বাংলার বিশ্ব ঐতিহ্য
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলার বিশ্ব ঐতিহ্য বা বঙ্গ অঞ্চলের বিশ্ব ঐতিহ্য বলতে মূলত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলের যে সকল স্থাপত্য-স্থাপনা, এলাকা ও সংস্কৃতি জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত সেসবকে বোঝায়। বর্তমানে বঙ্গ অঞ্চলে মোট ১৪টি বিশ্ব ঐতিহ্য রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, ৭টি অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ১টি প্রামাণ্য ঐতিহ্য রয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো হলো মসজিদের শহর বাগেরহাট,[1] সোমপুর মহাবিহার,[2] সুন্দরবন,[3] সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান[4], দার্জিলিং হিমালয়ান রেল[5] ও শান্তিনিকেতন।[6] অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো হলো বাউল সঙ্গীত,[7] জামদানি,[8] মঙ্গল শোভাযাত্রা,[9] শীতল পাটি,[10] কলকাতার দুর্গাপূজা[11] ও ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র,[12] এবং রমজানে মাসে পালিত ইফতার।[13] বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ।[14]
বর্তমানে বাংলা অঞ্চলের ১৪টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে এককভাবে ১০টি বাংলাদেশে ও ৪টি ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। বাংলাদেশের মসজিদের শহর বাগেরহাট, সোমপুর মহাবিহার, সুন্দরবন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, দার্জিলিং হিমালয়ান রেল ও শান্তিনিকেতন - এ ছয়টি স্থান ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অন্তর্ভুক্ত। অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাউল সঙ্গীত, অসাধারণ শৈল্পিক কারুকাজে বুনিত জামদানি শাড়ি, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবছর আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র, রমজানে পালিত ইফতার এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার দূর্গাপূজা। এছাড়া মহাস্থানগড়, লালমাই-ময়নামতি, লালবাগ কেল্লা, হলুদ বিহার এবং জগদ্দল বিহার - এই পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে (২০২২ পর্যন্ত)।