাশন হাউস বারবেরির বিপণন মডেল হবেন এবং তাকে নির্ধারিত পারিশ্রমিকের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে।[114][115][116] এরপর ২০১০ সালে বারবারি’র বসন্ত/গ্রীষ্মকালীন প্রচারণায় ছোট ভাই অ্যালেক্স, গায়ক জর্জ ক্রেইগ ও ম্যাট গিলমারের সাথে ওয়াটসন উপস্থিত হন।[22][117]
২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে ওয়াটসন ‘পিপল ট্রি’ নামক একটি ব্র্যান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা ঘোষণা দেন।[118] পিপল ট্রি'র বসন্তকালীন পোশাকসম্ভার তৈরীতে ‘সৃজনশীল উপদেষ্টা’ হিসেবে কাজ করেন তিনি। এসব পোশাক ২০১০ এর ফেব্রুয়ারিতে অবমুক্ত করা হয়।[118][119] এতে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সিটি অব লন্ডনের সমকালীন ফ্যাশনের ধারা ব্যবহৃত হয়।[119][120] দ্য টাইমস এই পোশাকসম্ভারকে “আটপিঠে” অভিহিত করে।[121] এছাড়া ইউ ম্যাগাজিন, হিট, টিন ভগ,[122] কসমোপলিটন, পিপল-সহ বিভিন্ন ট্যাবলয়েডে এসব পোশাক সম্বন্ধে তথ্য প্রচারিত হতে থাকে। তবে এতে কাজ করার জন্য ওয়াটসন কোন পারিশ্রমিক পাননি।[123] তিনি বলেছেন, “মানুষের ক্ষমতায়নে ফ্যাশন একটি দারুণ পন্থা হতে পারে। দরিদ্র মানুষদের অর্থ দান করার চেয়ে তাদেরকে পোশাক তৈরিতে নিযুক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন অধিক ফলপ্রসূ।“[124] তিনি আরো বলেন, “আমি মনে করি, আমার মত তরুণ-তরুণীরা অগ্রসরমান ফ্যাশনকে ঘিরে মানবতাবাদের ব্যাপারে অধিক সচেতন হচ্ছে।“[121] পরবর্তীতে পিপল ট্রি'র শরৎ/শীতকালীন পোশাকসম্ভারের নকশার জন্যেও ওয়াটসন কাজ করেছেন।[125] ২০১০ সালে তিনি পিপল ট্রি'র মুখপাত্র হিসেবে একবার বাংলাদেশে এসে ন্যায্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম সহ গ্রামীণ মহিলা হস্তশিল্পীদের জীবনযাত্রা দেখে গেছেন। রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রামে স্কুলের বাচ্চাদের সাথে সময় কাটিয়েছেন।[126]
২০১৪ ব্রিটিশ ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডস-এ ওয়াটসন বেস্ট ব্রিটিশ স্টাইল পুরস্কার অর্জন করেন। এই প্রতিযোগিতায় ডেভিড বেকহাম, অ্যামাল ক্লুনি এবং কিরা নাইটলি অংশগ্রহণ করেছিলেন।[127]
২০১৪ সালে তার ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তিনি নিজেকে একজন আধ্যাত্মিক সার্বজনীনতাবাদি মনে করেন।[128] এমা ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন ব্যবসায়ী লিও রবিন্টনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন।[129] ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি মার্গারেট হলে ভিজিটিং ফেলো হিসেবে নিযুক্ত হন।[130] নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সক্রিয়বাদি মারাই লারাসিকে তিনি ২০১৮ সালের গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে তার অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন।[131]
এমা মূলত নিউ ইয়র্ক সিটি এবং এবং লন্ডনে তার সময় যাপন করেন।[132] ২০১৩ সালে তিনি যোগ ও ধ্যান শেখানোর জন্য প্রত্যয়িত হয়েছিলেন। এই প্রত্যয়নের অংশ হিসাবে তিনি একটি কানাডীয় প্রকল্পে সপ্তাহব্যাপী ধ্যান কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে "কীভাবে বাসায় নিজের সাথে একা থাকা যায় তা নির্ধারণের জন্য", সেখানের বাসিন্দাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।[133][134] তার এই ধ্যানের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ইলি অস্ট্রেলিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, "অনিশ্চিত ভবিষ্যত মানে হলো নিজের মধ্যে সর্বদা সুরক্ষিত থাকার উপায় খুঁজে বের করা। কারণ আমি কখনও কোনো ভৌত স্থানের উপর নির্ভর করতে পারবো না।"[135]
ওয়াটসনের শখের মধ্যে রয়েছে নৃত্য, সঙ্গীত, ফিল্ড হকি,[18][136] টেনিস, শিল্পকলা[111] এবং তিনি ওয়াইল্ড ট্রাউট ট্রাস্টকে সমর্থন করেন।[137][138][139] নিজেকে কিছুটা নারীবাদী মনে করেন ওয়াটসন।[19][21] ওয়াটসন তার সহকর্মী অভিনেতা জনি ডেপ এবং জুলিয়া রবার্টসের দারুণ ভক্ত।[140]
