শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)
ভারতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার / From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) হল ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মানিত পুরস্কার। এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে রজত কমল পুরস্কার নামে পরিচিত। ভারত সরকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসেবে ১৯৬৮ সাল থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের মুখ্য অভিনেত্রী চরিত্রে সেরা কাজের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে।[1][2] ১৯৫৪ সালে প্রবর্তনকালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছিল "চলচ্চিত্রের জন্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার" এবং রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের অংশ হিসেবে ১৯৬৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার "শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রি বিভাগে ঊর্বশী পুরস্কার" নামে প্রদান করা হত।[1][3][4] ১৯৭৫ সালে ঊর্বশী পুরস্কারের পুনর্নামকরণ করা হয় "শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে রজত কমল পুরস্কার"। ২০১৮ সালের আয়োজন পর্যন্ত যৌথ পুরস্কার ও একাধিকবার পুরস্কার বিজয়ী হিসাব করে ভারত সরকার ৪১ জন ভিন্ন অভিনেত্রীকে মোট ৫২টি পুরস্কার প্রদান করেছে।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) | |
---|---|
বিবরণ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য রজত কমল পুরস্কার |
অবস্থান | ভারত |
দেশ | ভারত |
পুরস্কারদাতা | চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর |
পুরস্কার | রজত কমল ₹ ৫০,০০০ |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৬৮ |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০২০ |
বর্তমানে আধৃত | কঙ্গনা রানাওয়াত মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি |
ওয়েবসাইট | dff |
১৯৬৮ সালে ১৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে প্রদত্ত এই পুরস্কার লাভ করেন নার্গিস দত্ত রাত অউর দিন চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য।[5] সর্বাধিক পাঁচবার এই পুরস্কার অর্জন করেন শাবানা আজমি[6] এবং তার পরই অবস্থান করছেন তিনবার পুরস্কার বিজয়ী শারদা। এছাড়া স্মিতা পাতিল, অর্চনা, শোভনা, তাবু ও কঙ্গনা রানাওয়াত দুইবার করে এই পুরস্কার লাভ করেন। শারদা, অর্চনা ও শোভনা দুটি ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। শারদা দুটি মালয়ালম চলচ্চিত্র: তুলাবরম (১৯৬৮) ও স্বয়ংবরম (১৯৭২) এবং তেলুগু চলচ্চিত্র নিমজ্জনম (১৯৭৮)-এ অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। অর্চনা তামিল চলচ্চিত্র ভিডু (১৯৮৭) ও তেলুগু চলচ্চিত্র দাসী (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। শোভনা মালয়ালম চলচ্চিত্র মণিচিত্রতজু (১৯৯৩) ও ইংরেজি চলচ্চিত্র মিত্র, মাই ফ্রেন্ড (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালের আয়োজন পর্যন্ত মনীষা উন্নি এই পুরস্কারের সর্বকনিষ্ঠ বিজেতা, যিনি মালয়ালম চলচ্চিত্র নকক্সতঙ্গল (১৯৮৬) চলচ্চিত্র অভিনয় করে ১৬ বছর বয়সে এই পুরস্কার অর্জন করেন।[7][8] ২০১৮ সালের আয়োজন পর্যন্ত তিনবার যৌথভাবে দুজনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথমবার ১৯৯৭ সালে দহন চলচ্চিত্রের জন্য ইন্দ্রানী হালদার ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই পুরস্কার লাভ করেন, এবং তারাই একই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। বাকি দুবার যৌথভাবে পুরস্কার জিতেন ২০০১ সালে তাবু ও শোভনা এবং ২০১১ সালে মিতালি জগতপ ভরদকর ও সরন্যা পোন্বন্নন।