শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (১০ জানুয়ারি ১৯৩৯[১]– ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২)[২] যিনি এসএম হোসেন নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বাংলাদেশের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী।[৩] তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের জন্য ভারতীয় পার্লামেন্টে টানা আড়াই ঘণ্টা ভাষণ দেন।
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রংপুর-৬ আসন থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৪]
তার রাজনৈতিক জীবনে তিনি রাজনৈতিক জীবনে ১৯ বার কারাবরণ করে ২২ বছর জেল খেটেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি কারাগারের পাখি হিসেবে পরিচিত।[৫]
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
শাহ মোহাজ্জেম হোসেন ১০ জানুয়ারি ১৯৩৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের শ্রীনগরের দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আহমেদ আলী।
তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরীজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
তার স্ত্রী সালেহা হোসেন। ১ ছেলে ও ১ মেয়ে। ছেলে আমেরিকায় প্রবাসী রানা এবং মেয়ে দিনা।
রাজনৈতিক জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণের কারণে নবম শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় প্রথম কারাবরণ করেন।[৫] ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।[৬]
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ঢাকা-৫ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং মুজিবনগর হতে স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম চীফ হুইপ নির্বাচিত হন।[৭]
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিক্রমপুরের লৌহজং শ্রীনগর এলাকা তৎকালীন ঢাকা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৮] তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রী ছিলেন।[৯]
ডেমােক্রেটিক লীগ এবং জনদল
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৭৬ সালে ডেমােক্রেটিক লীগ এবং ১৯৮৩ সালে জনদল নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
জাতীয় পার্টি
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৮৪ সালে হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়ামের সদস্য নির্বাচিত হন পরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ৯ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ৬ আগস্ট ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এলজিআরডিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী তিনি ২০ নভেম্বর ১৯৮৭ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেও রংপুর-৬ আসনের হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছেড়ে দেয়া আসনে সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি অংশ নিয়ে পরাজিত হন। জাতীয় পার্টি থেকে তিনি বহিষ্কার হন।
বিএনপি
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ২০০২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন।[১০] তিনি দলটির ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১১]
Remove ads
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং মুজিবনগর হতে স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে কাজ করেন। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের জন্য ভারতীয় পার্লামেন্টে টানা আড়াই ঘণ্টা ভাষণ দেন।[১২][১৩][১৪]
সমালোচনা
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে তিনি খালাস পান।[১৩]
গ্রন্থাবলী
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনর লিখিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে বলেছি বলছি বলব, ছাব্বিশ সেল, না বলেই নয়। [১৫]
মৃত্যু
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার গুলশানের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।[১২][১৬]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads