কালী
হিন্দুধর্মে শক্তির দেবী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কালী (সংস্কৃত: काली) বা কালিকা (সংস্কৃত: कालिका) হলেন একজন হিন্দুধর্মের পরম আরাধ্য দেবী। তিনি দেবী আদিপরাশক্তি বা পার্বতীর একটি রূপ। তাকে মৃত্যু, সময় ও পরিবর্তনের কর্তা বলে মনে করা হয়। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। কেরালা ব্যতীত সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে কালীকে ভগবান শিবের স্ত্রী পার্বতীর রূপ হিসাবে বিশ্বাস করা হয়। কেরালার লোকবিশ্বাস অনুসারে— ভগবান শিবের তৃতীয় নয়ন থেকে রাক্ষসদের ধ্বংস করার জন্য তিনি আবির্ভূতা হন, তাই কেরালায় তাঁকে ভৈরবোপপত্নী মহাকালী বলা হয়।
কালী | |
---|---|
সময়, পরিবর্তন, সৃষ্টি, ধ্বংস ও শক্তির দেবী | |
দশমহাবিদ্যা গোষ্ঠীর সদস্য | |
অন্তর্ভুক্তি | পার্বতী, মহাকালী, দুর্গা, মহাবিদ্যা, দেবী, মহাদেবী |
আবাস | শ্মশানভূমি (তবে ব্যাখ্যা অনুসারে পরিবর্তিত হয়), মণিদ্বীপ |
মন্ত্র | জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তুতে, ওঁ ক্রীং কালিকয়ে নমো নমঃ।
গায়ত্রীː ওঁ কালিকায়ৈ বিদ্মহে শ্মশানবাসিন্যৈ ধীমহি। তন্নো ঘোরে প্রচোদয়াৎ ওঁ।[1] |
অস্ত্র | খড়্গ, ত্রিশূল |
লিঙ্গ | নারী |
উৎসব | কালীপূজা, নবরাত্রি |
সঙ্গী | মহাকাল |
দেবী ভাগবতপুরাণ অনুযায়ী কালীই ব্রহ্মা,বিষ্ঞু ও মহেশ্বর।তিনিই আদি অন্ত। ঋগ্বেদে উল্লেখ করা আছে আদি পরাশক্তি তথা কালীই পরমব্রহ্ম। তিনি শক্তির চূড়ান্ত প্রকাশ এবং সমস্ত জীবের জননী। নির্দোষকে রক্ষা করার জন্য তিনি মন্দকে ধ্বংস করেন। সময়ের সাথে সাথে, কালীকে ভক্তিমূলক আন্দোলন ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের দ্বারা বিভিন্নভাবে দেবী মা, মহাবিশ্বের মা, আদিশক্তি বা পার্বতী হিসাবে পূজা করা হয়।[2][3][4] শাক্ত ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়রাও তাঁকে চূড়ান্ত বাস্তবতা বা ব্রহ্ম হিসেবে পূজা করে।[4] তাঁকে ঐশ্বরিক রক্ষক হিসেবেও দেখা হয় এবং যিনি মোক্ষ বা মুক্তি প্রদান করেন।[2]