![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b5/Ross_Sea%252C_Summer_2016_25.jpg/640px-Ross_Sea%252C_Summer_2016_25.jpg&w=640&q=50)
রস সাগর
এন্টার্কটিকার গভীর উপসাগর / From Wikipedia, the free encyclopedia
রস সাগর হল অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ মহাসাগরে একটি গভীর উপসাগর। এটি রস খাড়ির অন্তস্থিত এবং ভিক্টোরিয়া ল্যান্ড ও মেরি বিয়ার্ড ল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর দক্ষিণতম সাগর। এই সাগরের নামকরণ হয়েছে ব্রিটিশ অভিযাত্রী জেমস রসের নামে। তিনি ১৮৪১ সালে এই অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিলেন। এই সমুদ্রের পশ্চিমে রস দ্বীপ এবং ভিক্টোরিয়া ল্যান্ড, পূর্বে রুজভেল্ট দ্বীপ এবং মেরি বিয়ার্ড ল্যান্ডের সপ্তম এডওয়ার্ড উপদ্বীপ। এর দক্ষিণ দিকের অংশটি রস হিম স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত এবং দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় ২০০ মাইল (৩২০ কিমি) দূরে অবস্থিত। এর সীমানা এবং অঞ্চলটি নির্ধারিত করেছে নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রাসার্চ। অঞ্চলের বিস্তৃতি ৬,৩৭,০০০ বর্গকিলোমিটার (২,৪৬,০০০ মা২)।[1]
রস সাগর | |
---|---|
![]() রস সাগরে বরফ | |
![]() অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রসমূহ, নীচে-বামে রস সাগর | |
অবস্থান | অ্যান্টার্কটিকা |
স্থানাঙ্ক | ৭৫° দক্ষিণ ১৭৫° পশ্চিম |
ধরন | Sea |
ব্যুৎপত্তি | জেমস রস |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | দক্ষিণ মহাসাগর |
চক্রাকার গভীর জল প্রবাহ তুলনামূলকভাবে উষ্ণ, নোনতা এবং খণিজ সমৃদ্ধ জল-ভর। এই জল মহাদেশীয় স্তরের নির্দিষ্ট জায়গায় প্রবাহিত হয়।[2][3] রস সাগর বছরের বেশিরভাগ সময় বরফে ঢাকা থাকে।[4]
পুষ্টিতে ভরপুর জল প্রচুর প্লাঙ্কটন প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখে এবং তাই এই অঞ্চল সামুদ্রিক প্রাণিতে সমৃদ্ধ। কমপক্ষে দশটি স্তন্যপায়ী প্রজাতি, ছয়টি পাখির প্রজাতি এবং ৯৫টি মাছের প্রজাতি এবং অন্যান্য অনেকগুলি অমেরুদণ্ডী প্রাণী এখানে দেখতে পাওয়া যায়। মানব ক্রিয়াকলাপ দ্বারা এই সমুদ্রাঞ্চল অপেক্ষাকৃত অপ্রভাবিত। নিউজিল্যান্ড দাবি করে যে রস অধীনক্ষেত্রের অংশ হিসাবে সমুদ্রটি তাদের আইনগত অধিকারে আছে। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা এই সমুদ্রে উচ্চ স্তরের জৈব বৈচিত্র্য আছে বলে মনে করেন এবং এটি অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্থান। এও স্থানটি কিছু পরিবেশবিদ দলের ক্রিয়া-কেন্দ্র, যারা এই অঞ্চলটিকে বিশ্ব সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার জন্য প্রচার চালিয়েছিল। ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চলটি সামুদ্রিক উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়েছিল।[5]