ট্রান্সজর্ডানে ইখওয়ান আক্রমণ ছিল ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে ইখওয়ান কর্তৃক ট্রান্সজর্ডান আমিরাতের উপর পরিচালিত ধারাবাহিক আক্রমণ। এসময় নজদ থেকে ট্রান্সজর্ডানের উপর হামলা চালানো হয়। এসব হামলা ট্রান্সজর্ডানের আমির আবদুল্লাহর অবস্থানের প্রতি হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়।[4] নিজ উদ্যোগে হামলা প্রতিহত করতে তিনি সক্ষম ছিলেন না। তাই আম্মানের নিকট মারকায় ব্রিটিশরা একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে।[4] তারা আমিরকে ট্রান্সজর্ডানে তার শাসন সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করছিল।[4]

দ্রুত তথ্য ট্রান্সজর্ডানে ইখওয়ান আক্রমণ, তারিখ ...
ট্রান্সজর্ডানে ইখওয়ান আক্রমণ
মূল যুদ্ধ: সৌদি আরবের একত্রীকরণ
তারিখ১৯২২-১৯২৪\
অবস্থান
জর্ডান ট্রান্সজর্ডান আমিরাত
ফলাফল ইখওয়ানের পরাজয়
বিবাদমান পক্ষ
ইখওয়ান

যুক্তরাজ্য ব্রিটিশ বিমানবাহিনী
জর্ডান হাশিমিপন্থি গোত্রের সদস্য:[1]

  • আদওয়ান
  • আজারমা
  • আব্বাদ
  • বনি হাসান
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
একাব বিন মুহায়া ১৯২২ সালে নেতা ছিলেন। একইসাথে তিনি তার নিজ গোত্র তালহার প্রধান ছিলেন
শক্তি
১,৫০০ যোদ্ধা (১৯২২)
৩,০০০-৪,০০০[1] বা ৪,৫০০[2] উষ্ট্রারোহী যোদ্ধা
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
৫০০+[2] নিহত (১৯২৪) ১৩০ জন গোত্রীয় লোক নিহত বা আহত (১৯২৪)[1]

দুটি ছোট গ্রামে হামলায় নিহত[3]

মোট: ~১,৫০০
বন্ধ
ইখওয়ানের অগ্রযাত্রা।

পটভূমি

১৯১৯ সালে নজদ-হেজাজ যুদ্ধে হাশিমিদের পরাজয় ও বৃহত্তর সিরিয়ায় হাশিমি আধিপত্য স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা ট্রান্সজর্ডান আমিরাতইরাককে হাশিমি রাজ্য হিসেবে সুরক্ষিত করতে সচেষ্ট হয় এবং অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের হুমকি থেকে রক্ষা থেকে রক্ষা করে প্রচেষ্টা চালায়। স্থানীয় বিদ্রোহ দমনে ব্রিটিশরা সামরিক সহায়তা দেয়। এছাড়াও ওয়াহাবি মতাদর্শের ইখওয়ান বাহিনীর আক্রমণের সময়ও তারা ভূমিকা রাখে।

প্রথম প্রধান আক্রমণ

ইখওয়ান তাদের প্রথম দীর্ঘ দূরত্বের আক্রমণ আম্মানের উপর চালায়। এতে প্রায় ১,৫০০ জন উষ্ট্রারোহী যোদ্ধা ছিল। একটি মতানুযায়ী ব্রিটিশ বিমান এগিয়ে আসায় ইখওয়ান আম্মানে পৌছাতে পারেনি।[2] অন্য একটি বর্ণনা অনুযায়ী আক্রমণের লক্ষ্য ছিল ছোট গ্রাম। এসব গ্রামে সবাইকে হত্যা করা হয়। এরপর ব্রিটিশ সাজোয়া যান ও যুদ্ধবিমান তাদের দিকে গিয়ে আসে।[3]

দ্বিতীয় প্রধান আক্রমণ

১৯২৪ সালের আগস্টে ৪,৫০০ জন যোদ্ধার একটি দল ১,৬০০ কিমি পাড়ি দিয়ে নজদ থেকে ট্রান্সজর্ডান আক্রমণের জন্য আসে। আম্মান থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে অবস্থানের সময় ব্রিটিশ বিমানবাহিনী তাদের চিহ্নিত করে এবং যুদ্ধবিমানের সাহায্যে আক্রমণ করে। ইখওয়ানে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং প্রায় ৫০০ জন মারা যায়। ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর সাহায্য ছাড়া আম্মান রক্ষা করা সম্ভব ছিল না।[2]

পরবর্তী অবস্থা

১৯২৭ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ইখওয়ান বিদ্রোহের সময় ইখওয়ান অন্যান্য আক্রমণসমূহ পরিচালনা করে। তারা ১৯২৭ সালের নভেম্বর দক্ষিণ ইরাক এবং ১৯২৮ সালের জানুয়ারি কুয়েত আক্রমণ করে। উভয় ক্ষেত্রে তারা ভয়াবহভাবে হামলা চালায়। এসময় ব্রিটিশ বিমান বাহিনী ও কুয়েতিরাও প্রচন্ডভাবে পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইতিমধ্যে আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের নিয়মিত বাহিনীর কাছে ইখওয়ান পরাজিত হয় এবং তাদের নেতাদের হত্যাকরা হয়। বাকিদের নিয়মিত সৌদি বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

See also

  • সুলতান বিন বাজাদ
  • কুয়েত-নজদ সীমান্ত যুদ্ধ
  • সৌদি আরবিয়ান ন্যাশনাল গার্ড
  • মধ্য প্রাচ্যে আধুনিক সংঘাতের তালিকা

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.