সখিপুর উপজেলা
টাঙ্গাইল জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
টাঙ্গাইল জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সখিপুর উপজেলা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
সখিপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে সখিপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′০″ উত্তর ৯০°১০′৫″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৪৩৫.৮৫ বর্গকিমি (১৬৮.২৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,৭৫,৯৮৬ |
• জনঘনত্ব | ৬৩০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৯৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৯৩ ৮৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
১৯৭৮ সালে উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আয়তন ৪৩৫.৮৫ বর্গকিমি ও ১৩২টি গ্রামের সখিপুর বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। এই উপজেলার ভৌগোলিক স্থানাক ২৪.৩১৬৭° উত্তর ৯০.১৭৫০° পূর্ব। এর উত্তরে ঘাটাইল উপজেলা, দক্ষিণে মির্জাপুর উপজেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা ও কালিয়াকৈর উপজেলা, পশ্চিমে কালিহাতী উপজেলা ও বাসাইল উপজেলা।
রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে চন্দ্রা-মির্জাপুরের গোড়াই হয়ে সখিপুরের দুরত্ব ৭৬.৯ কিলোমিটার। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই থেকে সখিপুর উপজেলা শহরের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে বাসাইল উপজেলা হয়ে ৪৮ কিলোমিটার। উপজেলার অভ্যন্তরে উপজেলা সদর থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত পাকা সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত।
সখিপুর উপজেলা ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সখিপুর উপজেলায় রয়েছে ১টি পৌরসভা এবং ১০ টি ইউনিয়ন রয়েছে,[2] এগুলো হলো:
কাহারতা (১ ও ২ নং ওয়ার্ড), কচুয়া (২নং ওয়ার্ড অংশ), সখিপুর (২, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড অংশ), গড়গোবিন্দপুর (৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড অংশ), বগা প্রতিমা, সানবান্দা, প্রতিমা বংকী (৬ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), কীর্তনখোলা (৮নং ওয়ার্ড অংশ)।
চকচকিয়া শ্রীপুর, ভূয়াইদ, ইন্দারজানী (১ ও ২নং ওয়ার্ড অংশ), বৈলারপুর, কাজিরামপুর, ভাতগড়া, ঢণঢণিয়া, সুরীরচালা, গড়বাড়ী (৪ ও ৫নং ওয়ার্ড অংশ), হামিদপুর, বাঘেরবাড়ী, কাকড়াজান (৭ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), মহানন্দপুর।
কালিয়ান (৮ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), বেতুয়া (৭ ও ৮নং ওয়ার্ড অংশ), বহেড়াতৈল, আমতৈল, শালগ্রামপুর, আন্ধি, ছাতিয়াচালা, বগাপ্রতিমা (৬নং ওয়ার্ড অংশ), যোগীরকোফা, ঘাটেশ্বরী, কামারঙ্গ, গোহাইলবাড়ী (১ ও ২নং ওয়ার্ড অংশ), ডাবাইল, খামারচালা, ভূগলীচালা, নয়াপাড়া, নেরগাছ চালা, ধোপারচালা।
কালিয়ানপাড়া (৭ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), কীর্তনখোলা (৮ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), ইছাদিঘী (১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড অংশ), মুচারিয়া পাথার (৪ ও ৫নং ওয়ার্ড অংশ), গজারিয়া।
