ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকা
উইকিমিডিয়া নিবন্ধের তালিকা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল তালিকায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ৭টি ক্রিকেট দলের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ১৯৭৫ সাল থেকে অদ্যাবধি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় বিজয়ী হয়ে ট্রফি জয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছে। সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের এই বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার সূচনা ঘটে।[1] এ ক্রীড়ার বৈশ্বিক পরিচালনা পরিষদ হিসেবে আইসিসি’র সদস্য দেশের পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।[2] চার বছর অন্তর ক্রিকেট বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরটি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়।[3] এতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড দলকে পরাভূত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
বর্তমান ও মূল ট্রফিটি ১৯৯৯ সালে তৈরি করা হয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃপক্ষ ট্রফিটি সংরক্ষণ করেন। বিকল্প একটি ট্রফি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলকে স্থায়ীভাবে প্রদান করা হয়।[4][5]
টেস্ট ক্রিকেটভূক্ত দেশগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৬ সাল থেকে ৩ থেকে ৬টি সহযোগী দেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এখনও পর্যন্ত কোন সহযোগী সদস্যদেশ ফাইনালে খেলতে পারেনি। তবে, কেনিয়া দল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনাল পর্বে খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।[6] অস্ট্রেলিয়া দল প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বাপক্ষা সফলতম দলের মর্যাদা উপভোগ করছে। এ পর্যন্ত দলটি চারবার শিরোপা ও একবার রানার্স-আপ হয়েছে।[7] ধারাবাহিকভাবে দুইবার প্রতিযোগিতা জয় করেছে: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের প্রথম দুই আসরে এবং অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে তিনবার শিরোপা জয় করে। অস্ট্রেলিয়া এগারোটি ফাইনালের মধ্যে ৭টিতে (১৯৭৫, ১৯৮৭, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০১৫) অংশগ্রহণ করে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছেও বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি। ইংল্যান্ড তিনটি ফাইনালের প্রত্যেকটিতে রানার্স-আপ হয়।[8][9] অপরদিকে, নিউজিল্যান্ড একবার রানার্স-আপ হয়। প্রথম তিনটি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা ৬০ ওভারের ছিল। পরবর্তী প্রতিযোগিতাগুলো ৫০ ওভারের অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ২০টি বিভিন্ন দেশ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তন্মধ্যে সাতটি দল প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ও অনুষ্ঠিত দশটি প্রতিযোগিতার শিরোপায় ৫টি দল নিজেদের মধ্য ভাগাভাগি করেছে।[10] ফাইনাল খেলা সাতটি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে একাধিকবার ফাইনাল খেলা আয়োজন করেছে।[11] ভারত একমাত্র দেশ হিসেবে একাধিকবার ভিন্নমাঠে ফাইনাল খেলার আয়োজন করে।