Loading AI tools
কোনো এক্তিয়ারের শীর্ষ আদালত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সর্বোচ্চ আদালত, যা শীর্ষ আদালত বা সুপ্রিম কোর্ট (ইংরেজি: supreme court) নামেও পরিচিত, আদালতের অনুক্রমের সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থিত। স্থূল অর্থে বলতে গেলে, অন্য কোনো আদালত সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে পুনঃমূল্যায়ন করতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালত সাধারণত আপিল আদালত হিসাবে কাজ করে এবং এটি নিম্ন আদালতের কোনো রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি করে। তবে দেওয়ানি আইন দ্বারা চালিত রাষ্ট্রদের সাধারণত কোনো একক সর্বোচ্চ আদালত থাকে না।
আবার, বেশিরভাগ সর্বোচ্চ আদালত ইংরেজিতে "সুপ্রিম কোর্ট" নামে পরিচিত হলেও সব "সুপ্রিম কোর্ট" কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত নয়। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট এবং কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ বা রাজ্যক্ষেত্রের সুপ্রিম কোর্ট, উভয় আদালত উচ্চতর আপিল আদালতের অধীনস্থ।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত।[6]
ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত গঠিত। এটির মৌলিক, আপিল ও উপদেষ্টা এক্তিয়ার রয়েছে।
দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ আদালত ও অন্যান্য আদালত ও ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে।
ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ আদালতের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ আদালত ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। কলকাতায় বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল।
সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।[7]মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আদালত । যুক্তরাষ্ট্রের সকল আদালতের সর্বশেষ আপিল অধিকার এই আদালতের ।
এই কোর্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের তিন নম্বর অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, সুপ্রিম কোর্টের গঠন এবং পদ্ধতিগুলি প্রাথমিকভাবে ১৭৮৯ সালের বিচার বিভাগীয় আইনের মাধ্যমে প্রথম কংগ্রেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৮৬৯ সালের বিচার বিভাগীয় আইন দ্বারা নির্ধারিত। আদালতটি প্রধান বিচারপতি এবং আট সহযোগী বিচারপতি নিয়ে গঠিত। প্রতিজন বিচারপতির আজীবন মেয়াদ থাকে, যার অর্থ তারা মৃত্যু, অবসর, পদত্যাগ বা পদ থেকে অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করে। যখন একটি শূন্যপদ ঘটে, রাষ্ট্রপতি, সিনেটের পরামর্শ এবং সম্মতিতে, একজন নতুন বিচারপতি নিয়োগ করেন। আদালতের সামনে যুক্তিযুক্ত মামলাগুলির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিচারপতির একক ভোট রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেন কে আদালতের মতামত লিখবেন; অন্যথায়, সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতিকে মতামত লেখার দায়িত্ব দেন।
আদালতটি ওয়াশিংটন ডিসি-তে সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিংয়ে মিলিত হয়। এর আইন প্রয়োগকারী শাখা হল সুপ্রিম কোর্ট পুলিশ।Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.