![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/00/Moore%2527s_Law_Transistor_Count_1970-2020.png/640px-Moore%2527s_Law_Transistor_Count_1970-2020.png&w=640&q=50)
মুরের সূত্র
From Wikipedia, the free encyclopedia
মুরের সূত্র বলতে একটি আপাত-সূত্রকে বোঝায়, যাতে বলা হয় যে কোনও সমন্বিত বর্তনীতে উপস্থিত ট্রানজিস্টরের সংখ্যা মোটামুটি প্রতি দুই বছর অন্তর দ্বিগুণ হবে। এটি আসলে কোনও বৈজ্ঞানিক সূত্র নয়, বরং ঐতিহাসিক তথ্য পর্যবেক্ষণ করে প্রণীত ভবিষ্যৎ প্রবণতার পূর্বাভাস।
![refer to caption](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/00/Moore%27s_Law_Transistor_Count_1970-2020.png/640px-Moore%27s_Law_Transistor_Count_1970-2020.png)
মার্কিন অর্ধপরিবাহী প্রযুক্তি কোম্পানি ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর ও ইন্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুরের নামে এই সূত্রটির নামকরণ করা হয়েছে। মুর ১৯৬৫ সালে মত দেন যে প্রতিটি সমন্বিত বর্তনীতে উপাংশ বা ট্রানজিস্টরের সংখ্যা প্রতি বছরে দ্বিগুণ হয়[lower-alpha 1] এবং তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেন যে এই হার কমপক্ষে আরও এক দশক অব্যাহত থাকবে। ১৯৭৫ সালে এসে মুর তাঁর ভবিষ্যৎবাণীতে সংশোধন এনে বলেন যে প্রতি দুই বছরে ট্রানজিস্টর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে, অর্থাৎ প্রতি বছর সংখ্যাবৃদ্ধির হার হবে ৪১%। যদিও মুর কোনও পরীক্ষালব্ধ বা অভিজ্ঞতালব্ধ উপাত্তের উপর ভিত্তি না করেই এই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, তার পরেও তাঁর এই পূর্বাভাস ১৯৭৫ সাল থেকে বহু দশক ধরে সঠিক প্রমাণিত হয় এবং এটিকে একটি অনানুষ্ঠানিক "সূত্র" হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হয়।
মুরের পূর্বাভাসটিকে অর্ধপরিবাহী শিল্পখাতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা পরিচালিত করতে এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এটিকে এক ধরনের স্বতঃসিদ্ধকারী ভবিষ্যৎবাণী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। দ্বি-আংকিক ইলেকট্রন বিজ্ঞান তথা ডিজিটাল ইলেকট্রনিকসের বিভিন্ন অগ্রগতি যেমন গুণমানের সাথে উপযোজিত অণুপ্রক্রিয়াজাতকারকের (মাইক্রোপ্রসেসর) মূল্যহ্রাস, পরিগণক স্মৃতির (কম্পিউটার মেমরি) ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি (দৈব-অভিগম্যতা স্মৃতি বা র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি তথা র্যাম, এবং ফ্ল্যাশ স্মৃতি বা ফ্ল্যাশ মেমরি), ডিজিটাল সুবেদী গ্রাহকের (ডিজিটার সেন্সর) উন্নতি, এমনকি ডিজিটাল আলোকচিত্রগ্রাহক যন্ত্র তথা ডিজিটাল ক্যামেরার চিত্রাণু বা পিক্সেলের সংখ্যা ও আকার মুরের সূত্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ডিজিটাল ইলেকট্রন বিজ্ঞানের এই চলমান পরিবর্তনগুলি প্রযুক্তিগত ও সামাজিক পরিবর্তন, উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
মুরের সূত্রটির প্রযোজ্যতা কখন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে, সে বিষয়ে শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞরা এখনও ঐকমত্যে পৌঁছাননি। অণুপ্রক্রিয়াজাতকারক (মাইক্রোপ্রসেসর) স্থপতিরা বিবৃতি দিয়েছেন যে ২০১০ সাল নাগাদ অর্ধপরিবাহী শিল্পখাতের অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়ে এবং মুরের সূত্রের পূর্বাভাসের খানিকটা নিচে অবস্থান করে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এনভিডিয়া কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং মুরের সূত্রকে মৃত ঘোষণা করেন।[2] তবে ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট গ্যালসিঙ্গার তাঁর বিরুদ্ধ মত পোষণ করেন।[3]