সোম (পানীয়)
From Wikipedia, the free encyclopedia
সোম (সংস্কৃত: सोम, আইএএসটি: Sóma, চীনা: 蘇摩, জাপানি: ソーマ, রুশ: Сома, ফার্সি: سوما, কন্নড়: ಸೋಮ, তামিল: சோம பானம், পাঞ্জাবি: ਸੋਮ, থাই: โสม, কোরীয়: 소마) বৈদিক ঐতিহ্যে প্রথাগত তন্ত্র পানীয়,[1][2] যা প্রাচীন বৈদিক ইন্দো-আর্যদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।[3] ঋগ্বেদে এর উল্লেখ রয়েছে, বিশেষ করে সোমমণ্ডল নামক নবম মণ্ডলে।[4] ভগবদ্গীতার নবম অধ্যায়ে এটির উল্লেখ রয়েছে।[5] এটি ইরানি হোমের সমতুল্য।[6][7] সোম বৈদিক সংস্কৃত শব্দ যার আক্ষরিক অর্থ হল "পাতন, নির্যাস, ছিটিয়ে দেওয়া", যা প্রায়ই আচার-অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে যুক্ত।[8]
উক্ত লিপিসমূহে একপ্রকার গাছ থেকে রস সংগ্রহের মাধ্যমে সোম তৈরির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যে গাছের পরিচয় এখনো অজানা এবং তা পণ্ডিতদের নিকট বিতর্কের বিষয়। প্রাচীন ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্ম ও জরাথুস্ট্রবাদ, উভয় ধর্মেই পানীয় ও গাছটির নাম অভিন্ন।[9]
এই উদ্ভিদটি আসলে কোন উদ্ভিদ, তার পরিচয় নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। প্রথাগত ভারতীয় বর্ণনামতে, যেমন ভারতীয় আয়ুর্বেদ, সিদ্ধ চিকিৎসা, সোমযজ্ঞ চর্চাকারীগণ সোমলতাকে (সার্কোস্টেমা এসিডাম) উক্ত উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করেন।[10] অভারতীয় গবেষকগণ ফ্লাই এগারিক, এমানিটা মাস্কারিয়া, সিলোসাইব কিউবেন্সিস, বুনো বা সিরীয় রু উদ্ভিদ, পেগানাম হারমালা ও মা হুয়াং, এফেড্রা সিনিকা উদ্ভিদকে এই গাছ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন।