Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
থিংকপ্যাড (ইংরেজি: ThinkPad) ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের একটি সিরিজ, যেটি পূর্বে আইবিএম ও বর্তমানে লেনোভো কর্তৃক ডিজাইন, ডেভেলপ ও বিক্রি করা হয়। মিনিমালিস্ট, কালো ও বক্সি ডিজাইনের জন্যেই থিংকপ্যাড সমাধিক পরিচিত, যেটি রিচার্ড স্যাপার ১৯৯০ সালে ডিজাইন করেন। থিংকপ্যাডের এ বক্সি ডিজাইন জাপানিজ লাঞ্চবক্স বেন্টো থেকে অনুপ্রাণিত, যার ভেতরে কি আছে তা শুধুমাত্র খোলার পরেই জানা যায়।
এ সিরিজটি প্রথম আরিমাসা নাইতো কর্তৃক ডেভেলপ করা হয় আইবিএম ইয়ামাতো ফ্যাসিলিটি জাপানে, যাকে বর্তমানে ´ফাদার অব থিংকপ্যাড´ বলে অভিহিত করা হয়। প্রথম থিংকপ্যাড অক্টোবর ১৯৯২ সালে মুক্তি পায়। এর নতুনত্বের কারণে এটি সে দশকে আইবিএমের একটি বিশাল সাফল্যে পরিণত হয়।
থিংকপ্যাড সাধারণত ব্যবসায়ক্ষেত্রে জনপ্রিয়। পুরোনো মডেলগুলো তাদের টেকসই ডিজাইন, উচ্চ পুনবিক্রয় মূল্য, আফটারমার্কেট প্রথিস্থাপনীয় অংশের প্রাচুর্যের জন্যে উৎসাহী, পাওয়ার ইউজার ও সংগ্রহকারীদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। স্বল্প হলেও থিংকপ্যাডের বেশ বিশ্বস্ত একটা ফ্যানবেইস রয়েছে।
ব্যবসায়ক্ষেত্রে বিশেষত থিংকপ্যাডসমূহ জনপ্রিয়। পুরোনো মডেলসমূহ জনপ্রিয় প্রযুক্তি উৎসাহী, সংগ্রহকারী ও পাওয়ার ব্যবহারকারীদের মধ্যে, তাদের টেকসই ডিজাইন, উচ্চ পুনঃবিক্রয়মূল্য এবং আফটারমারকেট প্রতিস্থাপন অংশের উপস্থিতি।[3] এ বছরগুলোতে থিংকপ্যাডের গভীর অনুসরণকারী এবং ক্ষুদ্র কিন্তু বিশ্বস্ত একটা ফ্যানবেইস তৈরী হয়েছে।[4][5][6]
"ল্যাপটপ ম্যাগাজিন" ২০০৬ সালে থিংকপ্যাডকে সর্বোচ্চ মানের ল্যাপটপ কম্পিউটার কীবোর্ড বলে অভিহিত করে। [7] পিসি ম্যাগাজিনের ২০০৭-এর জরিপে এটি বিশ্বস্ততা ও সমর্থনে ১ম স্থান অধিকার করে। [8]
পিসি ম্যাগাজিন ২০০৬ পাঠকের পছন্দে পিসি ভিত্তিক ল্যাপটপে এবং পিসি ভিত্তিক ল্যাপটপের জন্যে সমর্থনে প্রথম স্থান অধিকার করে।[9] থিংকপ্যাড সিরিজই ছিলো প্রথম পণ্য যা পিসি ওয়ার্ল্ডের হল অব ফেম পুরস্কার অর্জন করে।[10]
দ্যা এনডের্লে গ্রুপের রব এনডের্লে থিংকপ্যাড সম্পর্কে বলেন, "brand stands for quality" এবং "they build the best keyboard in the business"।[11]
লেনোভো অক্টোবর, ২০১৭ সালে ২৫ তম বার্ষিকীর রেট্রো থিংকপ্যাড ২৫ মুক্তি দেয়। এর ডিজাইন সমসাময়িক অন্যান্য থিংকপ্যাড থেকে ভিন্ন, কারণ এতে ৭ রোয়ের লেআউটের ধ্রুপদী কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি অনেক পুরোনো থিংকপ্যাডে দেখা যেতো। এবং এতে লোগোর রঙেও পরিবর্তন আনা হয়। ৭রোয়ের কীবোর্ড আছে এমন থিংকপ্যাড সর্বশেষ ২০১১ সালে মুক্তি পায়। [12]
থিংকপ্যাড ইয়োগা হলো আলট্রাবুক ক্লাশ কনভার্টিবেল ডিভাইস যেটি একইসাথে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট হিসেবে কাজ করে। ইয়োগা নামটি ভোক্তাকেন্দ্রিক আইডিয়াপ্যাড ইয়োগা সিরিজ থেকে এসেছে। থিংকপ্যাড ইয়োগায় একটি ব্যাকলিট কীবোর্ড রয়েছে, যেটি ট্যাবলেট মুডে গেলে ফ্ল্যাট হয়ে যায়। এ ডিজাইনটি বাস্তাবায়নের জন্যে একটি নতুন কবজার প্রয়োজন হয়েছিলো। এ রূপান্তরযোগ্য বৈশিষ্ট্য ব্যতীতও থিংকপ্যাড ইয়োগায় থিংকপ্যাড সাধারণ বৈশিষ্ট্য যেমন, কালো ম্যাগনেসিয়াম চেসিস, আইল্যান্ড কীবোর্ড, লাল ট্র্যাকপয়েন্ট এবং একটি বিশাল বাটনবিহীন ট্র্যাকপ্যাড। [13]
