নিপা ভাইরাস সংক্রমণ
আরএনএ ভাইরাস যা প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের হেনিপাহ ভাইরাসের গণের অংশ। সংক্রমিত পশু ও মানুষের / From Wikipedia, the free encyclopedia
নিপা ভাইরাস সংক্রমণ একধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ, যা নিপা ভাইরাসের মাধ্যমে ঘটে থাকে।[2] এই সংক্রমণের কোন লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে বা জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বিভ্রান্তি ইত্যাদি হতে পারে।[1][2] এক বা দুই দিনের মধ্যে রোগী অচেতন হয়ে পড়তে পারেন।[1] রোগ সেরে যাওয়ার পর মস্তিষ্কে সংক্রমণ ও খিঁচুনি ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।[2]
নিপা ভাইরাস সংক্রমণ | |
---|---|
হেনিপা ভাইরাসের গঠন | |
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ |
লক্ষণ | জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা[1] |
জটিলতা | মস্তিষ্কের সংক্রমণ, খিঁচুনি[2] |
রোগের সূত্রপাত | ৫-১৪ দিন[1] |
কারণ | নিপা ভাইরাস[3] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | উপসর্গের ওপর নির্ভরশীল, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চিকরণ[4] |
প্রতিরোধ | বাদুড় ও রুগ্ন শূকর থেকে দূরে থাকা, অপরিশুদ্ধ খেজুর রস না পান করা[5] |
চিকিৎসা | সহায়ক চিকিৎসা[2] |
সংঘটনের হার | ৫৮২ জন মানুষ (২০০১ থেকে ২০১৮)[6] |
মৃতের সংখ্যা | মৃত্যুর সম্ভাবনা ~৭৫% [6] |
নিপা ভাইরাস হল এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস যা প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের হেনিপাহ ভাইরাসের গণের অংশ।[2] সংক্রমিত পশু ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যেমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।[3] রোগের উপসর্গ থেকে রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে এবং ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা যায়।[4]
সহায়ক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের উপশম করা হয়ে থাকে।[2] ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই রোগের কোন টিকা বা বিশেষ চিকিৎসা নেই।[2] বাদুড় ও রুগ্ন শূকর থেকে দূরে থেকে এবং অপরিশুদ্ধ খেজুর রস না পান করে এই রোগের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।[5] ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে ৫৮২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৫৪% মৃত্যুবরণ করেছেন।[6][7] ২০১৮ সালে ভারতের কেরালা রাজ্যে এই রোগের আক্রমণে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।[8][9]
এই রোগটি ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে প্রথম দেখা যায়।[2][10] সুঙ্গাই নিপাহ নামক মালয়েশিয়ার একটি গ্রামের নামে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়।[10] সেই সময় এই রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য লক্ষ লক্ষ শূকরকে মেরে ফেলা হয়।[2][10]