Loading AI tools
ভারতীয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হল পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরে অবস্থিত একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।
রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র | |
---|---|
দেশ | ভারত |
অবস্থান | রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
অবস্থা | সক্রিয় |
কমিশনের তারিখ | ২৭ মার্চ ২০১৬ |
পরিচালক | দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন |
বিদ্যুৎ উৎপাদন | |
কর্মক্ষম একক | ২ টি |
২০০৭ সালে রঘুনাথপুরে বাম সরকার প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের রঘুনাথপুরে অবস্থিত এই ২x৬৬০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় (এর আগে রিলায়েন্স এনার্জি লি) দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) দ্বারা ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক নিলামীতে (আইসিবি)। এই বহু-রাজ্য প্রকল্পটি ডিভিসি দ্বারা ভারত সরকারের বিদ্যুতের মেগা পাওয়ার নীতি'র অধীনে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়।[1] ভারতের রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিট'টি মূলত ২০১০ সালের নভেম্বরে চালু কররা জন্য নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার পরে ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হয়। নির্ধারণ করা হয় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে যথাক্রমে প্রায় ৬,০০০ কোটি এবং ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু স্থানীয় জমি অধিগ্রহণের জন্য কঠোর প্রতিরোধের কারণে প্রকল্পটি আরম্ভ করা সম্ভব হয়নি সেই সময়ে।[2]
দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) ২০১২-২০১৩ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর ব্লকে তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরির পরিকল্পনা করে।[2]
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দুটি ধাপে গড়ে উঠবে। প্রথম ধাপে ৬০০ মেগাওয়াডের ২ টি ইউনিট ও দ্বিতীয় ধাপে ৬৬০ মেগাওয়াডের ২ টি ইউনিট নির্মাণের কথা বলা হয়। মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৫৩০ মেগাওয়াট।বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপের ৬০০ মেগাওয়াটের ২ টি ইউনিটটি চালু করা হয় ২০১৬ সালে।
ইউনিট নং | উৎপাদন ক্ষমতা | চালু হয়েছে | অবস্থা |
---|---|---|---|
১ | ৬০০ মেগাওয়াট | ২৭ মার্চ ২০১৬ | (বাণিজ্যিক পরিচালনা ২৭ মার্চ ২০১৬)[3] |
২ | ৬০০ মেগাওয়াট | মার্চ ২০১৬ | সম্পূর্ণ লোড ২০১৬ সালে অর্জন করেছে |
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে জ্বালানী হিসেবে কয়লা ব্যবহৃত হয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আনা হয় ঝরিয়া ও তালচের কয়লা খনি থেকে।[4]
প্রথম দিকে কয়লা খনি থেকে কয়লা সড়ক পথে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিবহন করা হত। এই পদ্ধতিতে দৈনিক পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হত। কিন্তু ২ টি ইউনিটের জন্য কয়লার চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি। কয়লার অভাব মেটাতে ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে আরসিআর (রেল কাম রোড করিডর) পদ্ধতিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা আনার কাজ শুরু হয়। এই পদ্ধতিতে প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তিনটি সাইডিং রুকনি, চৌরাশি ও রাধানগরে মালগাড়িতে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লা আসে। এর পরে সেখান থেকে সড়কপথে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিবহন করা হয়। ডিভিসি'র কর্মকর্তারা ধারণা করেন, দৈনিক পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবর্তে আরসিআর পদ্ধতিতে কয়লার দৈনিক জোগান বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার মেট্রিক টন।[5][6]
পাঞ্চেত বাঁধ থেকে জল সরবরাহের করিডোরের জন্য আরও ৫১ একর অধিগ্রহণ করা হয়। এই অধিগ্রহণ করা ৫১ একর জমির ১,৬০০ জন মালিকের মধ্যে ১,০০০ জন স্থায়ী চাকরির দাবিতে কর্পোরেশন কাজ করতে অস্বীকার করছেন।
জমি অধিগ্রহণ সমস্যার কারণে, জল এবং রেল যোগাযোগ বড় সমস্যা হিসাবে দেখাদেয় প্রকল্পটিতে, যার ফলে প্রকল্পটি সময়সূচির থেকে পিছিয়ে চলতে থাকে। মূলত প্রকল্পের জায়গা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্চেত বাঁধ থেকে প্রকল্পের জন্য জলের পাইপলাইন নির্মাণের জন্য জমি না পাওয়ায় প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.