সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা
পাবনা জেলার সরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাবনা জেলার সরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা, বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত অবিভক্ত ব্রিটিশ বাংলায় প্রতিষ্ঠিত একটি ঐতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[1] ১৮৯৮ সালে শ্রী গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।[2]
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৮৯৮ |
অধ্যক্ষ | ড. মো: মাহবুব সরফরাজ |
শিক্ষার্থী | প্রায় ২২,০০০+ |
অবস্থান | পাবনা সদর , |
ওয়েবসাইট | edwardcollege |
১৮২৮ সালে পাবনা জেলার ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর, এ অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারের কথা চিন্তা করা হয়। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাইয়ে শ্রী গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী পাবনায় প্রথমে “পাবনা ইনস্টিটিউশন” (বর্তমান গোপাল চন্দ্র ইনস্টিটিউট) নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৮ সালে এ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষেই গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী এডওয়ার্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু করেন।[3] একই বছর ডিসেম্বরে এফ.এ স্ট্যান্ডার্ড কলেজ নামে কলেজটি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। প্রথমদিকে কলেজটি মাত্র ২৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী ১৯০৬ সাল পর্যন্ত কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং সেসময় এর নাম পরিবর্তন করে পাবনা কলেজ নামকরণ করা হয়। ১৯১১ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে পুনরায় ভারতের তৎকালীন সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের নামানুসারে এডওয়ার্ড কলেজ করা হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার সময় ও প্রথমদিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন তাড়াশের জমিদার রায় বনমালী রায় বাহাদুর, কুষ্টিয়ার আমলা সদরপুরের জমিদার, নীলবিদ্রোহের নেত্রী প্যারীসুন্দরী দেবী (মতান্তরে দাসী)র উত্তরাধিকারী গোপী সুন্দরী দাসী ও দেবেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, অধ্যাপক হেম চন্দ্র রায়, গোপালচন্দ্র লাহিড়ী, রাধিকা নাথ বসুসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
পরবর্তীতে কলেজের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা করেন। ১৯১৫-১৬ সালের মধ্যে প্রাথমিক অবকাঠামো বা অট্টালিকা নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পর, ১৯৬১ সালে কলেজের মোট জমির পরিমাণ দাড়ায় ৪৯ একর। ১৯৬৮ সালের ১লা মার্চ এডওয়ার্ড কলেজকে সরকারীকরণ করা হয়।[4][5] কলেজের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২২ হাজারের মত।
১৯২১ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত থাকার সময় ৫টি বিষয়ে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথমদিকে পাঠদানের বিষয়গুলো ছিল- ইংরেজি, ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান, সংস্কৃত, আরবী ও ফারসি। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বি,এস-সি কোর্স, ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে বি, এ কোর্স, ১৯৪৬ সালে কলেজে জীববিজ্ঞান বিভাগ, ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও পরের বছর অর্থনীতিতে অনার্স, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত ও ব্যবস্থাপনায় অনার্স কোর্স, পরের বছর বাংলা ও অর্থনীতিতে এম, এ কোর্স, ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স, পরবর্তীতে এ বিষয়গুলোতে ১৯৯৫ সালে মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স, পরের বছর প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স ও ২০১১ সালে ফিন্যান্স ও মার্কেটিং বিষয়ে অনার্স কোর্সে পাঠদান শুরু হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.