ওয়াটসন নারী শিক্ষা সম্প্রসারণ ও অধিকার বিষয়ে কাজ করেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ এবং জাম্বিয়া ভ্রমণ করেছেন।[141] ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ওয়াটসনকে ইউএন ওমেনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।[12] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াটসন নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইউএন ওমেনের হিফরশি প্রচারণার স্বপক্ষে এক বক্তৃতায় পুরুষ সমাজকে লিঙ্গ সমতা আনয়নের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান। এই বক্তৃতা দেবার সময় ওয়াটসন সাময়িক স্নায়বিক দুর্বলতা অনুভব করেন। বক্তৃতায় ওয়াটসন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজেও শৈশবে এবং শিক্ষাজীবনে লিঙ্গ অসমতাজনিত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ওয়াটসন তার বক্তৃতায় নারীবাদকে সংজ্ঞায়িত করেন - ‘পুরুষ এবং নারীর সম-অধিকার এবং সুযোগ পাওয়া উচিত বলে যে বিশ্বাস, সেটিই নারীবাদ’।[142] ইউএন শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ওয়াটসন প্রথমবারের মতো উরুগুয়ে ভ্রমণে যান। উরুগুয়েতে এক বক্তৃতায় ওয়াটসন রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।[143]
২০১৪ সালে মিস ফাউন্ডেশন ফর ওমেন অনলাইন জরিপের ভিত্তিতে ওয়াটসনকে বর্ষসেরা নারীবাদী তারকা হিসেবে অভিহিত করে।[144] ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক শীতকালীন সভায় ওয়াটসন লিঙ্গ সমতা বিষয়ে বক্তৃতা উপস্থাপন করেন।[145] আস্কম্যানের “২০১৫ সালের সেরা ৯৯ বিশিষ্ট নারী”র তালিকায় ওয়াটসন শীর্ষ স্থান অধিকার করেন।[146] ২৫ বছর বয়সে পা রাখার পরের দিনই ওয়াটসন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে টাইম ১০০ তালিকার ২৬তম স্থান অধিকার করেন। এটি ছিল ওয়াটসনের জন্য প্রথমবারের মত এই তালিকায় স্থান প্রাপ্তি। এ সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সাবেক সম্পাদক জিল অ্যাব্রামসন নারীবাদের ব্যাপারে ওয়াটসনের সাহসী ভূমিকা এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় পুরুষদেরকে সম্পৃক্ত করার আহ্বানকে উদ্দীপনামূলক বলে উল্লেখ করেন।[147]
বছর | চলচ্চিত্র | চরিত্রের নাম | টীকা |
---|---|---|---|
২০০১ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন | হারমায়োনি গ্রেঞ্জার | |
২০০২ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস | ||
২০০৪ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান | ||
২০০৫ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার | ||
২০০৭ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | ||
২০০৮ | দ্য টেল অব ডেসপ্যারক্স | প্রিন্সেস পী | কন্ঠ প্রদান |
২০০৯ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স | হারমায়োনি গ্রেঞ্জার | |
২০১০ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস - পার্ট ১ | ||
২০১১ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস - পার্ট ২ | ||
মাই উইক উইথ মেরিলিন | লুসি | ||
২০১২ | দ্য পার্ক্স অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | স্যাম | |
২০১৩ | দ্য ব্লিং রিং | নিকি মুর | |
দিস ইজ দ্য এন্ড | নিজ ভূমিকা | ||
২০১৪ | নোয়া | ইলা | |
২০১৫ | কলোনিয়া | লিনা | |
রিগ্রেসন | অ্যাঞ্জেলা গ্রে | ||
২০১৭ | বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট | বেল | |
দ্য সার্কেল | মে হল্যান্ড | ||
২০১৯ | লিটল উইমেন | মেগ মার্চ | |
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | মন্তব্য |
---|---|---|---|
২০০৭ | ব্যালেট শুজ | পওলিন ফসিল | টিভি চলচ্চিত্র |
২০১৫ | দ্য ভিকার অব ডিবলি | রেভেরেন্ড আইরিশ | পর্ব: "দ্য বিশপ অব ডিবলি" |
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | চলচ্চিত্র | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
২০০২ | ইয়ং আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট পারফরম্যান্স ইন এ ফিচার ফিল্ম – লিডিং ইয়ং অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন | বিজয়ী[47] |
২০০২ | অ্যাকাডেমি অব সাইন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি অ্যান্ড হরর ফিল্মস | স্যাটার্ন পুরস্কার | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন | মনোনীত[148] |
২০০২ | এম্পায়ার | এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন | মনোনীত[149] |
২০০২ | অ্যামেরিকান মুভিগোর অ্যাওয়ার্ডস | আউটস্ট্যান্ডিং সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন | মনোনীত[150] |
