দৃশ্যকলা
শিল্পের বিভিন্ন রূপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
দৃশ্যকলা হলো শিল্পের বিভিন্ন রূপ যেমন মৃত্তিকা শিল্প, অঙ্কন, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, প্রিন্ট তৈরি, ডিজাইন, কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি, ভিডিও, চলচ্চিত্র নির্মাণ, সাহিত্য এবং স্থাপত্য। শিল্পকলার অনেক শাখা (প্রদর্শন শিল্প, চিন্তাপ্রধান শিল্প, বস্ত্রবয়ন কলা) দৃশ্যকলার পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পমাধ্যমও ব্যবহার করে। দৃশ্যকলায় আরো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বিভিন্নরকম ব্যবহারিক শিল্পও,[1] যেমন পণ্য-নকশা, গ্রাফিক ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং কারুকার্য।[2]
বর্তমানে দৃশ্যকলা বলতে চারুশিল্পের পাশাপাশি অলঙ্করণ ও কারুশিল্প বোঝালেও আগে তেমন ছিলোনা। ব্রিটেনে আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস আন্দোলনের আগে এবং অন্যত্র ২০ শতকে 'শিল্পী' বা 'আর্টিস্ট' শব্দটি কেবল তাদের জন্য বলা হতো যারা চারুকলা চর্চা করতেন (যেমন চিত্রকলা, ভাস্কর্য বা প্রিন্ট তৈরি); হস্তশিল্প, কারুশিল্প বা ব্যবহারিক শিল্পমাধ্যম এর অন্তর্ভুক্ত করা হতো না। আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস আন্দোলনের শিল্পীরা এই বিভাজনের দিকে মনোযোগ দেন কারণ তারা দেশজ শিল্পকে উচ্চমার্গের শিল্পের মতোই মূল্যায়ন করতেন।[3] আর্ট স্কুলগুলোতে চারু ও কারুশিল্পের মধ্যে এ বিভাজনটা রাখা হতো এবং কারুশিল্পীকে শিল্পসাধক বলে মনে করা হতো না।
চিত্রকর্ম এবং তারপর ভাস্কর্যকে অন্য সব শিল্পের ওপরে স্থান দেয়ার প্রবণতাটা পশ্চিমা ও পূর্ব এশীয় শিল্পকলার বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় অঞ্চলেই চিত্রকলাকে ভাবা হয় শিল্পীর সবচেয়ে উঁচুমার্গের কল্পনার শিল্প, এবং তা দৈহিক শ্রম থেকে সবচেয়ে দূরে। চীনা চিত্রকলায় সর্বোচ্চ মূল্যায়িত শৈলী হলো "বিদগ্ধ-চিত্রকলা", অন্তত শৌখিন শিল্পীদের মতে। পাশ্চাত্যে শিল্পের মর্যাদাক্রমের ধারণাতেও অনুরূপ মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।