থিংকপ্যাড টুইস্ট একটি ল্যাপটপ/ট্যাবলেট কম্পিউটার যার লক্ষ্য শুধুমাত্র উচ্চমাত্রার ব্যবহারকারী। স্ক্রিনকে টুইস্ট করে ট্যাবলেটে রূপান্তরের সক্ষমতার জন্যে এর নাম থিংকপ্যাড টুইস্ট রাখা হয়। টুইস্টের ১২.৫" স্ক্রিন রয়েছে, ইন্টেল কোর আই৭ প্রসেসর এবং এটি হার্ড ড্রাইভের বদলে এসএসডি ব্যবহার করে।[14]
হেলিক্স একটি রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপ যেটি ট্যাবলেট ও প্রচলিত নেটবুক দুটোর চাহিদাই পূরণ করে। এটি "রিপ এবং ফ্লিপ" ডিজাইন ব্যবহার করে যেটি ব্যবহারকারীকে ডিসপ্লেটি বিচ্ছিন্ন করে ভিন্নদিকে পুনরায় সংযুক্ত করার দেয়। এর ১১.৬" ফুল এইচডি (১৯২০ × ১০৮০) ডিসপ্লে রয়েছে। সাথে প্রয়োজনীয় প্রসেসিং হার্ডওয়্যার ডিসপ্লের সাথেই রয়েছে। বিচ্ছিন্ন মনিটর ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। হেলিক্সের উচ্চপর্যায়ের হার্ডওয়্যার ও বিল্ড কোয়ালিটি মূলত ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করেই নির্মিত। [15]
এক্স সিরিজ হলো প্রধান আলট্রাপোর্টেবল থিংকপ্যাড ধারা, যেগুলো প্রমাণ কার্যক্ষমতার সাথে সাথে হালকা ও বেশ বহনযোগ্য হয়। ১২" এক্স২০০-সিরিজ থিংকপ্যাড বৈশিষ্ট্যের প্রায় সবগুলোই ধারণ করে, যেমন- থিংকলাইট, ৭ রোয়ের কীবোর্ড, এবং রোলকেজ। ১১.৬" এক্স১০০ই ও এক্স১২০ই পুরোটাই প্লাস্টিক এবং ল্যাচ ও থিংকলাইট নেই,আর চিকলেট কীবোর্ড নামে আইল্যান্ড কীবোর্ডের একটি সংস্করণ ব্যবহার করে। এক্স১০০ই-এর নীলের সাথে সাথে লাল ও শাদা সংস্করণও রয়েছে।[16] তারা অনেকটা হাই-এন্ড নেটবুকের মত, যেখানে এক্স২০০ সিরিজ পূর্ণ আলট্রাপোর্টেবল ল্যাপটপ। ১২.৫" এক্স২২০ এ একটি রোল কেজ, থিংকলাইট, ৭ রোয়ের কীবোর্ড, এবং ঐচ্ছিক প্রিমিয়াম আইপিএস ডিসপ্লে রয়েছে। যাইহোক এতে লিড ল্যাচ নেই, যা এক্স২০০ ও এক্স২০১ এ ছিলো। এক্স৩০০ ও এক্স৩০১ ১৩.৩" ও এক্স২০১এস যথাক্রমে চিকন ও হালকা এবং লো ভোল্টেজ সিপিইউ নিয়ে আসলেও সেগুলো রহিত করা হয়। বেশ কিছু কারণে এক্স সিরিজ প্রযুক্তি আগ্রহীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে ফ্রি অপারেটিং সিস্টেমসমূহ, বিশেষত গ্নু/লিনাক্স সিস্টেমে তাদের ড্রাইভার সমর্থনের জন্যে। থিংকপ্যাড এক্স২২০ ও এক্স২৪০ সহ বেশ কিছু ডিভাইস উবুন্টু কর্তৃক অফিশিয়ালি সার্টিফাইকৃত।
ঐতিহাসিকভাবে টি সিরিজ হাই-এন্ড বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যেমন ম্যাগনেজিয়্যাম অ্যালোই রোলকেজ, ফ্লেক্সভিউ নামে পরিচিত এইচডি আইপিএস পর্দা, ৭ রো এর কীবোর্ড, পর্দার ল্যাচ, লেনোভো আলট্রাবে ও থিংকলাইট। ১৪.১ ইঞ্চি ও ১৫.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে ৪:৩ ও ১৬:১০ অনুপাতে রয়েছে।
২০১২ সাল থেকে পুরো থিংকপ্যাড ধারা ঢেলে সাজানো হয়, যেমন থিংকপয়েন্টের সাথে ব্যবহারের জন্যে আলাদা বাটন সমূহ বাদ দেয়া, আলাদা অডিও নিয়ন্ত্রণ বাটন বাদ দেয়া, স্ক্রিন ল্যাচ বাদ দেয়া, এবং এলইডি ইন্ডিকেটর লাইট বাদ দেয়া। নতুন কিছু উচ্চ-বহনযোগ্য মডেলের মধ্যে, যেমন টি৪৩০ইউ ও টি৪৩১এস, অপ্রতিস্থাপনযোগ্য ব্যাটারি রয়েছে। আরও নতুন কিছু মডেল বিল্ট ইন ও প্রতিস্থাপনযোগ্য ব্যাটারির সমন্বয় রয়েছে। সাথে সাথে ১৬:৯ অনুপাতের ডিসপ্লেই এখন একমাত্র পছন্দ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.