Loading AI tools
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সিডনি জর্জ বার্নস (ইংরেজি: Sid Barnes; জন্ম: ৫ জুন, ১৯১৬ - মৃত্যু: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৩) নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যান্নানডেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট লেখক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৮ মেয়াদকালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিডনি জর্জ বার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অ্যান্নানডেল, এনএসডব্লিউ, অস্ট্রেলিয়া | ৫ জুন ১৯১৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ৫৭) কলারয়, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ব্যাগ্গা[1] সুইসাইড সিড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, মাঝেমধ্যে উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৩) | ২০ আগস্ট ১৯৩৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ আগস্ট ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৬/৩৭-১৯৫২/৫৩ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ আগস্ট ২০১৫ |
ইনিংসের গোড়াপত্তন থেকে শুরু করে নিচেরসারিতেও ব্যাটিং পারদর্শী ছিলেন ‘ব্যাগ্গা’ ডাকনামে পরিচিত সিড বার্নস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে তাকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
১৯১৬ সালে সিডনির অ্যান্নানডেল এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।[2] কিন্তু নিজ আত্মজীবনীতে লিখেছেন যে, তার জন্ম ১৯১৮ বা ১৯১৯ সালে কুইন্সল্যান্ডে হয়েছিল।[3] এছাড়াও, সামরিক বাহিনীতে রক্ষিত তথ্যে তার জন্ম ৫ জুন, ১৯১৭ রয়েছে।[4] আলফ্রেড পার্সিভাল বার্নস ও হিল্ডা মে বার্নস দম্পতির তৃতীয় সন্তান ছিলেন।
জন্মের পূর্বেই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আলফ্রেড মৃত্যুবরণ করেন। এরপর হিল্ডা সন্তানদেরকে নিয়ে সিডনিতে চলে যান ও বোনের বাড়ীতে অবস্থান করেন। সেখানেই সিড বার্নসের জন্ম হয়। বার্নস স্ট্যানমোর পাবলিক স্কুলে অধ্যয়ণ করেন। সাধারণমানের হলেও খেলাধূলার জগতে তার যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। বড় ভাই হরি’র সংস্পর্শে ক্রিকেট খেলায় সম্পৃক্ত হন।[5] বড় ভাই হরি’র সংস্পর্শে ক্রিকেট খেলায় সম্পৃক্ত হন। খেলার প্রতি আগ্রহের কারণে বিদ্যালয় দলের শেষদিকে মাঠে নামতেন। ঘটনা পরম্পরায় প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় প্রথম তিন সপ্তাহকাল সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হন।[6] বিদ্যালয়ের দলসহ স্থানীয় ক্লাব দল সেন্ট অগাস্টিনে সফলতা লাভের প্রেক্ষিতে বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার চার্লি ম্যাককার্টনি’র ডাকনাম অনুসরণে ‘গভর্নর-জেনারেল’ ডাকনাম অর্জন করেন তিনি। ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ড দলের স্কুলবয় হিসেবে নিউ সাউথ ওয়েলস দলে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।[6]
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া) | ৯৯.৯৪ |
স্টুই ডেম্পস্টার (নিউজিল্যান্ড) | ৬৫.৭২ |
সিড বার্নস (অস্ট্রেলিয়া) | ৬৩.০৫ |
গ্রেইম পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা) | ৬০.৯৭ |
জর্জ হ্যাডলি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৬০.৮৩ |
হার্বার্ট সাটক্লিফ (ইংল্যান্ড) | ৬০.৭৩ |
এডি পেন্টার (ইংল্যান্ড) | ৫৯.২৩ |
কেন ব্যারিংটন (ইংল্যান্ড) | ৫৮.৬৭ |
এভারটন উইকস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৫৮.৬১ |
কে.এস. দিলীপসিংজী (ইংল্যান্ড) | ৫৮.৫২ |
ওয়ালি হ্যামন্ড (ইংল্যান্ড) | ৫৮.৪৫ |
গারফিল্ড সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৫৭.৭৮ |
জ্যাক হবস (ইংল্যান্ড) | ৫৬.৯৪ |
জ্যাক রাসেল (ইংল্যান্ড) | ৫৬.৮৭ |
ক্লাইড ওয়ালকট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৫৬.৬৮ |
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ যোগ্যতা: ১০ পূর্ণাঙ্গ ইনিংস, পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবন। |
১৯৩৬-৩৭ মৌসুমের শেষদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এর পরপরই ১৯৩৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন তিনি। সিরিজের সর্বশেষ টেস্টে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এর পরই বিশ্বযুদ্ধের কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বযুদ্ধের পর আর্থার মরিসকে সাথে নিয়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৩ টেস্টে অংশ নিয়েছেন তিনি। ডিসেম্বর, ১৯৪৬ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ২৩৪ রান করেছিলেন। ঐ টেস্টে ডন ব্র্যাডম্যান অধিনায়কত্ব করেন ও তার সাথে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪০৫ রানের বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯ ইনিংসে ৬৩.০৫ গড়ে রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ১৯৪৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে অপরাজেয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঐ সফরে অস্ট্রেলিয়া দল কোন খেলায়ই পরাজিত হয়নি।
১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড সফর শেষে তিনি অবসর নেন। তবে, ১৯৫১-৫২ মৌসুমে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার চেষ্টা চালালেও বিতর্কিতভাবে বাদ পড়েন।[7] ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ তারিখে সিডনির কাছাকাছি কলারয় এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়ীতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.