Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার এবং চিত্রশিল্পী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রবার্ট চার্লস জ্যাক রাসেল, এমবিই (ইংরেজি: Jack Russell; জন্ম: ১৫ আগস্ট, ১৯৬৩) গ্লুচেস্টারশায়ারের স্ট্রুড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[1] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জ্যাক রাসেল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবার্ট চার্লস রাসেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্ট্রুড, গ্লুচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৫ আগস্ট ১৯৬৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮.৫ ইঞ্চি (১.৭৪ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জন রাসেল (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৩৬) | ২৫ আগস্ট ১৯৮৮ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ মার্চ ১৯৯৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৬) | ২২ নভেম্বর ১৯৮৭ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ অক্টোবর ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১ – ২০০৪ | গ্লুচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ মে ২০১৮ |
বর্তমানে তিনি চিত্রকর হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, ক্রিকেটে উইকেট-রক্ষণ কোচ ও ফুটবল গোলরক্ষক কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।[2]
গ্লুচেস্টারশায়ারের স্ট্রুডে জন্মগ্রহণকারী জ্যাক রাসেল তার প্রথম-শ্রেণীর সাবেক ক্রিকেটার বাবা জনের কাছ থেকে প্রভূতঃ সহযোগিতা পান। এরপর স্ট্রুড ক্রিকেট ক্লাব ও আর্চওয়ে স্কুল থেকেও সহায়তা পেয়েছেন।[3]
নিজস্ব চতুর্দশ জন্মদিনের দুইদিন পূর্বে টেলিভিশনে ১৯৭৭ সালে হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত খেলা প্রদর্শনকালে ম্যাককস্কার, কট নট বোল্ড গ্রেগ দেখতে পান। রাসেল স্বয়ং মন্তব্য করেন যে, ‘খুব নিচু, একহাতে, প্রথম-স্লিপ বরাবর, অসাধারণ।’ এরপর আমি চিন্তা করি যে, ‘আমিও এটি করতে সক্ষম হবো। এভাবেই যাত্রা শুরু; এটিই আমাকে উইকেট-রক্ষক হিসেবে উদ্দীপনা যোগাতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে।’
অন্য উজ্জ্বীবনী শক্তি এসেছে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণকারী ভাই ডেভিডকে উৎসর্গের মাধ্যমে। আর্চওয়ে স্কুলের ক্রীড়াশিক্ষক রিকি রাটার রাসেলকে গ্লুচেস্টারশায়ারে অন্তর্ভুক্ত করতে বেশ সহায়তা করেন। ফলশ্রুতিতে আর্চওয়েতে একবছর কাটানোর পর সিক্সথ-ফর্ম কলেজে চলে যান। এরপর ব্রিস্টল টেকনিক্যাল কলেজে হিসাবরক্ষণ বিষয়ে ভর্তি হন। তবে, পড়াশোনা শেষ না করেই ১৯৮১ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারে পূর্ণাঙ্গকালীন সময় কাটাতে থাকেন।
কিশোর বয়স অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি যে উইকেট-রক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হবেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ছোটদের দলে তিনি ফাস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি ঘণ্টায় ৭৫ মাইল বেগে বোলিং ছুঁড়তেন। তবে, কোমর উচ্চতা বরাবরই বলকে উঠাতে পারতেন জ্যাক রাসেল। এরপর তিনি আনঅর্থোডক্স অফ-ব্রেক বোলিংয়ের দিকে ধাবিত হন। শুরুতেই তিনি অবৈধভাবে যাত্রা শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে, বিদ্যালয় জীবনে উইকেট-রক্ষকের দিকে চলে যান।
২৫ আগস্ট, ১৯৮৮ তারিখে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে জ্যাক রাসেলের।
টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তিতে বেশ কয়েকবার বিতর্কিত ঘটনায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। অ্যালেক স্টুয়ার্ট তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিয়মিতভাবে আবির্ভূত হন। মূলতঃ ব্যাটিংয়ে প্রাধান্য থাকার ফলেই এমনটি হয়েছে। তাস্বত্ত্বেও, জ্যাক রাসেল সেরা উইকেট-রক্ষক ছিলেন।[4] এছাড়াও আনঅর্থোডক্স বোলার ছিলেন। তাস্বত্ত্বেও, ব্যাটসম্যান হিসেবে নিচেরসারিতে তাকে নামতে হতো।
তার ব্যাটিং সমর্থকদেরকে সন্তুষ্ট করেছিল; যদিও তিনি তেমন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের দিকে ধাবিত হননি। কিন্তু, অস্ট্রেলীয়দের বিপক্ষে ক্রিজে অবস্থান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা ও দেখে নেয়ার মানসিকতা সবিশেষ লক্ষ্যণীয়। মন্ত্রণাদানকারী অ্যালান নটের পরামর্শক্রমে লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে এর ব্যতয় ঘটে। চব্বিশ মিনিট এমসিসির গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত বালকেরা প্লাস্টিক বলের ন্যায় তাকে লক্ষ্য করে বল ছুঁড়েছিল। ব্যাটিংয়ের ফুলঝুড়িতে কেবলমাত্র শূন্য রান ও শর্ট বলে ডাইভিংই কেবল বাকী ছিল। ঐদিন তিনি অসিদের উত্যক্ততার যথোপযুক্ত ভাষা প্রয়োগ করেন। মূল্যবান অপরাজিত ৬৪* রান তোলার পর অসিরা আর কখনো তাকে বিরক্ত করেনি।
এজবাস্টনে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৪২ রান তুলেন যা প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল। তবে, ওল্ড ট্রাফোর্ডের চতুর্থ টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা অর্জনটি লাভ করেন। সুদীর্ঘ ছয় ঘণ্টা ধরে ক্রিজে অবস্থানের মাধ্যমে অসিদের জয় উদযাপনে বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রান করেন। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ডকে নিশ্চিত পরাজয় থেকে রক্ষা করেন। এটিই সকল স্তরের ক্রিকেটে তার প্রথম শতরান ছিল। তার এ অর্জনের সাথে ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে অন্য ইংরেজ ক্রিকেটার বিলি গ্রিফিথ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সংগৃহীত ইনিংসের সাথে তুলনা করা যায়। রাসেল ঐ সিরিজে তৃতীয় সেরা সফলতম ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়ে যান। ৩৯.২৫ গড়ে তিনি ৩১৪ রান তুলেন।
১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে রাসেলকে আবারও ইংরেজ দলে দেখা যায়। কিন্তু, তার ব্যাটিং আর কখনো উঁচুমানের হিসেবে দেখা যায়নি। খেলাটি তাকে নতুন যুগের দিকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা মাঠে অবস্থান করে মাত্র ২৯ রান তুলেন যা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে সক্ষম হয়নি। বলের প্রতি ভারসাম্যতা ও ব্যাটিংয়ের গভীরতাই এর জন্য দায়ী। ফলশ্রুতিতে, অ্যালেক স্টুয়ার্টকে প্রায়শঃই উন্নততর ব্যাটিং ও বিশ্বস্ত উইকেট রক্ষণের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভের ফলে গ্লাভস হাতে রাসেলের পূর্বে রাখা হতো।[5] ইংল্যান্ডের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে তাকে দলে স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থানের জন্য ডাকা হতো। ১৯৯৮ সালের পূর্ব-পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। ঐ বছরে অ্যাশেজ সফরে দলের বাইরে রাখা হলে তিনি অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।[6]
উইকেটে আঁকড়ে থাকার মানসিকতার বিষয়টি আবারও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রদর্শন করেছেন জ্যাক রাসেল। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে জোহেন্সবার্গ টেস্টে মাইকেল অ্যাথারটনের সাথে ১১৯ রানের জুটি গড়ে খেলাটিকে রক্ষা করেন। ৪ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৩৫ বল মোকাবেলা করে মাত্র ২৯ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ঐ রানগুলো এসেছে মাত্র ১৪ বল থেকে।[7][8]
গ্লুচেস্টারশায়ারের একদিনের শিরোপা লাভে অন্যতম অনুষঙ্গ ছিলেন জ্যাক রাসেল।[9] অধিনায়ক মার্ক অ্যালেনের সাথে অনেকগুলো ওডিআই ক্যাপ পরিধান করেন। ২০০২ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের পর্বতসম ৭৪৬/৯ রানের বিপরীতে কোন বাই রান না দিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেন।[10]
১৯৯০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে জ্যাক রাসেলকে মনোনীত করা হয়। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে,
১৯৮৯ সালের শুরুতে জ্যাক রাসেল মাত্র একটি টেস্টে অংশ নিয়েছেন। অস্ট্রেলীয়দের বিপক্ষে একদিনের দলে স্থান লাভের জন্য উপযুক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হতো না। বছর শেষে দেখা যায় যে, একমাত্র ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে কেবলমাত্র তিনিই যে-কোন বিশ্ব একাদশে স্থান লাভের জন্য আদর্শস্থানীয়।[11]
পিঠের সমস্যায় ক্রমাগত ভোগার ফলে মৌসুমের খেলাগুলোয় অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। ফলশ্রুতিতে, নিজস্ব ৪১তম জন্মদিনের অল্প কয়েকদিন পূর্বে ২০০৪ সালে কাউন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানান।[12][13][14]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর জ্যাক রাসেল চিত্রকর হিসেবে পূর্ণাঙ্গকালীন সময় ব্যয় করছেন। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো হাই-ডেফিনিশন টেলিভিশনে অ্যাশেজ সিরিজ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। বিস্কাইবি কর্তৃক রাসেলকে পাঁচটি হস্ত অঙ্কিত স্কাই+ এইচডি ডিজিবক্সের জন্য মনোনীত করা হয়। [15]
২০০৭ সালে ফরেস্ট গ্রীন রোভার্সের পক্ষে গোলরক্ষক কোচ পদে তাকে মনোনীত করা হয়। এরপর তিনি কনফারেন্স ন্যাশনালে খেলেন।[16] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অ্যালান নটের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীকালে জেরাইন্ট জোন্সকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।[17] ২০০৮ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের কোচ ও মন্ত্রণাদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[18][19]
বিদ্যালয় জীবনে অঙ্কন বিষয়ে অধ্যয়ন না করলেও শৈশবকাল থেকেই চিত্রকলার প্রতি সুগভীর আগ্রহ ছিল তার। একবার কাউন্টি ক্রিকেট মৌসুমের শুরুর দিকে ওরচেস্টারশায়ারে অবস্থানকালে বৃষ্টির কারণে খেলা বিলম্বিত হলে তিনি শহরে চলে যান এবং স্কেচ-প্যাড ও কিছু পেন্সিল কিনেছিলেন।[20]
“ | যদি রেমব্রান্ট এটি করতে পারে, তাহলে আমি কেন পারবো না? প্রথম দিন মাঠে ছবি আঁকছিলাম। কিন্তু, কেউ আসলেই আমি স্কেচ-প্যাডটি লুকিয়ে রাখতাম। | ” |
১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ড দল পাকিস্তান সফরে যায়। সেখানে রাসেল ছয় সপ্তাহের সফরে মাত্র দুই দিন ক্রিকেট খেলায় যোগ দিয়েছিলেন। বাদ-বাকী দিনগুলো স্কেচ ও ফটোগ্রাফিতে নিজেকে যুক্ত রাখেন। যুক্তরাজ্যে ফেরার পর তিনি ব্রিস্টলের গ্যালারিতে ৪০টি স্কেচ প্রদর্শন করেন। দুইদিনের মধ্যেই সমুদয় স্কেচ বিক্রি হয়ে যায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.