বোয়ালী (২ ও ৩নং ওয়ার্ড অংশ), শোলা প্রতিমা, লাঙ্গুলিয়া (১ নং ওয়ার্ড- একটি আদর্শ গ্রাম), যাদবপুর, পাহাড় কাঞ্চনপুর (১ ও ৪নং ওয়ার্ড), নলুয়া (৩ ও ৭নং ওয়ার্ড অংশ), বেড়বাড়ী (৫ ও ৬নং ওয়ার্ড অংশ), বহুরিয়া চতলবাইদ (৮নং ওয়ার্ড অংশ), ঘেচুয়া (৮ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), নলুয়া ঘোনারপাড়া (৮নং ওয়ার্ড অংশ)।
রতনপুর (২ ও ৩নং ওয়ার্ড অংশ), চাকদহ (১ ও ২নং ওয়ার্ড অংশ), হাতীবান্ধা (৪ ও ৫নং ওয়ার্ড অংশ), তক্তারচালা (৬ ও ৭নং ওয়ার্ড অংশ), হতেয়া রাজাবাড়ী (৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), বাজাইল (৮ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), বড়চালা।
কালিয়া (১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড অংশ), নিশ্চিন্তপুর, কুতুবপুর (৫ ও ৬নং ওয়ার্ড অংশ), বড়চওনা (৪ ও ৫নং ওয়ার্ড অংশ), কচুয়া (৭নং ওয়ার্ড অংশ), কালিয়াপাড়া ঘোনারচালা (দক্ষিণ, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), বানিয়ারছিট।
প্রতিমা বংকী (৮ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), ছোট মৌসা, বড় মৌসা, গড়গোবিন্দপুর (৭নং ওয়ার্ড অংশ), ছিলিমপুর, দাড়িয়াপুর (১, ২, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ড অংশ), কাংগালীছেও, কৈয়ামধু (২ ও ৬নং ওয়ার্ড অংশ), দেওবাড়ী।
কালিদাস (১, ২ ও ৫নং ওয়ার্ড অংশ), বহুরিয়া চতলবাইদ (৩, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড অংশ), আটিয়া কালমেঘা (৫, ৬ ও ৯নং ওয়ার্ড অংশ), তালেপাবাদ কালমেঘা (৭ ও ৮নং ওয়ার্ড অংশ)।
২০১১ সনের আদমশুমারী তথ্য অনুযায়ী সখিপুর উপজেলার জনতাত্ত্বিক পরিসংখ্যান নিম্নরূপঃ
উপজেলার নাম | জনসংখ্যা | জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার | জনসংখ্যার ঘনত্ব | শিক্ষার হার | আয়তনত | নগরায়নের হার |
---|---|---|---|---|---|---|
সখীপুর উপজেলা | ২৮৮৭১৫ | ১.৩৮ | ৬৩৮ | ৪১.১% | ৪৩৫.১৯ বর্গ কি.মি | ১৬.৪৪% |
সর্বমোট কলেজ ৫টি
এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেঃ
সংসদীয় আসন-১৩৭, টাঙ্গাইল-৮ মোট ভোটার সংখ্যা : ১,৭৬২৭৫ জন পুরুষ ভোটার : ৮০,৩২১ জন মহিলা ভোটার : ৯৫,৯৫৪ জন
স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের একমাত্র স্বতন্ত্র বেসামরিক ব্রিগেড কাদেরিয়া বাহিনী এর জন্ম, সংগঠিত হওয়া এবং এর সদর দপ্তর ছিল এই সখীপুরে। বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সখিপুরের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চলে এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এটা কাদেরিয়া বাহিনী নামে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ধর্ষ এই বাহিনী মুক্তিযুূ্দ্ধে একটা কিংবদন্তি। সখিপুরের মহানন্দপুর গ্রামে বাহিনীর সদর দপ্তর ছিল। সখিপুর থেকেই এই বাহিনী সমগ্র টাঙ্গাইল এবং যমুনা ধলেশ্বরী নদ সংলগ্ন এলাকায় এবং গাজীপুর,ময়মনসিংহ,জামালপুর শেরপুর জেলায় গিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতো। বহেড়াতৈল বাজারের পাশে কাদেরিয়া বাহিনীর শপথ গ্রহণ করত। এখানে একটা শপথ স্তম্ভ আছে। তাছাড়া লাঙ্গুলিয়া গ্রাম মুক্তিযোদ্ধাদের এক অন্যতম ঘাঁটি ছিল। লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা হলেন আব্দুল কাদের, মো: বেলায়েত হোসেন, মো: শমসের আলী ও মো: সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
যার মধ্যে ৪টি চলমান এবং ২টি স্থাপনা বিহীন থাকায় সাময়িকভাবে কার্যক্রম বন্ধ আছে। সখীপুর উপজেলায় ৩৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামেগঞ্জে সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.