বায়ারফ্রিঞ্জেন্স
From Wikipedia, the free encyclopedia
বায়ারফ্রিঞ্জেন্স হলো কোনো বস্তুর প্রতিসরাঙ্ক থাকার একটি আলোকিক বৈশিষ্ট্য যা সমবর্তন এবং আলোর বিস্তারের দিকের ওপর নির্ভর করে।[1] এই আলোকিক ধারণার বস্তুগুলিকে বলা হয় বায়ারফ্রিঞ্জেন্ট (বা বায়ারফ্র্যাক্টিভ)। বায়ারফ্রিঞ্জেন্সকে প্রায়সই বস্তুর প্রতিসরণাঙ্কের সর্বোচ্চ পার্থক্যের ভিত্তিতে গণনা করা হয়। প্রায়শই অ-ঘনকাকৃতির স্ফটিকের গঠন গঠন সম্পন্ন স্ফটিকগুলি বায়ারফ্রিঞ্জেন্ট হয়, যেমন যান্ত্রিক পীড়নের অধীন প্লাস্টিক।
বায়ারফ্রিঞ্জেন্স যুগ্ন প্রতিসরণের কারণ যাদ্দারা, বায়ারফ্রিঞ্জেন্ট বস্তুর আপতিত কোনো আলোক রশ্মি কিছুটা ভিন্ন রাস্তা বেছে নেয় এবং দুইটি রশ্মিতে বিভক্ত হয়ে যায়। এই ক্রিয়াটি ১৬৬৯ সালে একজন ডেনিস বিজ্ঞানি র্যাসমুস বারটালিন কর্তৃক প্রথম বর্ণিত হয়, যিনি অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী বায়ারফ্রিঞ্জেন্স সম্পন্ন ক্যালসাইট স্ফটিকে ইহা পর্যবেক্ষণ করেন।[2] যদিও, ১৯ শতকের আগে অগাস্টিন-জিন ফ্রিনেল কর্তৃক মেরুকরণের মাধ্যমে, আলোকে অনুপ্রস্থ মেরুকরণ (তরঙ্গ ভেক্টরের দিকের সাথে উল্লম্ব) ক্ষেত্র সম্পন্ন তরঙ্গ হিসেবে উপলব্ধি করা এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।