২০০২ | ইয়ং আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট ইনসেম্বল ইন ফিচার ফিল্ম | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন | মনোনীত[47] |
২০০৩ | অটো অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফিমেল ফিল্ম স্টার (স্টার) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস | বিজয়ী[50] |
২০০৪ | অটো অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফিমেল ফিল্ম স্টার (স্টার) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান | বিজয়ী[53] |
২০০৪ | টোটাল ফিল্ম | চাইল্ড পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান | বিজয়ী[55] |
২০০৪ | ব্রডক্যাস্ট ফিল্ম ক্রিটিক্স অ্যাসোসিয়েশন | বেস্ট ইয়ং অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান | মনোনীত[151] |
২০০৫ | অটো অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফিমেল ফিল্ম স্টার (গোল্ড) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান | বিজয়ী[54] |
২০০৫ | ব্রডক্যাস্ট ফিল্ম ক্রিটিক্স অ্যাসোসিয়েশন | বেস্ট ইয়ং অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার | মনোনীত[59] |
২০০৬ | অটো অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফিমেল ফিল্ম স্টার (ব্রোঞ্জ) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার | বিজয়ী[58] |
২০০৬ | এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট অন-স্ক্রিন টিম | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার | মনোনীত[60] |
২০০৭ | আইটিভি ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট ফিমেল পারফরম্যান্স | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | বিজয়ী[64] |
২০০৭ | নিকেলোডিয়ন কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট মুভি অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | বিজয়ী[152] |
২০০৮ | সনি এরিকসন এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | মনোনীত[153] |
২০০৮ | কন্সটিলেশন অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট ফিমেল পারফরম্যান্স | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | বিজয়ী[154] |
২০০৮ | অটো অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফিমেল ফিল্ম স্টার (গোল্ড) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | বিজয়ী[155] |
২০০৮ | সিফি জেনার অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দি অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | বিজয়ী[156] |
২০০৮ | গ্ল্যামার অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ইউকে টিভি অ্যাক্ট্রেস | ব্যালেট সুজ | মনোনীত[157] |
২০০৯ | স্ক্রিম অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফ্যান্টাসি অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স | মনোনীত |
২০১০ | ন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড | পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স | মনোনীত[158] |
২০১০ | এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ফিমেল পারফরম্যান্স | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স | মনোনীত[159] |
২০১০ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | অ্যাক্ট্রেস ফ্যান্টাসি | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স | মনোনীত[160] |
২০১১ | ক্যাপ্রি আর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ইনসেম্বল কাস্ট অ্যাওয়ার্ড | মাই উইক উইথ মেরিলিন | বিজয়ী |
২০১১ | কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | সেরা চলচ্চিত্র তারকা (অনূর্ধ্ব ২৫) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস | সেরা অভিনেত্রী | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | ন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডস | পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | সেরা নারী পারফরম্যান্স | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট কিস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট ফাইট | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | মনোনীত |
২০১১ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ড ফর সায়েন্স ফিকশন/ফ্যান্টাসি | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | বিজয়ী |
