২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ
ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ১৮ তম আসরের / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের আঠারোতম আসর। ২০০৬ সালের ৯ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিযোগিতাটি জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালের জুলাই মাসে জার্মানি প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।
FIFA Fussball Weltmeisterschaft Deutschland 2006 | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | জার্মানি |
তারিখ | জুন ৯ – জুলাই ১০ |
দল | ৩২ (৬টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১২ (১২টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ইতালি (৪র্থ শিরোপা) |
রানার-আপ | ফ্রান্স |
তৃতীয় স্থান | জার্মানি |
চতুর্থ স্থান | পর্তুগাল |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৬৪ |
গোল সংখ্যা | ১৪৭ (ম্যাচ প্রতি ২.৩টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩৩,৫৩,৬৫৫ (ম্যাচ প্রতি ৫২,৪০১ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | মিরোস্লাভ ক্লোজে (৫টি) |
সেরা খেলোয়াড় | জিনেদিন জিদান |
সেরা যুব খেলোয়াড় | লুকাস পোদোলস্কি |
সেরা গোলরক্ষক | জিয়ানলুইজি বুফন |
← ২০০২ ২০১০ → |
ছয়টি মহাদেশের ১৯৮ টি জাতীয় ফুটবল দল প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছিল। বাছাই পর্ব ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল। আয়োজক জার্মানি ছাড়া আরো ৩১টি দল বাছাইপর্ব অতিক্রম করে চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করে।
এই বিশ্বকাপে গ্রুপ জি তে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল, সৌদি আরব, হণ্ডুরাস, গ্রীস ও জাপান। জাপান, সৌদি আরব, হণ্ডুরাস ও গ্রীসের কাছে হেরে ০ পয়েন্ট ও ০ গোল নিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় জাপান আর গ্রুপ রানার্স আপ হয় সৌদি আরব।
এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় ইতালি জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা লাভ করে। নির্ধারিত সময়ে ১–১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে ইতালি ৪–৩ ব্যবধানে ফ্রান্সকে পরাজিত করে। পর্তুগালকে ৩–১ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স তৃতীয় অবস্থান লাভ করে।
২০০৬ বিশ্বকাপ ছিল টেলিভিশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শকসমৃদ্ধ অনুষ্ঠানের একটি। আনুমানিক ২৬.২৯ বিলিয়ন দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখেছেন। ফাইনাল খেলা দেখেছেন প্রায় ৭১৫.১ মিলিয়ন দর্শক।[1] দর্শক সংখ্যার বিচারে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের অবস্থান চতুর্থ। এর আগের অবস্থানে রয়েছে ১৯৯৪, ২০০২ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানগুলো।[2]