সূর্য সেন
বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী / From Wikipedia, the free encyclopedia
সূর্য সেন (২২ মার্চ ১৮৯৪ - ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪) বা সূর্য কুমার সেন যিনি মাস্টারদা নামে সমধিক পরিচিত, তার ডাকনাম ছিল কালু। ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং নিজ জীবন বলিদান করেন। সূর্যসেনের বাহিনী কয়েকদিনের জন্যে ব্রিটিশ শাসনকে চট্টগ্রাম এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সূর্য সেনের অন্যতম সাথী বিপ্লবী অনন্ত সিংহের ভাষায় "কে জানতো যে আত্মজিজ্ঞাসায় মগ্ন সেই নিরীহ শিক্ষকের স্থির প্রশান্ত চোখ দুটি একদিন জ্বলে উঠে মাতৃভূমির দ্বিশতাব্দীব্যাপি অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হবে? ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ দমনের জন্য বর্বর অমানুষিক অত্যাচারের প্রতিশোধ, জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ! কে জানতো সেই শীর্ণ বাহু ও ততোধিক শীর্ণ পদযুগলের অধিকারী একদিন সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ রাজশক্তির বৃহত্তম আয়োজনকে ব্যর্থ করে - তার সমস্ত ক্ষমতাকে উপহাস করে বৎসরের পর বৎসর চট্টগ্রামের গ্রামে গ্রামে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলবে?"[1]
মাস্টারদা সূর্য সেন | |
---|---|
জন্ম | সূর্যকুমার সেন (১৮৯৪-০৩-২২)২২ মার্চ ১৮৯৪ |
মৃত্যু | ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪(1934-01-12) (বয়স ৩৯) চট্টগ্রাম জেলা কারাগার, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ) |
মৃত্যুর কারণ | ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর |
নাগরিকত্ব | বাঙালি (ব্রিটিশ ভারত) |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
তার সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়। এছাড়া কলকাতা মেট্রো, সূর্য সেনের স্মরণে বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনটির নামকরণ করেছে মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন। রাউজানে তার নামানুসারে রাঙামাটি-লেলেঙ্গারা সড়কে একটি গেইট নির্মাণ করা হয় মাস্টারদা সূর্য সেন গেইট নামে।যার পাশেই রাউজান সরকারি কলেজ সংলগ্ন রোডে মাস্টারদা সূর্য সেন এর একটি প্রতিকৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।