শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ইফতার
রমজান মাসে মুসলিমদের দ্বারা পালিত ধর্মীয় আচার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ইফতার (আরবি: إفطار ইফ্ত্বার্) হলো রমজান মাসে মুসলিমদের দ্বারা পালিত একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার। এটি সূর্যাস্তের পরে রোজা ভাঙার জন্য একটি খাবার। ইফতার সাধারণত একটি হালকা খাবার দিয়ে শুরু হয়, যেমন খেজুর বা পানি। এর পরে, আরও ভারী খাবার পরিবেশন করা হয়, যেমন ফল, শাকসবজি, সালাদ, ডাল, ভাত, রুটি, এবং মিষ্টি ইত্যাদি।[১] খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত।
ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার। এটি মুসলিমদের সারাদিনের রোজা ভাঙার এবং একসাথে খাওয়ার একটি উপলক্ষ। এটি আত্মত্যাগ, ধৈর্য, এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। এটি মুসলিমদের সারাদিন রোজা রাখার পরে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে। এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানও যা পরিবার এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।
ইউনেস্কো ২০২৩ সালে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় রীতি ইফতারকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আওতাভুক্ত করে।[২] ইউনেস্কোর ভাষায়, ইফতার (ইফতারি কিংবা ইফতর হিসেবেও পরিচিত) রমজান মাসে সব ধরনের ধর্মীয় বিধান মানার পর সূর্যাস্তের সময় মুসলিমদের পালনীয় রীতি। সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে।[৩]
Remove ads
পটভূমি
ইফতার পালনের ইতিহাস ইসলামের সূচনালগ্নেই শুরু হয়। কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“ | রোজাদারদের জন্য সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত খাওয়া, পান করা, স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করা হারাম। | ” |
এই আয়াতের নির্দেশ অনুসারে, মুসলিমরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙে এবং ইফতার করে।
ইসলামের নবী মুহাম্মাদ নিজেও রমজান মাসে ইফতার করেছেন। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, তিনি ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করতেন। তারপর তিনি পানি পান করতেন এবং হালকা খাবার খেতেন। ইফতারের পর তিনি সালাত আদায়ে দাঁড়াতেন।
ইফতার পালন মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটি তাদের সারাদিনের রোজা ভাঙার এবং পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানও যা পরিবার এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ইফতার পালনের বিভিন্ন রীতি-নীতি প্রচলিত হয়েছে। প্রাচীনকালে মুসলিমরা ইফতারে সাধারণত খেজুর, পানি, দুধ, ফল এবং হালকা খাবার খেত। পরবর্তীকালে ইফতারের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি, মুখরোচক খাবার, মাংস, ভাত, ডাল, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া হয়।
ইফতার পালন মুসলিমদের জন্য একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠান। এটি তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনের পাশাপাশি সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
Remove ads
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads