স্টিভেন স্পিলবার্গ
আমেরিকার চলচ্চিত্র পরিচালক / From Wikipedia, the free encyclopedia
স্টিভেন অ্যালান স্পিলবার্গ (ইংরেজি: Steven Allan Spielberg) (জন্ম: ডিসেম্বর ১৮, ১৯৪৬) একজন সফল মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক। তিনি তিনবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। আন্তর্জাতিকভাবে তার চলচ্চিত্র থেকে মোট আয় প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফোর্বস সাময়িকীর তথ্য অনুযায়ী স্পিলবার্গের নেট লাভ হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার।[1] ২০০৬ সালে প্রিমিয়ার নামক চলচ্চিত্র সাময়িকী তাকে চলচ্চিত্রে শিল্পের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। টাইম সাময়িকী তাকে শতাব্দীর সেরা ১০০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় তার নাম সংযুক্ত করেছে। লাইফ সাময়িকীর ভাষ্য অনুসারে বিংশ শতাব্দীর শেষে তিনি নিজ প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।[2]
স্টিভেন স্পিলবার্গ | |
---|---|
জন্ম | স্টিভেন অ্যালান স্পিলবার্গ |
কর্মজীবন | ১৯৬৮ - বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যামি আরভিং (১৯৮৫–৮৯) কেইট ক্যাপশ (১৯৯১– ) |
সন্তান | ম্যাক্স স্পিলবার্গ(জ: ১৯৮৫) থিও স্পিলবার্গ (জ: ১৯৮৮, দত্তক) সাশা স্পিলবার্গ (জ: ১৯৯০) সইয়ার স্পিলবার্গ (জ: ১৯৯২) মিকায়েলা স্পিলবার্গ (জ: ১৯৯৬, দত্তক) ডেসট্রি স্পিলবার্গ (জ: ১৯৯৬) |
পুরস্কার | স্যাটার্ন পুরস্কার (সেরা পরিচালনা) ১৯৭৭ ক্লোজ এনকাউন্টারস অফ দ্য থার্ড কাইন্ড ১৯৮১ রেইডারস অফ দ্য লস্ট আর্ক ১৯৯৩ জুরাসিক পার্ক ২০০২ মাইনরিটি রিপোর্ট স্যাটার্ন পুরস্কার (সেরা রচনা) ১৯৭৭ ক্লোজ এনকাউন্টারস অফ দ্য থার্ড কাইন্ড ২০০১ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই এনবিআর পুরস্কার (সেরা পরচালক) ১৯৮৭ এম্পায়ার অফ দ্য সান এএফআই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ১৯৯৫ আজীবন সম্মাননা |
স্পিলবার্গের চলচ্চিত্র জীবন প্রায় চার দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ধরন নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৭০, ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী তিনটি চলচ্চিত্রেরই নির্মাতা তিনি। এই চলচ্চিত্র তিনটি হল যথাক্রমে জস, ইটি দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল এবং জুরাসিক পার্ক। চলচ্চিত্র জীবনের প্রথম দিকে তিনি যেসব বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক এবং অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সেগুলোকে হলিউডের আধুনিক ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের আর্কটাইপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান সময়ে তিনি মানবিক আবেগের দিক দিয়ে ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী বিষয়সমূহকে তার চলচ্চিত্রের ধরন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দাসপ্রথা, যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস।