বিরল মৃত্তিকা মৌল
From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্তর্জাতিক বিশুদ্ধ ও ফলিত রসায়ন সংস্থার সঙ্গানুযায়ী, বিরল মৃত্তিকা মৌল' বা বিরল মৃত্তিকা ধাতু হলো পর্যায় সারণির ১৭ টি মৌলের একটি সেট, আরো বিশদভাবে, ১৫ টি ল্যান্থানাইড মৌল এবং সেই সাথে স্ক্যানডিয়াম ও ইট্রিয়াম।[2] স্ক্যানডিয়াম ও ইট্রিয়ামকে বিরল মৃত্তিকা মৌল হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেননা এরা সেইরকম আকরিক কল্কে থাকতে চাওয়ার প্রবণতা দেখায় যেভাবে ল্যান্থানাইডগুলি থাকে এবং এরা ল্যান্থানাইডের মতই রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, যদিও এদের বৈদ্যুতিক ও চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য ভিন্ন।[3] কদাচিৎ, একটি প্রসর সঙ্গানুযায়ী, অ্যাক্টিনাইডকেও এদের অন্তর্ভুক্ত করা যায় কেননা এরা কিছু খনিজ, রাসায়নিক ও ভৌত (বিশেষ ভাবে, ইলেক্ট্রন শক্তিস্তর বিন্যাস) বৈশিষ্ট্য বিনিময় করে।[4]
এদের এমন নাম সত্ত্বেও- এক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় প্রমিথিয়াম ব্যাতিক্রমি-ভূত্বকে এরা আপেক্ষিক ভাবে অঢেল, সিরিয়াম সহ, যা ৬৮ প্রতি-অংশ অঙ্কানুপাতে ২৫ তম সবচেয়ে প্রতুল উপাদান, তামার চেয়েও প্রতুল। যাইহোক, এদের ভূরাসায়নিক বৈশিষ্টের কারণে বিরল মৃত্তিকা উপাদানগুলি সাধারণত বিক্ষিপ্ত এবং সাধারণত বিরল মৃত্তিকা খনিজে ঘনীকৃত থাকেনা; তাই এদের অর্থনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর উপযুক্ত আকরিক কল্কের সংখ্যা কম।[5] প্রথম আবিষ্কৃত বিরল মৃত্তিকা আকরিক (১৭৮৭ সালে) ছিলো সিরিয়াম, ইট্রিয়াম, লোহা, সিলিকন ও অন্যান্য উপাদানে গঠিত খনিজ গ্যাডোলিনাইট। এই খনিজটি সুইডেনের ইটারবি নামক গ্রামের একটি খনি থেকে নিষ্কাসিত করা হয়; এই একটি অঞ্চল থেকে উদ্ভূত নামে চারটি বিরল মৃত্তিকা মৌলের, আরবিয়াম, টারবিয়াম, ইট্রিয়াম ও ইটারবিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে।