কাশ্মীর
ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল / From Wikipedia, the free encyclopedia
কাশ্মীর হল ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরপশ্চিমের একটি অঞ্চল। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত কাশ্মীর শব্দটি ভৌগোলিকভাবে শুধু গিরিরাজ হিমালয় এবং পীর পঞ্জল পর্বতমালার উপত্যকাকে নির্দেশনা করা হতো। আজ কাশ্মীর বলতে বোঝায় একটি বিশাল অঞ্চল যা ভারতীয়-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, পাকিস্তানি-শাসিত গিলগিত-বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর প্রদেশ এবং চীন-শাসিত আকসাই চীন ও ট্রান্স-কারাকোরাম ট্রাক্ট অঞ্চলসমূহ নিয়ে গঠিত।[1][2][3]
১৮২০ সালে মহারাজ রঞ্জিত সিং কাশ্মীরকে শিখ সাম্রাজ্যভুক্তি করে । ১৮৪৬ সালে, প্রথম অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধে শিখদের পরাজয়ের পর এবং অমৃতসর চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই অঞ্চল কেনার পর, জম্মুর রাজা গুলাব সিং কাশ্মীরের নতুন শাসক হন। তার বংশধরদের শাসন, ব্রিটিশ রাজত্বের অধীনে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ভারত ভাগের পর ভারত, পাকিস্তান ও চীন এই তিন দেশই এর কিছু বা সম্পূর্ণ অংশের স্বত্ব দাবী করে, ফলে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের প্রাক্তন রাজকীয় রাজ্যটি একটি বিতর্কিত অঞ্চলে পরিণত হয়।
[১ম সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে কাশ্মীর অঞ্চল হিন্দুধর্ম ও পরে বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে, পরে নবম শতাব্দীতে কাশ্মীর শাইভিবাদের উত্থান ঘটে।[4] ১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলমান শাসক হন এবং সালতিন-ই-কাশ্মীর বা শাহ মীর রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন।[5] কাশ্মীর ১৫৮৬ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, এবং পরে ১৮২০ সাল পর্যন্ত আফগান দুররানি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।[5] এই বছর রঞ্জিত সিঙের নেতৃত্বে শিখরা কাশ্মীর দখল করে।[5] ১৮৪৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে শিখরা পরাজিত হয় এবং জম্মুর রাজা গুলাব সিং অমৃতসর চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই অঞ্চল ক্রয় করে কাশ্মীরের নতুন শাসক হন। তার উত্তরসূরিরা ব্রিটিশদের অধীনে এই অঞ্চলের শাসন করে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পূর্ব পর্যন্ত। ভারত বিভাজনের পর সাবেক ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের এই রাজ্যটি অমীমাংসিত অঞ্চলে পরিণত হয় এবং বর্তমানে এটি তিনটি দেশ কর্তৃক শাসিত হচ্ছে, দেশ তিনটি হল ভারত, পাকিস্তান ও চীন।[1][2]]