সদ্গুণ (বৌদ্ধ দর্শন)
From Wikipedia, the free encyclopedia
সদ্গুণ বা পূণ্য হলো বৌদ্ধ ধর্মনীতির মৌলিক ধারণা। এটি বিশুদ্ধতা ও ধার্মিকতার ধারণার সাথে যুক্ত। বৌদ্ধ দর্শন অনুসারে এটি পরবর্তী জীবনের মান নির্ধারণে এবং জ্ঞানার্জনে অবদান রাখে। বৌদ্ধধর্মের আগে, পূর্বপুরুষের উপাসনার ক্ষেত্রেও সদ্গুণ ব্যবহার করা হতো। সদ্গুণের বিপরীত হলো বিচু্যতি (পাপ)।[1][2][3]
বিভিন্ন ভাষায় সদ্গুণ এর অনুবাদ | |
---|---|
পালি: | puñña |
সংস্কৃত: | puṇya |
বর্মী: | ကောင်းမှု (আইপিএ: [káʊ̃ m̥ṵ]) |
চীনা: | 功德 (pinyin: gōng dé) |
জাপানী: | くどく (rōmaji: kudoku) |
তিব্বতী: | བསོད་ནམས (bsod nams) |
থাই: | บุญ [būn] |
ভিয়েতনামী: | công đức |
বৌদ্ধ ধর্ম সংশ্লিষ্ট টীকাসমূহ |
দান, ধর্মনীতি চর্চা এবং মানসিক বিকাশ এর মাধ্যমে সদ্গুণ অর্জিত হতে পারে। এছাড়াও, প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থে সদ্গুণ আলোচিত, এবং এটি গঠনের সবচেয়ে ফলপ্রসূ রূপ হলো ত্রিগুণ রত্ন, অর্থাৎ বুদ্ধ, তাঁর শিক্ষা, ধম্ম ও সংঘের বিষয়ে করা উত্তম কাজগুলি। বৌদ্ধ সমাজে, সদ্গুণ গঠনের সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরণের অনুশীলনগুলি শতাব্দী ধরে বেড়েছে, কখনও মহান আত্মত্যাগের সাথে জড়িত। এটি আচার-অনুষ্ঠান, দৈনিক ও সাপ্তাহিক অনুশীলন এবং উৎসবের অংশ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, মৃত আত্মীয়দের কাছে সদ্গুণ হস্তান্তর করার ব্যাপক প্রথা রয়েছে, যদিও বিতর্কিত। অতীতে বৌদ্ধ সমাজে সদ্গুণ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, রাজত্বকে প্রায়ই এর মাধ্যমে বৈধ করা হত, এবং এখনও আছে।
বর্তমানে, সদ্গুণ-গঠন বস্তুবাদী হিসেবে সমালোচিত, কিন্তু সদ্গুণ-গঠন এখনও অনেক সমাজে সর্বব্যাপী। এ বিষয়ে বিশ্বাসের প্রভাবের উদাহরণ গত শতাব্দীতে সংঘটিত ফু মি বুন বিদ্রোহের পাশাপাশি এর কিছু রূপের পুনরুজ্জীবন যেমন বহুল আলোচিত সদ্গুণ প্রকাশের ক্ষেত্রে দেখা যায়।