শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

মোনাকোতে ইসলাম

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

Remove ads

মোনাকোতে ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ও ক্রমবর্ধমান ধর্মমোনাকো হল বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম সার্বভৌম শহর-রাষ্ট্র, যা ফরাসি রিভিয়েরায় অবস্থিত। দেশটি মূলত বিলাসবহুল জীবনযাপন, ক্যাসিনো সংস্কৃতি ও করমুক্ত সুবিধার জন্য বিখ্যাত। এর আয়তন মাত্র ২ বর্গকিলোমিটারেরও কম এলাকা এবং প্রায় ৩৮,০০০ জনসংখ্যার এই ছোট রাষ্ট্রে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষ বসবাস করে, যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়েরও একটি ক্ষুদ্র উপস্থিতি রয়েছে। []

মোনাকোর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম হল খ্রিস্টধর্ম। মোট জনসংখ্যার ৮৩.২% রোমান ক্যাথলিক, ১২.৯% ধর্মহীন, ২.৯%, ইহুদি এবং ০.৮ হলো ইসলাম ধর্মের অনুসারী। উল্লিখিত মুসলিম জনসংখ্যার পাশাপাশি অনেক ধনী আরব এবং ইরানি মুসলিম আছেন, যারা মোনাকোতে বাস করেন এবং তাদের দেশের নাগরিক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় না। [] মোনাকোতে এমন কোন ভবন বা মসজিদ নেই, যেখানে মুসলিমরা নামায আদায় করতে পারে। এছাড়াও দেশটিতে সার্বজনীন ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত হলেও সেখানে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের অনুমতি নেই, যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা নেই বললেই চলে। [] মোনাকোতে বর্তমান (২০২৫) ২৮০ জন মুসলিম বাস করেন বলে জানা যায়, যাদের অধিকাংশই দেশটির নাগরিক নয়। []

Remove ads

ইতিহাস

মোনাকোতে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয় যে, দেশটিতে ইসলামের আগমন মূলত অভিবাসী মুসলমানদের মাধ্যমে হয়েছিল, যারা মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে কর্মস্থানের তাগিদে আগমন করেছিল। এর সরকারী ধর্ম রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্ম হলেও সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই আইনি কাঠামোর কারণে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে কার্যত কোনো বাধা নেই। যদিও মুসলিম জনসংখ্যার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই, তবে ধারণা করা হয় যে, মুসলমানরা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম—সম্ভবত কয়েকশর মত এবং একটি রিপোর্টে ২৮০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মুসলিমরা মূলত প্রবাসী, ব্যবসায়ী অথবা পাশ্ববর্তী ফ্রান্স থেকে আসা অধিবাসী। [] অনুমান করা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে মোনাকোতে মুসলিম জনসংখ্যা ১,০০০-এ পৌঁছাতে পারে। []

Remove ads

মসজিদ

মোনাকোতে ইসলাম ধর্মের অনুশীলনের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হলো, এর ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা এবং মুসলিম জনসংখ্যার জন্যে কোনো মসজিদ বা ইসলামি কেন্দ্র না থাকা। ফলে এখানকার মুসলমানরা প্রায়ই পাশের ফরাসি শহর বোসোলেই বা নিসে গিয়ে জুমার নামাজ পড়েন বা ধর্মীয় কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করেন। এতে মসজিদের অনুপস্থিতি মূলত মুসলিম জনসংখ্যার স্বল্পতা এবং দেশটির স্থান সংকুলানের অভাবের কারণে হয়েছে। [][]

সামাজিক অবস্থান

মোনাকোর মুসলিমরা সাধারণত সমাজে একীভূত হয়ে বসবাস করেন এবং সেখানে কোনো সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা নেই। তাদের অনেকেই পেশাদার বা উদ্যোক্তা, যারা মোনাকোর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আর্থিক সুবিধার কারণে এখানে বসবাস করেন। এখানকার মুসলিমরা সাধারণত ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন; যেমন রমজান বা ঈদের সময় বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে বাড়িতে বা ভাড়া করা স্থানে মিলিত হন।

হালাল খাবার

মোনাকোতে মুসলিমদের জন্য হালাল খাবার বা ধর্মীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান সীমিত। তবে পাশ্ববর্তী ফ্রান্সের শহরগুলোতে এসব সহজেই পাওয়া যায়। মোনাকো সীমান্ত লাগোয়া ফরাসি অঞ্চল হওয়ায় মুসলমানরা খুব সহজেই ফ্রান্স থেকে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক

যদিও মোনাকোতে মুসলিম জনসংখ্যা কম, তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেক দেশের সঙ্গে মোনাকোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। মোনাকোর রাজপরিবার দ্বিতীয় আলবার্টের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যউত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন; বিশেষ করে পরিবেশ সংরক্ষণ, ব্যবসা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। [][]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads