ভাকরা বাঁধ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভাকরা বাঁধ উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের বিলাসপুর এলাকায় শতদ্রু নদীর উপর একটি কংক্রিট দ্বারা নির্মিত মাধ্যাকর্ষণ বাঁধ। বাঁধটি গোবিন্দ সাগর জলাধার গঠন করে।
ভাকরা বাঁধ | |
---|---|
হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে ভাকরা বাঁধ। | |
আনুষ্ঠানিক নাম | ভাকরা বাঁধ |
অবস্থান | বিলাসপুর, হিমাচল প্রদেশ, ভারত |
স্থানাঙ্ক | ৩১°২৪′৩৯″ উত্তর ৭৬°২৬′০″ পূর্ব |
নির্মাণ শুরু | ১৯৪৮ |
উদ্বোধনের তারিখ | ১৯৬৩ |
নির্মাণ ব্যয় | ₹২৪৫.২৮ কোটি ১৯৬৩ সালে |
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ | |
বাঁধের ধরন | কংক্রিট মাধ্যাকর্ষণ |
আবদ্ধতা | শতদ্রু নদী |
উচ্চতা | ৭৪১ ফু (২২৬ মি) |
দৈর্ঘ্য | ১,৭০০ ফু (৫২০ মি) |
প্রস্থ (চূড়ায়) | ৩০ ফু (৯.১ মি) |
প্রস্থ (ভিত্তিতে) | ৬২৫ ফু (১৯১ মি) |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধরন | নিয়ন্ত্রণ, অধিপ্রবাহ |
জলাধার | |
তৈরি | গোবিন্দসাগর জলাধার |
মোট ধারণক্ষমতা | 9.340 km3 |
পৃষ্ঠতলের আয়তন | 168.35 km2 |
পাওয়ার স্টেশন | |
সম্পাদনের তারিখ | ১৯৬০-১৯৬৮ |
ঘূর্ণযন্ত্র | 5 x 108 MW, 5 x 157 MW Francis-type |
স্থাপিত ক্ষমতা | 1325 MW |
২২৬ মিটার উচু বাঁধটি, হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর জেলার ভাকরা গ্রামের [1] কাছাকাছি অবস্থিত। বাঁধের দৈর্ঘ্য (উপরে রাস্তা থেকে মাপা) ৫১৮.২৫ মিটার এবং প্রস্থ ৯.১ মিটার। "গোবিন্দ সাগর" নামে পরিচিত বকঁধের জলাশয় ৯.৩৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পর্যন্ত জল সংরক্ষণ করতে পারে। ভাকরা বাঁধ দ্বারা নির্মিত ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাধার ১৬৮.৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। জলের পরিমাণ অনুযায়ী, এটি ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জলাধার। ১২২২ বিলিয়ন ঘন মিটার আয়োতনের বৃহত্তম জলাধার মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার হল নাগরজুনা সাগর।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু,[2] "পুনরত্থানশীল ভারতে নতুন মন্দির" হিসাবে বর্ণনা করা করেছিলেন বাঁধটিকে। এই বাঁধটি সারা ভারতে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। নানগাল শহর থেকে ১৫ কিমি এবং নয়না দেবী শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাকরা বাঁধ অবস্থিত।
পাঞ্জাবের নাঙ্গাল বাঁধটি ভাখরা বাঁধের ভাটিতে অবস্থিত। তবে, কখনও কখনও উভয় বাঁধ দুটিকে ভাকরা-নাঙ্গাল বাঁধ নামে অভিহিত হয় যদিও তারা দুটি পৃথক বাঁধ।
ভাকরা বাঁধ সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩১°২৪′৩৯″ উত্তর ৭৬°২৬′০০″ পূর্ব |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ১৭০০ ফুট |
প্রস্থ | ৩০ ফুট |
অবস্থান | |
ভারতবর্ষ বিভাজনের পর ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রথম উপত্যকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ভাকরা-নাঙ্গাল বহুমুখী বাঁধ, যদিও ভারত একটি মুক্ত জাতি হয়ে উঠার আগেই এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪৪ সালের নভেম্বরে বিলাসপুরের রাজাসহ এই প্রকল্পটির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি প্রকল্প পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রাথমিক কাজ ১৯৪৬ সালে শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। জওহরলাল নেহেরু ১৯৫৫ সালের নভেম্বর ১৭ সালে শতদ্রু নদীর বাঁধ নির্মাণের জন্য কংক্রিটের প্রথম বালতিটি ঢেলে দেন, যা কাজের সূচনার একটি প্রতীকী। সেখানে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং তিনি বলেন, "ভারতবর্ষের জনগণ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের যে শ্রমিকরা এই বাঁধটি তৈরি করেছে, তাদের কাছে এটা একটি উপহার"।[3] ১৯৬৩ সালের শেষ নাগাদ এই বাঁধটি সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯৭০-র দশকের প্রথম দিক বাঁধটি সাফল্যতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছিল।
তেহরি বাঁধের নির্মাণের পর ভাকরা বাঁধ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বাঁধে পরিণত হয়েছে। [4] এটি একটি বিশাল সংখ্যক পর্যটককে আকর্ষণ করে। পর্যটকেরা বাঁধের জলাধার এবং আকর্ষণীয় স্থানটি পরিদর্শন করে। তবে নিরাপত্তার কারণে ভাকরা-নাঙ্গাল বাঁধ পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।[5] নাঙ্গাল এবং ভাকরা বাঁধের দূরত্ব মধ্যে প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার।
বাঁধ দ্বারা নির্মিত বৃহৎ জলাধার বিলাসপুর জেলার একটি বড় অংশের জনবসতির স্থানান্তর ঘটায়। প্রায় ৩৭১ টি গ্রাম ডুবে যায় জলাধারে। এই জলাধার নির্মাণ সমাপ্তির ৫০ বছর পরও স্থানচ্যুতি মানুষদের পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের একটি প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.