Loading AI tools
প্রাচীন মিশরের চন্দ্রদেবতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
খোংশু (উচ্চারণান্তরে চোংসু, খেংসু, খোংস্, চোংস্ বা খোংসু) ছিলেন প্রাচীন মিশরের চন্দ্র দেবতা। তার নামের আক্ষরিক অর্থ "পর্যটক"; সম্ভবত প্রতি রাত্রে আকাশের এক ধার থেকে অন্য ধারে চাঁদের ভ্রমণের ব্যাপারটির সাথে সম্পর্কিত। থোথ-এর সাথে যুগ্মভাবে তিনি কাল প্রবাহের গতি নির্ণয় করেন। সমস্ত জীবে জীবন দানের ক্ষেত্রে খোংশুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। থীব্সে দেবী মুত এবং দেবরাজ আমুনের সন্তান হিসেবে তিনি এক দৈব পরিবারের অংশ ছিলেন। কোমওম্বো-তে তিনি সোবেক এবং হাথরের পুত্র হিসেবে পূজিত হতেন।[1]
সাধারণত খোংশুকে শৈশব ও কৈশোরের চিহ্ন পার্শ্ব বিনুনি, মেনাত নেকলেস, রাখালের লাঠি ও শস্য মাড়াই করার লাঠি সমেত চিত্রিত করা হত। হোরাস, শু প্রভৃতি অন্যান্য দেবশিশুদের সাথেও তার সম্পর্ক আছে। কখনও কখনও হোরাসের চিহ্ন বাজপাখির মাথা পরিহিত অবস্থাতেও খোংশুর মূর্তি দেখা যায়। হোরাসের সাথে তিনি রক্ষক এবং নিরাময়কারী হিসেবে পূজিত হতেন। এইরূপে তিনি সূর্যচক্র ও অর্ধচন্দ্র চক্র সংবলিত।[1]
রামেসিদ যুগে কার্নাকে নির্মিত মন্দির প্রাঙ্গনের অধিকাংশই ছিল খোংশুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত।[1] এর একখানি দেওয়ালে খোংশু সৃষ্টির সময় ব্রহ্মান্ডকে বীর্যদানকারী মহাসর্প হিসেবে অঙ্কিত হয়েছেন।[2]
নিরাময়কারী হিসেবে খোংশুর নাম মিশরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। একটি "স্টেলে" বা স্মারক স্তম্ভ থেকে জানা যায় কেমন করে বেখতেনের একজন রাজকন্যা খোংশুর একটা ছবি দেখামাত্র গুরুতর অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন।[3] রাজা চতুর্থ টলেমি একটি অসুখ থেকে সেরে উঠে নিজেকে "মহারাজের রক্ষক ও অশুভ শক্তির অপনেয়ক দেবতা খোংশুর কৃপাধন্য" বলে ঘোষণা করেন।
খোংশুর প্রধান অর্চনা কেন্দ্র ছিল মেম্ফিস, হিবিস ও এদফু-তে।[1]
থীব্সের উত্থানের সময় মুত-এর পুত্র হিসেবে যুদ্ধ দেবতা মোন্থুর জায়গায় ক্রমশ খোংশুর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়, কারণ মুত-এর মন্দিরের পুকুরটি ছিল অর্ধচন্দ্রাকার। আমুন খোংশুকে প্রতিপালন করেছিলেন এই বিশ্বাস জোরদার হয়ে ওঠে, এবং মুত-কে আমুনের স্ত্রী হিসেবে কল্পনা করাও শুরু হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.