শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
পুণে
ভারতীয় শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
পুণে (মারাঠি: पुणे, প্রতিবর্ণী. পুণে), পূর্বনাম পুনা[১৫][১৬] হলো ভারতের পশ্চিমাংশে ডেকান মালভূমিতে অবস্থিত মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি শহর। এটি পুণে জেলার এবং পুণে বিভাগের প্রশাসনিক সদর দফতর। ৫১৬.১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে পুনে ভূখণ্ডের দিক থেকে মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর।[১৭] তবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি মুম্বাইয়ের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পুনে মহানগর অঞ্চলের[১৮] জনসংখ্যা প্রায় ৭২ লাখ, যা একে ভারতের সপ্তম বৃহত্তম মহানগর হিসেবে স্থান দিয়েছে।[১৯] পুনে শহরটি ভারতের অন্যতম বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।[২০][২১] একইসঙ্গে এটি দেশের একটি প্রধান অটোমোবাইল ও উৎপাদন শিল্পের কেন্দ্র। শিক্ষার প্রসারের জন্য পুনেকে "পূর্বের অক্সফোর্ড" বলা হয়ে থাকে।[২২][২৩][২৪] বাসযোগ্যতা সূচকে শহরটি একাধিকবার "ভারতের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর" হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।[২৫][২৬]
বিভিন্ন সময়ে পুণে রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, আহমেদনগর সুলতানি, মুঘল এবং আদিল শাহী রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছে । ১৮ শতকে শহরটি মারাঠা সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পেশোয়াদের আসন ছিল । তৃতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধে পুণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক দখল করা হয়েছিল। ১৮৫৮ সালে রাজত্ব শুরু হয়েছিল এবং এটি পৌরসভার মর্যাদা লাভ করে। শনিওয়ারওয়াড়া, শিন্দে ছাত্রী এবং বিষ্রামবাগ ওয়াড়ার মতো অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন এই যুগের। বিভিন্ন যুগের ঐতিহাসিক স্থানগুলি শহরটিকে ঘিরে রয়েছে।
জ্ঞানেশ্বর, শিবাজী, তুকারাম, প্রথম বাজিরাও, বালাজি বাজি রাও, মাধবরাও প্রথম, নানা ফড়নবিস, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে, সাবিকার রব, শ্যাভি রব ফুলে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, মহাদেব গোবিন্দ রানাদে- এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সহ পুনে ঐতিহাসিকভাবে একটি প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র । ধোন্ডো কেশব কার্ভে, এবং পণ্ডিতা রমাবাই পুনে সিটিতে বা পুণে মেট্রোপলিটন অঞ্চলে পড়ে এমন একটি এলাকায় তাদের জীবনের কাজ করছেন ৷ গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো লোকেদের সাথে পুনে ছিল ব্রিটিশ রাজের প্রতিরোধের একটি প্রধান কেন্দ্র ।
Remove ads
ব্যুৎপত্তি
৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে পুণের সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় রাষ্ট্রকূট রাজবংশের একটি তাম্রফলকে। এতে শহরটিকে "পুণ্য-বিশয়" নামে অভিহিত করা হয়েছে, যার অর্থ 'পবিত্র অঞ্চল'।[২৭] ১৩শ শতকের মধ্যে এই নাম পরিবর্তিত হয়ে "পুনাওয়াড়ি" নামে পরিচিত হয়।[২৮]
রাষ্ট্রকূট শাসনামলে শহরটি "পুন্নক" ও "পুণ্যপুর" নামেও পরিচিত ছিল। ৭৫৮ ও ৭৬৮ খ্রিস্টাব্দের তাম্রফলক অনুযায়ী, যাদব রাজবংশ শহরটির নাম রেখেছিল "পুন্নকবিশয়" এবং "পুণ্যবিশয়"। এখানে 'বিশয়' অর্থ 'ভূমি' বা 'অঞ্চল', আর 'পুন্নক' ও 'পুণ্য' অর্থ 'পবিত্র'। মারাঠা রাজা শিবাজীর পিতা শাহাজি যখন শহরটির দায়িত্বে ছিলেন, তখন এটি "কসবেপুণে" নামে পরিচিত ছিল। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৭০৩ থেকে ১৭০৫ সালের মধ্যে শহরের পুরনো অংশের একটি ছোট এলাকাকে "মুহিয়াবাদ" নামে নামকরণ করেন, তার প্রপৌত্র মুহিউল-মিলান-এর স্মৃতিতে, যিনি সেখানেই মারা যান। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ওই নামটি আবার পরিবর্তন করে আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়।[২৯]
ব্রিটিশ শাসনামলে, ১৮৫৭ সালে শহরটির নাম ইংরেজিতে পরিবর্তিত হয়ে "Poona" রাখা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে সরকারিভাবে শহরের নাম পরিবর্তন করে বর্তমান "Pune" নামটি গ্রহণ করা হয়।
Remove ads
ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ১৮.৫৩° উত্তর ৭৩.৮৭° পূর্ব।[৩০] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৭০ মিটার (১৮৭০ ফুট)।
জনসংখ্যার উপাত্ত
পুনে ভারতের নবম জনবসতিপূর্ণ শহর। ২০১১ সালের জনশুমারি অনুসারে শহরের জনসংখ্যা ৩১,২৪,০০০ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৮১%; পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%; তার চাইতে পুনে এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
খেলাধুলা
ক্রিকেট এই শহরের জনপ্রিয় খেলা। বর্তমানে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ভগিনী শহর
আরও দেখুন
- পুণের সবচেয়ে উঁচু ভবনের তালিকা
- পুণের ব্যক্তিদের তালিকা
- পুণাওয়ালা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads