খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ
মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ-এর প্রথম স্ত্রী (৫৫৫—৬২০ খ্রিঃ) / From Wikipedia, the free encyclopedia
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ( আরবি: خَدِيجَة بِنْت خُوَيْلِد, প্রতিবর্ণীকৃত: খাদিজাতু বিনতে খুওয়াইলিদ ; আনু. ৫৫৫ – ৬২০) [3] ছিলেন ইসলামের নবী মোহাম্মাদ সা. এর প্রথম স্ত্রী[4] এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। তিনি সাধারণত খাদিজা বা খাদিজাতুল কুবরা নামে পরিচিত। খাদিজা ছিলেন মক্কার কুরাইশ বংশের নেতা খুওয়ালিদ ইবনে আসাদের কন্যা এবং নিজ প্রচেষ্টায় সফল একজন ধনাঢ্য ও ব্যবসায়ী মহিলা। খাদিজাকে মুসলমানরা উম্মুল মুমিনিন (মুসলমানদের মাতা) বলে উল্লেখ করে থাকেন এবং তাঁর নামের শেষে সম্মান ও প্রার্থনা হিসেবে সালামুল্লাহি আলাইহা (سَلَامُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهِ তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বলে থাকেন।
খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা) | |
---|---|
خديجة (سَلَامُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهِ) | |
জন্ম | খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ৫৫৫[1] খ্রিঃ অথবা ৫৬৭ খ্রিঃ |
মৃত্যু | ১০ রমজান (প্রাচীন আরবি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী)[2] ২২ নভেম্বর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ৬১৯ (বয়স ৬৩–৬৪) অথবা ৬১৯ (বয়স ৫১–৫২) মক্কা |
সমাধি | জান্নাতুল মুয়াল্লা, মক্কা |
অন্যান্য নাম | খাদিজাতুল কুবরা |
পরিচিতির কারণ | ইসলামের নবী মুহাম্মাদের প্রথম স্ত্রী, মুমিনদের মাতা |
উপাধি | উম্মাহাতুল মুমিনীন, আমিরাত-কুরাইশ, আল-তাহিরা |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | পুত্রগণ: ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আতিক, হালাহ ইবনে আবি হালাহ, হিন্দ ইবনে আবি হালাহ, কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ, আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ কন্যাগণ: হিন্দা বিনতে ‘আতিক, জয়নব বিনতে আবি হালাহ, জয়নব বিনতে মুহাম্মাদ, রুকাইয়াহ বিনতে মুহাম্মাদ, উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মাদ, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | নাতিঃ হাসান ইবনে আলী, হোসাইন ইবনে আলী, আব্দুল্লাহ ইবনে উসমান নাতনিঃ উমামা বিনতে আবিল আস, জয়নব বিনতে আলী, উম্মে কুলসুম বিনতে আলী আসাদ বিন আল-উজ্জা (দাদা) হালা বিনতে খুওয়াইলিদ (বোন) ওয়ারাকা ইবনে নওফল (চাচাতো ভাই) |
পরিবার | আহল আল-বাইত (বিবাহের পর) |
তিনি ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহিলা ব্যক্তিত্ব এবং সকল মুসলিম খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতিমা, আসিয়া ও মরিয়ম বিনতে ইমরান এই চারজন নারীকে অত্যন্ত মর্যাদাবান, জান্নাতী রমণী হিসেবে সম্মান করে থাকেন। [5] মুহাম্মাদ সা. পঁচিশ বছর তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় অন্যকোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি।
হোক নবী (সাঃ)-য়ের ভালোবাসা পাওয়া ও তাকে মানসিক প্রশান্তি প্রদান,সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরামর্শ,সম্পদ অর্থবৃত্ত ও সময় দিয়ে ইসলামের খেতমদ ও নবী (সাঃ)-য়ের সহযোগীতা অথবা ৭ জন সন্তান জন্মদান করে নবী সাঃ)-য়ের বংশধরদের পৃথিবীতে আনা সকল ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সর্বগুনে গুনান্বিত সর্বশ্রেষ্ঠ নারী ও নবী (সাঃ) সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী।যেমনটা পরবর্তীকালে আর অন্য কোন স্ত্রীর ক্ষেত্রে দেখা যায় না।খাদিজা (সাঃ)-য়ের প্রতি নবী (সাঃ)-য়ের ভালোবাসা ছিল এমন যে খাদিজার ইন্তেকালের বহু বহু বছর পর পর্যন্ত নবী (সাঃ) উনার কথা বার বার স্বরণ করতেন।এমনকি বাড়িতে ভালো খাদ্য রান্না হলে নবী (সাঃ) তা খাদিজা (সাঃ)-য়ের বান্ধুবীদের বাড়িতে পাঠাতেন।নবী (সাঃ)-য়ের অগাধ ভালোবাসায় উনার বাকি স্ত্রীরা প্রায়ই অভিযোগ করলে তিনি (সাঃ) তাদেরকে খাদিজার বিশেষত্ব ও সকলের উপর তার শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলে থামিয়ে দিতেন।