শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
গুরুভায়ুর মন্দির
ভারতের একটি হিন্দু মন্দির উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
গুরুভায়ুর মন্দির ভারতের কেরল রাজ্যের ত্রিসূর জেলার গুরুভায়ুর শহরে অবস্থিত একটি বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দির। গুরুভায়ুর মন্দির হিন্দুদের নিকট একটি অতি পবিত্র স্থান। এই মন্দিরটিকে "ভূলোক বৈকুণ্ঠ"[১] বা মর্তস্থিত বৈকুণ্ঠও বলা হয়। এই মন্দিরে পূজিত শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি চতুর্ভূজ। তার চার হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ, সুদর্শন চক্র, কৌমোদকী গদা ও পদ্ম। কৃষ্ণ অবতার গ্রহণের সময় বাসুদেব ও দেবকীর নিকট প্রকাশিত মহাবিষ্ণুর প্রতীক একটি দিব্য তুলসী মালা দেবতার গলদেশে লম্বমান থাকে। এই কারণে এই মন্দিরটিকে দক্ষিণ ভারতের দ্বারকা বলা হয়। শ্রীকৃষ্ণও এখানে নানা নামে পরিচিত। যথা: কান্নান, উন্নি-কান্নান (শিশু কৃষ্ণ), উন্নি-কৃষ্ণন, বালকৃষ্ণন, ও গুরুভায়ুরাপ্পান।
মন্দির-গর্ভগৃহের প্রধান দেবতা মহাবিষ্ণু। আদি শঙ্করাচার্য নির্দেশিত দৈনিক পূজাপদ্ধতি অনুসারে তিনি পূজিত হন। পরবর্তীকালে তন্ত্রী চেন্নাস নারায়ণ নাম্বুদিরি (জন্ম ১৪২৭ খ্রিষ্টাব্দ) এই পূজাপদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে লিপিবদ্ধ করেন। চেন্নাস নাম্বুদিরিরাই এই মন্দিরের তন্ত্রী পদে বংশপরম্পরায় নিযুক্ত হন।[২] দৈনিক পূজার নির্ঘণ্ট কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। এই বিষয়টির তত্ত্বাবধানের জন্য মন্দিরে একজন সর্বসময়ের তন্ত্রী নিযুক্ত থাকেন। রাত আড়াইটে নাগাদ মেলসান্তি (প্রধান পুরোহিত) শ্রীকোভিলে (গর্ভগৃহ) প্রবেশ করেন। বেলা সাড়ে বারোটায় পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি জলস্পর্শও করেন না।[৩] পরম নিষ্ঠায় এই মন্দিরে বৈদিক আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়। এই নিষ্ঠার জন্যই গুরুভায়ুর মন্দিরের খ্যাতি। উল্লেখ্য, বৈষ্ণবদের একটি অতি পবিত্র মন্দির হলেও গুরুভায়ুর মন্দির কিন্তু ১০৮ দিব্য দেশমের অন্যতম নয়।
Remove ads
চিত্রাবলি
- অগ্নিকাণ্ডের পর নির্মিত ভিলাক্কুমাতম
- মূল মন্দিরের প্রবেশপথ
- দৈনিক পূজার নির্ঘণ্ট
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads