ভারতে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
বর্তমানে ভারতে করোনাভাইরাস অতিমারি / From Wikipedia, the free encyclopedia
কোভিড-১৯ অতিমারিটির প্রথম ঘটনা ভারতে ৩০ জানুয়ারী ২০২০ সালে হয়েছিল যেটি চীন থেকে শুরু হয়েছে। ১ অক্টোবর ২০২১ অনুসারে মোট সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩,৩৭,৬৬,৭০৭ জন যার মধ্যে ৪,৪৮,৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩,৩০,৪৩,১৪৪ জন সুস্থ হয়ে গেছে। ভারতে অন্যদেশের তুলনায় কম হারে মানুষদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে সংক্রমণের সংখ্যাটি যথেষ্ট পরিমাণে অবমূল্যায়ন হতে পারে। [7] ভারতে কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর হার ১ অক্টোবর ২০২১ অনুসারে ১.৩৩%।[4] ভারতে কোভিড-১৯ পরীক্ষা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ অনুসারে প্রতি দশ লক্ষে ৪,০৯,১৮০.৯১ জন।[4]
এই নিবন্ধটিতে সাম্প্রতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার অগ্রগতির সাথে সাথে এই ঘটনাটি সম্পর্কিত তথ্যগুলি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। যদিও এই নিবন্ধটি বেশ দ্রুত হালনাগাদ করা হবে, কিন্তু এটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করে না যে এখানে দুর্যোগ সম্পর্কিত সর্বশেষ সকল তথ্য পাওয়া যাবে। |
ভারত()-এ কোভিড-১৯ অতিমারি | |
---|---|
রোগ | করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) |
ভাইরাসের প্রজাতি | সার্স-কোভ-২ [1] |
স্থান | ভারত |
প্রথম সংক্রমণের ঘটনা | ত্রিশূর, কেরল[2] |
উৎপত্তি | উহান, হুবেই, চীন[3] |
নিশ্চিত আক্রান্ত | ৩,৩৭,৬৬,৭০৭ (১ অক্টোবর ২০২১)[4][lower-roman 1] |
সক্রিয় আক্রান্ত | ২,৭৫,২২৪[4] |
সুস্থ | ৩,৩০,৪৩,১৪৪ (১ অক্টোবর ২০২১)[4][lower-roman 2] |
মৃত্যু | ৪,৪৮,৩৩৯ (১ অক্টোবর ২০২১)[4][lower-roman 3] |
মৃত্যুর হার | ১.৩৩% |
অঞ্চল | ২৮টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল[4] |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | |
www |
প্রাদুর্ভাবটি দিল্লি,[8] হরিয়ানা,[9] কর্ণাটক,[10] মহারাষ্ট্র [11] গুজরাত,[12] এবং উত্তরপ্রদেশ [13] ইত্যাদি এক ডজনেরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে মহামারী রোগ আইন, ১৮৯৭ এর বিধানসমূহ আহবান করা হয়েছে। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগক্ষেত্রে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার ঘটনা অন্যান্য দেশের সাথে সংযুক্ত থাকায় ভারতও, সমস্ত পর্যটন ভিসা স্থগিত রেখেছে।[14] ২৩ টি রাজ্য ও সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ৫৪৮টি জেলা যেগুলো সম্পূর্ণরূপে লকডাউন বা অবরুদ্ধকরণের অধীনে আছে।[15]
২০২০ সালের ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ভারত ১৪ ঘণ্টা স্বেচ্ছাসেবামূলক জনতা কার্ফু পালন করেছে। যেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটেছে সেই ৭৫টি জেলায় পাশাপাশি সমস্ত বড় শহরগুলিতেও সরকার অবরুদ্ধকরণ বা লকডাউন করে তা অনুসরণ করেছে । [16][17] পরে, ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ১৩০ কোটি জনসংখ্যা সমৃদ্ধ সারা ভারতে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন।[18]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেছিলেন যে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ভারতের "অভাবনীয় ক্ষমতা" ছিল এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ হিসাবে বিশ্বে ভারতের মোকাবিলা করার ক্ষমতার উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।[19]
অন্যান্য মন্তব্যকারীরা লকডাউন দ্বারা অর্থনৈতিক বিধ্বস্ততা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। এই অর্থনৈতিক বিধ্বস্ততার ফলে অস্থায়ী শ্রমিক, ক্ষুদ্র প্রকল্প, কৃষক এবং স্ব-কর্মসংস্থানকারীদের উপর বিরাট প্রভাব পড়েছে, যারা পরিবহনের এবং বাজারের যোগানের অভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না।[20]
শিব নাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৪ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে লকডাউন না হলে ভারতবর্ষে ৩১,০০০ রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারত।[21]