ফিশিং
বিশ্বাসযোগ্য সত্তা সেজে সংবেদনশীল তথ্য আত্মসাতের প্রচেষ্টা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইন্টারনেটে ফিশিং (ইংরেজিতে Phishing) বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য - ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। প্রতারকেরা এই পদ্ধতিতে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট সেজে মানুষের কাছ থেকে তথ্য চুরি করে থাকে। ইমেইল ও ইন্সট্যান্ট মেসেজের মাধ্যমে সাধারণত ফিশিং করা হয়ে থাকে।[1] প্রতারকেরা তাদের শিকারকে কোনোভাবে ধোঁকা দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ঐ ওয়েবসাইটটি সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর ইমেইল, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের আসল ওয়েবসাইটের চেহারা নকল করে থাকে। ব্যবহারকারীরা সেটাকে আসল সাইট ভেবে নিজের তথ্য প্রদান করলে সেই তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যায়। ফিশিং হলো সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতারণা কৌশলের একটি উদাহরণ। [2][3][4] ফিশিং প্রতিরোধের জন্য এখন আইন প্রণয়ন, ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, এবং কারিগরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে।
ফিশিং এর পদ্ধতি প্রথম বর্ণনা করা হয় ১৯৮৭ সালে। ফিশিং (Phishing) শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয় ১৯৯৬ সালে। ইংরেজি fishing বা মাছ ধরা শব্দটির অপভ্রংশ হিসাবে এর উদ্ভব হয়েছে। [5]। সম্ভবতঃ ফ্রিকিং (phreaking) এর অনুকরণে এই শব্দের প্রচলন হয়েছে।[6][7] মাছ ধরার সময়ে যেমন টোপ ফেলে মাছদের ধোঁকা দেয়া হয়, সেরকম এই পদ্ধতিতেও ব্যবহারকারীদের ধোঁকা দিয়ে তথ্য বের করে নেয়া হয়।