২০১১ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | চয়েস মুভি: লিপকক | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ১ | বিজয়ী |
২০১১ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | চয়েস সামার মুভি: ফিমেল | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | বিজয়ী |
২০১২ | কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | সেরা চলচ্চিত্র তারকা | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | মনোনীত |
২০১২ | পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | ফেভারিট ইনসেম্বল মুভি কাস্ট[161] | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | বিজয়ী |
২০১২ | পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | সেরা চলচ্চিত্র তারকা (অনূর্ধ্ব ২৫) | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | মনোনীত |
২০১২ | নিকেলোডিওন কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | সেরা চলচ্চিত্র তারকা | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | মনোনীত |
২০১২ | স্যাটার্ন অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | মনোনীত |
২০১২ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট ফিমেল পারফরম্যান্স | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | মনোনীত |
২০১২ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট কিস | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | মনোনীত |
২০১২ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট কাস্ট | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস – পর্ব ২ | বিজয়ী |
২০১২ | ফিনিক্স ফিল্ম ক্রিটিক্স সোসাইটি অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট অ্যাক্ট্রেস ইন অ্যা সাপোর্টিং রোল | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | মনোনীত |
২০১২ | সান ডিয়েগো ফিল্ম ক্রিটিক্স সোসাইটি অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | বিজয়ী |
২০১২ | সান ডিয়েগো ফিল্ম ক্রিটিক্স সোসাইটি অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ইনসেম্বল পারফরম্যান্স | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | বিজয়ী |
২০১২ | বোস্টন সোসাইটি অব ফিল্ম ক্রিটিক'স অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | রানার-আপ |
২০১৩ | পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | ফেভারিট ড্রামা মুভি অ্যাক্ট্রেস[162] | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | বিজয়ী |
২০১৩ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট ফিমেল পারফরম্যান্স | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | মনোনীত |
২০১৩ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট কিস | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | মনোনীত |
২০১৩ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | বেস্ট মিউজিক্যাল মোমেন্ট | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | মনোনীত |
২০১৩ | এমটিভি মুভি পুরস্কার | এমমটিভি ট্রেইলব্লেজার অ্যাওয়ার্ড | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | বিজয়ী |
২০১৩ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | অ্যাক্ট্রেস ড্রামা | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | বিজয়ী |
২০১৩ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | মুভি: লিপকক | দ্য পার্কস অব বিয়িং এ ওয়ালফ্লাওয়ার | মনোনীত |
২০১৩ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | চয়েস স্টাইল আইকন | — | মনোনীত |
২০১৪ | পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | ফেভারিট কমেডিক মুভি অ্যাক্ট্রেস[163] | দিস ইজ দ্য ইন্ড | মনোনীত |
২০১৪ | টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস | চয়েস মুভি অ্যাক্ট্রেস: ড্রামা | নূহ | মনোনীত |
২০১৪ | ব্রিটানিয়া অ্যাওয়ার্ডস | ব্রিটিশ আর্টিস্ট অব দ্য ইয়ার | — | বিজয়ী |
২০১৪ | ব্রিটিশ ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডস | বেস্ট ব্রিটিশ স্টাইল[127] | — | বিজয়ী |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.