কৃষ্ণচন্দ্র রায়
নদিয়া জেলার মহারাজা / From Wikipedia, the free encyclopedia
কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০ – ১৭৮৩) ছিলেন নদিয়ার মহারাজা।[1] বাংলা সাহিত্য, বাংলার সংস্কৃতি ও বাঙালি ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। নদিয়া রাজপরিবারের শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসেবে পরিগণিত। তিনি বিদ্বান, সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। তীব্র রক্ষণশীল রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার রামপ্রসাদ সেন, অন্নদামঙ্গল কাব্য প্রণেতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, হাস্যরসিক গোপাল ভাঁড় প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। অন্নদামঙ্গল কাব্য তাঁর রাজসভার ফরমাসে রচিত হয়। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত তাঁর সময়ে তাঁরই উদ্যোগে ঘটে।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় | |||||
---|---|---|---|---|---|
মহারাজ ও নদীয়ার জমিদার | |||||
নদীয়া জেলার রাজা | |||||
রাজত্ব | ১৭২৮ – ১৭৮৩ | ||||
পূর্বসূরি | রাজা রঘুরাম রায় | ||||
উত্তরসূরি | শিবচন্দ্র রায় | ||||
জন্ম | আনু. ১৭১০ রেউইগ্রাম, নদীয়া রাজ (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) | ||||
মৃত্যু | আনু. ১৭৮৩ (বয়স ৭২–৭৩) নদীয়া রাজ (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) | ||||
| |||||
রাজবংশ | নবদ্বীপ রাজবংশ | ||||
পিতা | রঘুরাম রায় | ||||
ধর্ম | হিন্দু |
কৃষ্ণচন্দ্র রায় ছিলেন একজন কূটকৌশলী ব্যক্তি। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হলে তিনি ইংরেজদের পক্ষ অবলম্বন করেন। পরবর্তী নবাব মীর কাশিমের সময় তাঁকে বন্দী করা হয়। ইংরেজদের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি লাভ করেন। কোম্পানি সরকার তাঁর আনুগত্যের জন্য মহারাজা উপাধিতে ভূষিত করেন।[2]