রাজ্জাক
বাংলাদেশী অভিনেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
আব্দুর রাজ্জাক (২৩শে জানুয়ারি ১৯৪২ - ২১শে আগস্ট ২০১৭) ছিলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন।[2] নিজের জন্মস্থান কলকাতায় সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে ১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে।[2] তিনি জহির রায়হানের বেহুলা চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে এবং সত্তরের দশকেও তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। অভিনয় জীবনে তিনি বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নিচে, জীবন থেকে নেয়া, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, ছুটির ঘণ্টা এবং বড় ভালো লোক ছিলসহ মোট ৩০০টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সব মিলিয়ে ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার মালিকানার রাজলক্ষী প্রোডাকশন থেকে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।[4][5][6][7] তার পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলো হলো মৌচোর, বদনাম, পাগলা রাজা, ঢাকা ৮৬, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, জিনের বাদশা , রাজামিস্ত্রি, প্রফেসর, বাবা কেন চাকর, সন্তান যখন শত্রু, আমি বাঁচতে চাই, মন দিতে চাই ইত্যাদি।
আব্দুর রাজ্জাক | |
---|---|
জন্ম | (১৯৪২-০১-২৩)২৩ জানুয়ারি ১৯৪২ |
মৃত্যু | ২১ আগস্ট ২০১৭(2017-08-21) (বয়স ৭৫)[3] |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৬৪–২০১৭ |
প্রতিষ্ঠান | রাজলক্ষী প্রোডাকশন |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | পূর্ণ তালিকা |
দাম্পত্য সঙ্গী | খায়রুন্নেছা লক্ষী |
সন্তান | বাপ্পারাজ (রেজাউল করিম) নাসরিন পাশা শম্পা রওশন হোসাইন বাপ্পি আফরিন আলম ময়না সম্রাট (খালিদ হোসাইন)[2] |
পিতা-মাতা | |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৬ বার) স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৫) |
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।[8] ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।[4] এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।[4] ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রথম সভাপতি ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক[9][10]। ২০১৭ সালের ২১শে আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[4]