শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
নূরুল ইসলাম সুজন
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন (জন্ম ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬)[১] একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন (২০১৯-২০২৩)।[২] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৩]
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
নূরুল ইসলাম সুজন ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘির মহাজনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইমাজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং মাতা কবিজান নেছা। বড় ভাই অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড় হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
মো: নূরুল ইসলাম সুজন ময়দানদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ময়নাদীঘি বি এল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিদ্যায় ১৯৭৮ সালে বিএসসি অনার্স এবং ১৯৭৯ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন।
Remove ads
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।[৪] তিনি ঢাবির সিনেট সদস্য ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবন
নূরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ডাকসুর ১৯৮০-৮১ সালের সংসদের বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশগ্রহণ করেন নূরুল ইসলাম সুজন। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পরাজিত হন। পঞ্চগড়-২ আসনে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৫][৬][৭]
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে নূরুল ইসলাম সুজনকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।[৮] ১৭ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত;[৯] একই দিন বিকেলে রিমান্ডের আদেশ স্থগিত করে আদালত।[১০] ভিন্ন মামলায় ২২ সেপ্টেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয় আদালত; রিমান্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।[১১]
Remove ads
ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবার
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নিলুফার ইসলাম অসুস্থতায় ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[১২] ৫ জুন ২০২১ সালে তিনি দিনাজপুরের বিরামপুরের শাম্মী আকতার মনিকে বিয়ে করেন।[১৩]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads