Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জালাল উদ্দিন হাক্কানী (পশতু: جلال الدين حقاني, প্রতিবর্ণী. Jalāl al-Dīn Ḥaqqānī : ১৯৩৯–৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮) ছিলেন একজন আফগান বিদ্রোহী কমান্ডার ও মুজাহিদ নেতা,[4][5] যিনি হাক্কানি নেটওয়ার্ক নামে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন,[6] যারা পূর্বে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ও আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে লড়াই করেছিল এবং বর্তমান আফগানিস্তান সরকারের সমর্থনে তারা কাজ করছে।
জালালউদ্দীন হাক্কানী جلال الدين حقاني | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৯[1] পাক্তিয়া প্রদেশ, আফগানিস্তান |
মৃত্যু | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বয়স ৭৮–৭৯)[2] আফগানিস্তান |
সমাধি | |
আনুগত্য | হাক্কানি নেটওয়ার্ক (১৯৭০-২০১৮) তালেবান (১৯৯৫-২০১৮) |
কার্যকাল | ১৯৭০ এর দশক–২০১৮ |
পদমর্যাদা | কমান্ডার |
পরিচিতির কারণ | হাক্কানী নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধ
|
মাতৃশিক্ষায়তন | দারুল উলুম হাক্কানিয়া |
সম্পর্ক | খলিল হক্কানি (ভাই) সিরাজউদ্দীন হাক্কানি (পুত্র) আনাস হাক্কানি (পুত্র) আব্দুল আজিজ হাক্কানি (ছেলে) |
অপারেশন ম্যাজিস্ট্রালসহ সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় ১৯৮০-এর দশক জুড়ে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্পনসরপ্রাপ্ত বিদ্রোহী যোদ্ধা হিসাবে নিজেকে আলাদা করেছিলেন। তিনি মার্কিন প্রশংসা অর্জন করেছিলেন এবং মার্কিন কর্মকর্তারা তাকে "একজন ভালো ব্যক্তি" বলেও অভিহিত করেছিলেন।[7][8] মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধকালীন তিনি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির বা সিআইএ'র একটি অতি মূল্যবান সম্পদ ছিলেন।[9] সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় জালালউদ্দিন হাক্কানিকে একজন "স্বাধীনতার সংগ্রামী" বলে অভিহিত করেন।[10] ২০০৪ সালের দিকে তিনি আফগানিস্তানে একটি পবিত্র যুদ্ধ শুরু করার জন্য তালেবানপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নির্দেশ দেন। ২০১৬ সালে মার্কিন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ডব্লিউ. নিকলসন জুনিয়র দাবি করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো আফগানিস্তানে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও তাদের বিষয়াদিকে লক্ষ্যবস্তু করছে না।[11]
২০১৫ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে মিডিয়া রিপোর্টে উঠে আসে যে, হাক্কানি আগের বছর মারা গেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি আফগানিস্তানে মারা যান এবং আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে তাকে সমাহিত করা হয়।[12] তালেবান ও হাক্কানি পরিবারের কিছু সদস্য এই প্রতিবেদনগুলি অস্বীকার করে।[13][14] ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তালেবানরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ঘোষণা করেছিল যে, হাক্কানি আফগানিস্তানে দীর্ঘ অসুস্থতার পরে মারা গেছেন।
জালালুদ্দিন ১৯৩৯ সালে আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের জাদরান জেলার কারেজগে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খোস্তের জাদরান উপজাতির একজন জাতিগত পশতুন সদস্য ছিলেন। তার পিতা একজন অপেক্ষাকৃত ধনী জমির মালিক ও ব্যবসায়ী ছিলেন। পরে তাদের পরিবারটি সুলতানখেলে চলে আসে।[15] তিনি ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানের দারুল উলূম হাক্কানিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানে দেওবন্দী ইসলামি সেমিনারি বা দারুল উলূমে উন্নত ধর্মীয় অধ্যয়ন শুরু করেন। তিনি ১৯৭০ সালে অন্তত উন্নত যোগ্যতার সাথে স্নাতক হন, যা তাকে মওলাভির মর্যাদার অধিকারী করে[16] এবং তার নামের সাথে 'হাক্কানি' শব্দ যোগ করার অনুমোদন দেয়,[17] যেমন দারুল উলূম হাক্কানিয়ার কিছু প্রাক্তন ছাত্র তাদের নামের শেষে করেছিলেন।[18]
রাজা জহির শাহের নির্বাসন ও ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ দাউদ খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরপর আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। তখন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তানসহ (পিডিপিএ) একাধিক ব্যক্তি দল ক্ষমতা দখল করতে চাইছিল। হাক্কানি তাদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সন্দেহে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে তিনি নির্বাসনে চলে যান এবং পাকিস্তানের মিরানশাহ বা এর আশেপাশে অবস্থান করতে থাকেন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে দাউদ খান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংগঠিত করতে শুরু করেন।[19] পিডিপিএ কর্তৃক ১৯৭৮ সালের মার্কসবাদী বিপ্লবের পর হাক্কানি মাওলাভি মোহাম্মদ ইউনুস খালিসের হিজবে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেন।[20]
১৯৮০– এর দশকে, জালালুদ্দিন হাক্কানিকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) একতরফা সম্পদ হিসাবে গণ্য করা হত এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তার কাজের জন্য ২০০৮ সালে প্রকাশিত স্টিভ কলের বই দ্য বিন লাদেনের অ্যাকাউন্ট অনুসারে তিনি প্রায় কয়েক মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ পান বলে অভিযোগ করা জয়। তিনি অন্যান্য প্রতিরোধ নেতাদের তুলনায় সমৃদ্ধ আরব দেশগুলির থেকে উদার সমর্থন আকর্ষণ করেন।[21] সেই সময়ে হাক্কানি ওসামা বিন লাদেনকে সাহায্য ও রক্ষা করেছিলেন, যিনি সোভিয়েত-সমর্থিত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজের মিলিশিয়া তৈরি করছিলেন।[22] পাকতিয়া প্রদেশের লেক টিগায় ফয়েজ মুহাম্মদ ও অন্য দুই কূটনীতিককে হত্যার জন্যও তার নেতৃত্বাধীন মুজাহিদরা দায়ী ছিল।
প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেসম্যান চার্লি উইলসন, যিনি আফগান জিহাদিদের কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলার সহায়তা করতে সাহায্য করেন, হাক্কানি তাকে এতটাই গ্রহণ করেছিলেন যে, তিনি তাকে 'ভালোভাবে মূর্তমান" বলে উল্লেখ করেছিলেন।[7] চার্লস উইলসন একটি সোভিয়েত হেলিকপ্টারে স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে চেয়েছিলেন। চার্লস উইলসনের যুদ্ধকালীন কল্পনাকে সত্যি করতে পেরে হাক্কানি খুশি ছিলেন। তারা ধুলোর মেঘ তৈরি করতে রাস্তায় চেইন ও টায়ার টেনে নিয়েছিলেন, যা সোভিয়েত হেলিকপ্টারগুলিকে আকর্ষণ করে। যাহোক, সোভিয়েত হেলিকপ্টারগুলির একটিও সেদিন আসেনি এবং চার্লস উইলসন কোনও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম হননি।[23] এই পর্বে মার্কিন কর্মকর্তারা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক যে ধরনের সম্পর্কের ধরন ভাগাভাগি করতেন তা তুলে ধরেন। সোভিয়েত-সমর্থিত আফগানিস্তানকে প্রতিহত করার জন্য তিনি মার্কিন এবং পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিলেন। কিছু সংবাদ মাধ্যম রিপোর্ট করে যে, হাক্কানি এমনকি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এবং সম্ভবত পরিদর্শনও তিনি তা করেন।[24][25][26] যদিও এই ধরনের বৈঠকের অভিযোগকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহৃত ছবিগুলো সন্দেহ জাগায় যে, হাক্কানি কখনো যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কি না।[27][28] আসলে এই সভা দেখানোর জন্য যে ছবিগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো আসলে মোহাম্মদ ইউনুস খালিসের।[29][30][31]
১৯৯১ সালের নাজিবুল্লাহর শাসনামলে, হাক্কানি খোস্ত শহর দখল করে, যা জিহাদিদের হাতে দখলকৃত প্রথম কমিউনিস্ট শহর হয়ে ওঠে।[32] ১৯৯২ সালে মুজাহিদ বাহিনীর হাতে কাবুল পতনের পর তিনি আফগানিস্তান ইসলামি রাষ্ট্রের বিচারমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং ১৯৯০-এর দশকে আফগান দলগুলির মধ্যে যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত শুরু হয়েছিল, তাতে পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন এবং এমন একটি নিরপেক্ষতা যা তাকে অর্জন করেন যা তাকে পরবর্তীতে ব্যাপক সম্মানিত করে।[33]
হাক্কানি তালেবান আন্দোলনের মূল সদস্য ছিলেন না; ১৯৯৫ সালে কাবুলে তালেবানের দখলের ঠিক আগে, তিনি তাদের প্রতি আনুগত্য পরিবর্তন করেন। ১৯৯৬ বা ৯৭ সালে, তিনি কাবুলের উত্তরে একজন তালেবান সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাকে স্থানীয় বিদ্রোহী তাজিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।[34] তালেবান সরকারের সময়, তিনি সীমান্ত ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং পাকতিয়া প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[35]
২০০১ সালের অক্টোবর মাসে হাক্কানিকে তালেবানের সামরিক কমান্ডার হিসেবে মনোনীত করা হয়। ওসামা বিন লাদেনকে তালেবানদের সাথে সম্পর্কে স্থাপনে ত্বরান্বিত করতে তার ভূমিকা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে মার্কিনরা তাকে তালেবানের বিরুদ্ধে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল; তিনি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এ কারণে যে, একজন মুসলিম হিসাবে তার কর্তব্য হল তাদের "কাফের হানাদারদের" হিসাবে প্রতিরোধ করা; যেমনটি তার আগে সোভিয়েত ছিল। [36] খোস্তে তার ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয় এবং সেখানে পরবর্তীতে গুয়ান্তানামো বে'র চারজন বন্দী- আবিব সেরাজুদ্দিন, খান জামান, গুল জামান এবং মোহাম্মদ গুলকে বন্দী করা হয়। কারণ আমেরিকান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রিপোর্ট পেয়েছিলেন যে, তাদের মধ্যে একজন তালেবানের পতনের পরপর হাক্কানিকে সংক্ষিপ্তভাবে আতিথ্য করেছিলেন।[35][37][38][39]
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে হাক্কানিকে লক্ষ্য করে কথিত মার্কিন বিমান হামলার ফলে দশ থেকে তেইশ জনের মৃত্যু হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ডান্ডি দরপা খাইল গ্রামে হাক্কানির বাড়ি ও একটি মাদ্রাসার কাছে আঘাত হানে।[40][41] যদিও মাদ্রাসাটি বন্ধ ছিল এবং হাক্কানি এর আগে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল।[22][41] হাক্কানিকে কাবুলে ২০০৮ সালের ভারতীয় দূতাবাসে বোমা হামলা ও ২০০৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে কাবুল অভিযানে জড়িত থাকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযুক্ত করেছে।[42]
হাক্কানি তার ছেলে সিরাজ উদ্দিনের সাথে যৌথভাবে হাক্কানি নেটওয়ার্কের কমান্ডার ছিলেন এবং[43] এই নেটওয়ার্কটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী এবং আফগানিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি জিহাদ পরিচালনাকারী প্রতিরোধ বাহিনী নিয়ে গঠিত ছিল। ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর ন্যাটো ও আফগান বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে সক্রিয় হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে "অপারেশন নাইফ এজ" চালু করেছিল। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আব্দুল রহিম ওয়ারদাক ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, এই অভিযান "বিদ্রোহীরা সমস্যাগ্রস্ত সীমান্ত বরাবর অঞ্চলে আঘাত করার আগে তাদের নির্মূল করতে সাহায্য করবে"।[44] তিনি, তার পুত্র সিরাজুদ্দিন উভয়ই আত্মঘাতী বোমারু ব্যবহার করার ইরাকি কৌশল গ্রহণকারী প্রথমশ্রেণীর তালেবান ছিলেন বলে মনে করা হয়েছিল এবং তাদের নেটওয়ার্ক অপহরণ, শিরশ্ছেদ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। [45] জালালাবাদের ইয়েলো হাউসে পশতু ভাষার চলচ্চিত্রের অস্ট্রেলিয়ান নির্মাতা জর্জ গিটোস বলেছেন যে, হাক্কানি, যিনি তার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন, ভবিষ্যতে আফগান নির্বাচনে আশরাফ ঘানিকে সমর্থন করতে প্রস্তুত থাকবেন।[46]
হাক্কানি ফারসি,[47] আরবি,[48] উর্দু এবং তার স্থানীয় পশতু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তার দুজন স্ত্রী ছিলেন; একজন পশতুন স্ত্রী ও অপরজন আরব স্ত্রী,[49] যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দা ছিলেন[50] এবং তার পশতুন স্ত্রী থেকে অন্তত সাতটি (যাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়) পুত্র ছিল:
২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তালেবান আফগানিস্তানে একটি অনির্দিষ্ট লাগাতার অসুস্থতায় হাক্কানির মৃত্যু ঘোষণা করে টুইটারের মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাকে আফগানিস্তানে সমাহিত করা হয়।[8][64]
সামরিক দপ্তর | ||
---|---|---|
নতুন পদবী | হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান ১৯৭০–২০১৮ |
উত্তরসূরী সিরাজউদ্দীন হাক্কানি |
Reports quoted Pakistan’s Interior Minister Rehman Mallik saying, “The network’s aging leader, Jalaluddin Haqqani, was a respected commander and key US and Pakistani ally in resisting the Soviet Union after its 1979 invasion of Afghanistan. Haqqani even visited President Ronald Reagan at the White House.”
Haqqani then was much younger and had a thick black beard. The evidence suggests he had never been to the US. He certainly was a well-known mujahideen commander of the Hezb-e-Islami (Khalis) — a party led by Maulvi Yunis Khalis, and had a status equal to another famous commander Ahmad Shah Masood. But Haqqani does not figure among the Afghan mujahideen leaders known to have been invited to the White House in Washington and hosted by President Reagan.
More recently, an image of a bearded man wearing a substantial white turban and a brown blazer standing next to former US President Ronald Reagan was reprinted in many Pakistani dailies as an image of Reagan with the notorious Afghan militant Jalaluddin Haqqani. But Haqqani has never visited the US. The picture, is in fact of an Afghan mujahideen commander called Younis Khalis.
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.