কোপা আমেরিকা
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল প্রতিযোগিতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
কোপা আমেরিকা (স্পেনীয়: Copa América, বাংলা: আমেরিকা কাপ) অথবা কনমেবল কোপা আমেরিকা (বাংলা: কনমেবল আমেরিকা কাপ) (এছাড়াও স্পেনীয় ভাষায় কাম্পেওনাতো সুদামেরিকানো দে ফুতবল (স্পেনীয়: Campeonato Sudamericano de Fútbol) এবং পর্তুগিজ ভাষায় কোপা সুল-আমেরিকানা দে ফুতেবল (পর্তুগিজ: Copa Sul-Americana de Futebol) নামে পরিচিত) হচ্ছে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (কনমেবল) সদস্যপ্রাপ্ত পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলগুলো প্রতিযোগিতা করে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করে।[1][2][3] এই প্রতিযোগিতাটি ১৯১৬ সালে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হয়। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ নামে পরিচিত ছিল, অতঃপর ১৯৭৫ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তন করা হয়েছে।[4] এটি বর্তমানে চলমান প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক দেখা ফুটবল প্রতিযোগিতা।[1] ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার দলগুলোকেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠিত | ১৯১৬; ১০৮ বছর আগে (1916) |
---|---|
অঞ্চল | দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল) |
দলের সংখ্যা | ১০, ১২ অথবা ১৬ (চূড়ান্ত পর্ব) |
সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা | কোপা সেন্সেনারিও কনমেবল–উয়েফা কাপ অফ চ্যাম্পিয়ন্স |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | আর্জেন্টিনা (১৫তম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | উরুগুয়ে আর্জেন্টিনা (১৫টি শিরোপা) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
১৯৯৩ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতায় সাধারণত ১২টি দল অংশগ্রহণ করে — কনমেবল থেকে ১০টি দল এবং অন্যান্য কনফেডারেশন থেকে অতিরিক্ত ২টি দল। মেক্সিকো ১৯৯৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতিটি আসরে অংশগ্রহণ করেছে, ১৯৯৯ সাল (উক্ত আসরে এএফসি হতে জাপান অংশগ্রহণ করেছিল) এবং ২০১৯ সাল ব্যতীত (উক্ত আসরে এএফসি হতে জাপান এবং কাতার অংশগ্রহণ করেছিল) কনকাকাফ থেকে একটি অতিরিক্ত দল অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিযোগিতার ২০১৬ সালের আসরটি কোপা আমেরিকার ১০০তম বছর পূর্তি উৎযাপন করেছিল, যা কোপা আমেরিকা সেন্সেনারিও নামে পরিচিত; উক্ত আসরে কনমেবল থেকে ১০টি দল ছাড়াও কনকাকাফের ৬টি দল অংশগ্রহণ করেছিল।[5] মেক্সিকোর দুই বার রানার-আপ হওয়া এই প্রতিযোগিতায় কনমেবল বহির্ভূত দলের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য।
১৯১৬ সালে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরের পর থেকে এপর্যন্ত ৪৭টি আসরে সর্বমোট ৮টি জাতীয় দল শিরোপা জয়লাভ করেছে। উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল, যারা এপর্যন্ত ১৫টি করে শিরোপা জয়লাভ করেছে; পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল, যারা ৯টি শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও প্যারাগুয়ে, চিলি ও পেরু ২টি করে এবং কলম্বিয়া ও বলিভিয়া ১টি করে শিরোপা জয়লাভ করেছে। আজ পর্যন্ত, আর্জেন্টিনা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে টানা তিনবার শিরোপা জয়লাভ করেছে; আর্জেন্টিনা ১৯৪৫ এবং ১৯৪৬ সালে টানা দুইবার শিরোপা জয়লাভ করার পর পুনরায় ১৯৪৭ সালে শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনা (যারা ১৯১৬ সালের উদ্বোধনী আসর আয়োজন করেছিল) সর্বাধিক বার (৯ বার) এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র কনমেবল বহির্ভূত দেশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে, যারা ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ১০০তম বছর পূর্তি উৎযাপন করা কোপা আমেরিকা সেন্সেনারিও আয়োজন করেছে। তিন বার (১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ সালে) দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ একত্রে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।
সর্বশেষ আসরটি ২০২১ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে; রিউ দি জানেইরুর মারাকানা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ১৯৯৩ সালের পর প্রথম, এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে পঞ্চদশতম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে।[6][7][8]