ধাতব বন্ধন
From Wikipedia, the free encyclopedia
ধাতু সমূহ যে ধরনের বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তা ই ধাতব বন্ধন। এই সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক চার্জ যুক্ত ধাতব আয়নের মধ্যে হয়ে থাকে। এই বিশেষ ধরনের বন্ধনের কারণেই ধাতু তাপ এবং বিদ্যুৎ পরিবহন করে। এই বন্ধন সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক চার্জ যুক্ত ধাতব আয়নের মধ্যে হয়ে থাকে। ধাতব বন্ধন ধাতুর অনেকগুলো ভৌত ধর্ম যেমন: যান্ত্রিক শক্তি, নমনীয়তা, তাপ, বৈদ্যুতিক রোধ এবং পরিবাহিতা, অস্বচ্ছতা এবং দীপ্তির জন্য দায়ী।
প্রতিটি ধাতব পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি, ২টি কিংবা ৩টি ইলেকট্রন থাকে এবং এদের আকার একই পর্যায়ের অধাতব পরমাণুর চেয়ে বড় হওয়ায় ধাতব পরমাণুর সর্ব শেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের প্রতি নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ কম হয়। ফলে ধাতুতে পরমাণু সমূহ তার শেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন গুলো ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়। এই আয়নকে পারমাণবিক শাঁস (অ্যাটমিক কোর) বলা হয়। ধাতব স্ফটিকে পারমাণবিক শাঁস গুলো সুনির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিকভাবে সজ্জিত থাকে। আর ধাতব পরমাণু কর্তৃক ত্যাগকৃত ইলেকট্রনগুলো উক্ত পারমাণবিক শাঁসের মধ্যবর্তী সথানে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। এদের সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে। এই ইলেকট্রনগুলো কোন নির্দিষ্ট পরমাণুর অধীনে না থেকে পুরো ধাতব আয়নের ইলেকট্রন হয়ে যায়।
ধাতব স্ফটিকে দুটি ধাতব আয়নের মধ্যবর্তী স্থানে যখন একটি সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন অবস্থান করে তখন ঐ ইলেকট্রনের প্রতি উভয় ধাতব আয়নই স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণে আকর্ষিত হয়। ফলে ধাতব আয়নগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। এভাবেই ধাতব বন্ধন গঠিত হয়।[1][2][3][4]