মৃত সন্তান প্রসব
From Wikipedia, the free encyclopedia
মৃত সন্তান প্রসবকে সাধারণত গর্ভধারণের ২০ থেকে ২৮ সপ্তাহে বা তার পরবর্তীতে ভ্রূণের মৃত্যু দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়।[1][2] এতে প্রসব হওয়া একটি শিশুর মধ্যে প্রাণের কোনো প্রকার চিহ্ন থাকে না।[2] এ ধরনের ঘটনায় মৃত সন্তানের মায়ের মধ্যে অপরাধবোধের সৃষ্টি হতে পারে।[7] ঘটনাটি গর্ভস্রাব (যাতে গর্ভধারণের প্রথম দিকেই সন্তানহানী ঘটে) এবং জীবিত সন্তান প্রসব (যদিও বা শিশুটি তৎক্ষণাৎ মারা যায়) হতে সম্পূর্ণ আলাদা।[7]
মৃত সন্তান প্রসব | |
---|---|
প্রতিশব্দ | ভ্রূণের মৃত্যু[1] |
আল্ট্রাসাউন্ড প্রায়শই গর্ভের সন্তানের মৃত্যু এবং এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত অন্যান্য শারীরিক অবস্থা নিরুপণে ব্যবহৃত হয়। | |
বিশেষত্ব | ধাত্রীবিদ্যা |
লক্ষণ | গর্ভধারণের ২০ থেকে ২৮ সপ্তাহে বা এর পরবর্তীতে ভ্রুণের মৃত্যু।[1] |
কারণ | প্রায়শই অজ্ঞাত, গর্ভধারণে জটিলতা[1][2][3] |
ঝুঁকির কারণ | মায়ের বয়স ৩৫ এর উপরে হওয়া, ধূমপান, মাদক গ্রহণ, প্রজননের সহায়ক প্রযুক্তির (ART) ব্যবহার, প্রথম গর্ভধারণ।[4] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | গর্ভে কোনোরূপ নড়াচড়া অনুভুত না হওয়া, আল্ট্রাসাউন্ড[5] |
চিকিৎসা | প্রসববেদনা প্রতিষ্ঠা করা, প্রসারণ ও অপসারণ (D&E)[6] |
সংঘটনের হার | ২৬ লক্ষ (প্রত্যেক ৪৫টি জন্মে ১ বার)[2] |
প্রায়শই এর কারণ অজ্ঞাত থেকে যায়।[1] গর্ভধারণকালীন জটিলতা যেমনঃ প্রি-এক্লাম্পসিয়া, গর্ভফুল বা নাড়ি সম্পর্কিত সমস্যা, জন্মগত ত্রুটি, সংক্রমণ যেমনঃ ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, মায়ের দূর্বল স্বাস্থ্য এর অন্যতম কারণ।[2][3][8] মায়ের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হওয়া, ধূমপান, মাদক গ্রহণ, প্রজননে সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রথম গর্ভধারণ হলে তা গর্ভে সন্তান মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাড়ায়।[4] গর্ভে কোনো প্রকার নড়াচড়া পরিলক্ষিত না হলে ভ্রূণের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা যেতে পারে।[5] পরবর্তীতে আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।[5]
আধুনিক উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাহায্যে বিশ্বব্যাপী মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার অধিকাংশ ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।[2][9] অর্ধেকের মতো মৃত শিশু প্রসবের সময় আবিস্কৃত হয়, যার বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশসমুহে দেখা যায়।[2] অন্যথায়, গর্ভধারণের সময়কালের উপরে নির্ভর করে ঔষধের দ্বারা প্রসববেদনা আরোপ করার মাধ্যমে প্রসব করানো বা প্রসারণ ও অপসারণ (D&E) নামক সার্জারি করানো যেতে পারে।[6] একবার মৃত সন্তান প্রসব করার পর মায়েরা আরেকবার মৃত সন্তান প্রসব করার ঝুকিতে থাকেন; যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরবর্তী গর্ভধারণে একই প্রকার জটিলতা সমুহ থাকে না।[10] এই প্রকার ঘটনার পর বিষন্নতা, অর্থনৈতিক ক্ষতি, পরিবারে ভাঙন পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।[9]
২০১৫ সালে পুরোবিশ্বে ২৬ লক্ষ শিশু মৃত জন্মগ্রহণ করে যারা গর্ভে আসার ২৮ সপ্তাহ পর মারা যায় (প্রত্যেক ৪৫টি জন্মে একবার)।[2][11] উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব সাহারান আফ্রিকায় এটি প্রায়শই দেখা যায়।[2] যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেক ১৬৭টি জন্মে একটি শিশু মৃত জন্মগ্রহণ করে।[11]