লর্ডহাউ দ্বীপ
অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
লর্ড হাউ দ্বীপ হল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যবর্তী তাসমান সাগরে অবস্থিত ২৮ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপাঞ্চল। লর্ড হাউ এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হওয়ার কারণে দ্বীপপুঞ্জকে এই নামেই ডাকা হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের অংশ। এটি সিডনি থেকে প্রায় ৭৮০ কিমি (৪২০ নটিক্যাল মাইল) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি প্রায় ১০ কিমি দীর্ঘ এবং এভারেজে ২ কিমি প্রশস্ত। [5]এর বেশিরভাগ জনসংখ্যা উত্তরাংশে বাস করে। দক্ষিণ অংশ বনভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এবং সেখানে দ্বীপের সর্বোচ্চ বিন্দু মাউন্ট গাওয়ার রয়েছে।[6][7]
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | তাসমান সাগর |
স্থানাঙ্ক | ৩১°৩৩′১৫″ দক্ষিণ ১৫৯°০৫′০৬″ পূর্ব |
মোট দ্বীপের সংখ্যা | ২৮ |
প্রধান দ্বীপসমূহ | লর্ড হাউ দ্বীপ,মাটন বার্ড দ্বীপ |
আয়তন | ১৪.৫৫ বর্গকিলোমিটার (৫.৬২ বর্গমাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৮৭৫ মিটার (২,৮৭১ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | মাউন্ট গাওয়ার |
প্রশাসন | |
প্রশাসনিক বিভাগ | নিউ সাউথ ওয়েলস এর বহিরাগত এলাকা লর্ড হাউ আইসল্যান্ড বোর্ড কর্তৃক স্বশাসিত[1] electoral district of Port Macquarie এর অংশ[2] Division of Sydney এর অংশ[3] |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৩৮২ (২০১৬) [4] |
জনঘনত্ব | ২৬.২৫ /বর্গ কিমি (৬৭.৯৯ /বর্গ মাইল) |
অতিরিক্ত তথ্য | |
সময় অঞ্চল |
|
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) |
|
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | লর্ড হাউ আইসল্যান্ড গ্রুপ |
ধরন | Natural |
মানক | vii, x |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 1982 (6th session) |
রেফারেন্স নং | 186 |
Region | Asia-Pacific |
Australian National Heritage List | |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Lord Howe Island Group, Lord Howe Island, NSW, Australia |
ধরন | Natural |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 21 May 2007 |
রেফারেন্স নং | টেমপ্লেট:ANHL |
File number | 1/00/373/0001 |
New South Wales Heritage Register | |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Lord Howe Island Group |
ধরন | State heritage (landscape) |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 2 April 1999 |
রেফারেন্স নং | 970 |
Type | Other – Landscape – Cultural |
Category | Landscape – Cultural |
প্রথম ১৭৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হেনরি লিডগ্বার্ড লর্ড হাউ দ্বীপে আগমন করেন। তিনি কয়েদীদের রাখার একটি নিরাপদ স্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য বোটানি বে থেকে সেদিকে গিয়েছিলেন। [8] ফিরতি যাত্রায় তিনি লর্ড হাউ দ্বীপের তীরে একটি দল পাঠান এবং এটিকে ব্রিটিশ দখল হিসেবে দাবি করেন। [9] পরবর্তীকালে এটি তিমি শিকার শিল্পের জন্য একটি প্রভিশনিং বন্দরে পরিণত হয়। [10] [11] ১৮৩৮ সালের জুন মাসে এখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করা হয়। ১৯৮০ এর দশকে যখন তিমি শিকার হ্রাস পায়, তখন দ্বীপ থেকে কেন্টিয়া পাম বিশ্বব্যাপী রপ্তানির সূচনা হয়। [12] এটি এখনো দ্বীপের অর্থনীতির একটি মূল উপাদান হিসেবে রয়ে গেছে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ হওয়ার পর থেকে এখানে পর্যটন শিল্প অব্যাহত আছে।
ইউনেস্কো লর্ড হাউ আইল্যান্ড গ্রুপকে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক তাৎপর্যের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে রেকর্ড করেছে।[13] সেখানে এমন অনেক গাছপালা এবং প্রাণী আছে যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায় না। অন্যান্য প্রাকৃতিক আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে ল্যান্ডস্কেপের বৈচিত্র্য, উপরের ম্যান্টেল এবং মহাসাগরীয় বেসাল্টের বৈচিত্র্য, বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষিণের বাধা প্রবাল প্রাচীর, সামুদ্রিক পাখি এবং সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। [14] [15] দ্বীপটি ২০০৭ সালের ২১ মে অস্ট্রেলীয় জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়।[16][17]