শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

আহলুল হাদীস

আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের একটি ধারা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আহলুল হাদীস
Remove ads

ইসলামের ইতিহাসে আহলুল হাদীস ( আরবি: أهل الحديث) বলতে এমন একটি ইসলামি আকীদাগত গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যারা ধর্মতাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত ও শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কেবল কুরআন, সহিহ হাদিস ও সাহাবিদের ইজমা (ঐক্যমত্য) ব্যবহারের পক্ষে কথা বলে। এটি করে ইসলামের ইতিহাসের দ্বিতীয়/তৃতীয় শতাব্দীতে মুহাদ্দিস বা হাদীসের পণ্ডিতদের একটি আন্দোলন ছিল। [] ইসলামের দ্বিতীয় শতাব্দীতে ইসলামী আকীদার উৎস নিয়ে বিতর্ককারী দুটি প্রধান দলের একটি ছিল আহলুল হাদিস এবং অন্যটি ছিল আহলে রায়

Remove ads

ইতিহাস

আনুমানিক ইসলাম আগমনের তৃতীয় শতাব্দীর দিকে সমসাময়িক আইনশাস্ত্রের আলেমদের মতামত অপেক্ষা মুহাম্মাদ এর মতাদর্শ বা হাদিসের উপর অধিক জোর প্রদানের মাধ্যমে এই মতবাদের সূচনা হয়।[] ৩য় শতাব্দীতে আহমদ ইবনে হাম্বলের নেতৃত্বে মুতাজিলা মতবাদের বিরোধিতার মাধ্যমে এই মতবাদের উদ্ভব ঘটে।[] কেভিন জাকুয়েসের মতে, আহলে হাদিসগণ খলিফা ইয়াজিদ কর্তৃক সঙ্ঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি ধর্মীয় ইতিবাচক ব্যাখ্যার উন্মেষ ঘটিয়েছেন।[] অধ্যাপক 'সেরিল গ্লাসি' ইবনে হাজমকে আহলে হাদিস মতবাদের সবচেয়ে বড় দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিক বলে মনে করেন।[] ইবনে তাইমিয়া[], আল জাহাবি[], আহমদ ইবনে হাম্বল, ইবনে কাইয়িম আল জাওয়াজিয়া[], মুহাম্মাদ আল বুখারি, ইবনে হাজার আস্কালানি[], ইমাম কাজী আবুল ফযল ইয়াযসহ আরও অনেকেই এই মতবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন। এই মতবাদের অনুসারীগণ নিজেদের রাশিদুন খলিফার মতবাদের অনুসারী বলে মনে করেন।

Remove ads

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads