শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
অমৃতা সুভাষ
ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
অমৃতা সুভাষ (মারাঠি: अमृता सुभाष; জন্ম ১৩ মে ১৯৭৯) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মারাঠি ও হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মঞ্চনাটকে অভিনয় করে থাকেন। পাশাপাশি তিনি মারাঠি চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও কাজ করেন। মারাঠি ভাষার নিতল (২০০৬) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র অস্তু (২০১৫)-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং হিন্দি ভাষার গল্লি বয় (২০১৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি নতুন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় পড়াশোনা করেন এবং ২০০৪ সালে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে ভারতীয় নিবেদন শ্বাস চলচ্চিত্র দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল হোয়াইট রেইনবো (২০০৬), ফিরাক (২০০৮), ও গন্ধ (২০০৯)। তাকে স্যাক্রেড গেমস টেলিভিশন ধারাবাহিকের ২য় মৌসুমে দেখা যায়।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
অমৃতা সুভাষ ১৯৭৯ সালের ১৩ই মে মহারাষ্ট্রের মুম্বই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা জ্যোতি সুভাষও একজন অভিনেত্রী। তিনি পুনের এস পি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।[২] পরে তিনি নতুন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, সেখানে তিনি সত্যদেব দুবের শিক্ষার্থী ছিলেন।[৩] পড়াশোনা করার সময় তিনি বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, সেগুলো হল উর্বশিয়াম (১৯৯৭), বেলা মেরি জান (১৯৯৮), হাউজ অব বের্নাডা, অ্যালবা (১৯৯৮), ও মৃগ তৃষ্ণা (১৯৯৯)। মহারাষ্ট্রে ফিরে তিনি কয়েকটি মারাঠি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে তি ফুলরানী মঞ্চনাটকে ভক্তি বর্ব চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন।[২] জর্জ বার্নার্ড শ'র বিখ্যাত নাটক পিগম্যালিয়ন অবলম্বনে নির্মিত মাই ফেয়ার লেডি চলচ্চিত্র অবলম্বনে এই নাটকটি রচনা করেছন পু লা দেশপাণ্ডে। এছাড়া তিনি একজন প্রশিক্ষিত ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী।[৩]
Remove ads
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
অমৃতার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ২০০৪ সালে শ্বাস চলচ্চিত্রে মেডিক্যাল সমাজকর্মী আসাওয়ারি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। চলচ্চিত্রটি ৫১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়[৪] এবং এটি শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে ভারত থেকে নিবেদন করা হয়, কিন্তু তা চূড়ান্ত মনোনয়ন পায়নি।[৫] একই বছর তিনি গুলজার পরিচালিত টেলিভিশন চলচ্চিত্র নির্মলা-য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন, এটি মুন্সি প্রেমচাঁদের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ২০০৪ সালের অক্টোবরে দূরদর্শনে প্রচারিত টিভি চলচ্চিত্রটি গুলজারের তেহরির... মুনশী প্রেমচাঁদ কি ধারাবাহিকের শেষ পর্ব।[৬] এছাড়া তিনি দূরদর্শনে প্রচারিত বাসু চ্যাটার্জী পরিচালিত এক প্রেম কথা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।
২০০৬ সালে হোয়াইট রেইনবো চলচ্চিত্রে একজন ১৫ বছর বয়সী বিধবা চরিত্রে অভিনয় করেন, যাকে যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।[৭] একই বছর তিনি মারাঠি ভাষার নিতল (২০০৬) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি নন্দিতা দাসের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ফিরাক-এ অভিনয় করেন। ২০০২ সালে গুজরাতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলশ্রুতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে একাধিক গল্প বর্ণিত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদৃত এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন হিন্দু নারী জ্যোতি চরিত্রে অভিনয় করেন, যে তার মুসলমান প্রতিবেশীকে (শাহানা গোস্বামী অভিনীত চরিত্র) দাঙ্গা থেকে বাঁচায়। সুভাষ এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন।[৮] একই বছর তিনি একাধিক তারকাসমৃদ্ধ মারাঠি ভাষার হাস্যরসাত্মক বালু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। উমেশ বিনায়ক কুলকার্নি পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তার সহশিল্পীগণ ছিলেন অতুল কুলকার্নি, মোহন আগাশে, ভারতী আচরেকর, গিরীশ কুলকার্নি, দিলীপ প্রভাবালকর এবং সুভাষের মা জ্যোতি সুভাষ।
তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র অস্তু (২০১৫)-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৯ সালে হিন্দি ভাষার গল্লি বয় চলচ্চিত্রে নাম চরিত্রের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[৯]
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads