আলমডাঙ্গা উপজেলা
চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আলমডাঙ্গা উপজেলা বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা ।
আলমডাঙ্গা | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে আলমডাঙ্গা উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৫′৪৩″ উত্তর ৮৮°৫৭′১০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | চুয়াডাঙ্গা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৬৫ বর্গকিমি (১৪১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৩,৪৫,৯২২ |
• জনঘনত্ব | ৯৫০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৯.৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ১৮ ০৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের আলমডাঙ্গা উপজেলাটি খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্ভুক্ত। আলমডাঙ্গা উপজেলা ২৩°৩৭' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°৫০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৭' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°০০' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এর উত্তর পার্শ্বে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা ও মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ও ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা, পশ্চিমে দামুড়হুদা উপজেলা ও মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা।
জনশ্রুতি আছে, এক বানভাসি বৃদ্ধা নান্দায় ভাসতে ভাসতে আলমডাঙ্গার কোন এক স্থানে উঠে এসে বলেছিলেন, ‘আলাম ডেঙায়!’ আর সেই থেকে এই জনপদের নাম হয়েছিল ‘আলামডেঙা’, যা কালক্রমে আলমডাঙ্গা নামে পরিচিত পায়। তবে এটা অনেকটাই কিংবদন্তী। আরেকটি মত আছে যেটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। কথিত আছে আলমডাঙ্গার উপকণ্ঠে আসাননগর এলাকায় আলম ফকির নামে এক সাধক বাস করতেন। তাঁর নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয় আলমডাঙ্গা। আসাননগরের কিছু অংশ পার আলমডাঙ্গা নামে পরিচিত, যা আলম ফকির সম্পর্কীয় জনশ্রুতিকে কিছুটা হলেও সমর্থন করে। তবে আলম ফকিরের কোনো কবর বা মাজারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তৎকালীন নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঘোষণা করে সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করলে এ অঞ্চলটি পাকিস্তানি বাহিনীর টার্গেট পয়েন্টে রুপান্তরিত হয়। ফলে এ অঞ্চলে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুহুর্মুহু প্রতিরোধ ও সম্মুখ যুদ্ধ লেগেই থাকে। আলমডাঙ্গায় সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধগুলো হচ্ছে- ১. হাড়গাড়ী সুকচা, বাজিদপুর যুদ্ধ- ১৩ আগস্ট, ১৯৭১। এ যুদ্ধে ১জন শহীদ হন, ২. আলমডাঙ্গা সদরে সংঘটিত যুদ্ধ- ১২ নভেম্বর, ১৯৭১। এ যুদ্ধে ৪জন শহীদ হন।
মুক্তিবার্তা (লাল কভার) অনুযায়ী বর্তমানে আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাঃ ৪৪৮ জন।
আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১টি পৌরসভা এবং ১৫ টি ইউনিয়ন রয়েছে ।
আলমডাঙ্গা উপজেলার অন্যতম নদীঃ মাথাভাঙ্গা নদী, কুমার নদ, নবগঙ্গা নদী[2][3] ভাটুই নদী ও মরা নদী। এছাড়াও এখানে রয়েছে ওয়াবদার খাল, জহুরুলনগর খাল, অণুপনগর খাল প্রভৃতি। এখানকার অন্যতম বিলগুলো হলোঃ গাড়িয়াল বিল, বোয়ালিয়া বিল, বলেশ্বরপুর-হাড়োকান্দি বিল, রাযশাবিল, বেলসাদপুর কাঁঠালিয়া বিল, মনিদহ বিল, চাকিলার বিল, খড়কাটি বিল এবং বৃহৎ জি.কে ক্যানাল প্রভৃতি। এছাড়া ঘোলদাড়ী বাজারে অবস্থিত নীলকুটিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুটির নদী অন্যতম।
আলমডাঙ্গা উপজেলায় শিক্ষার হার ৫৫.১৪%। আলমডাঙ্গা উপজেলার সাধারণ জনগণের জন্য স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরি নামক একটি অলাভজনক সামাজিক পাঠাগার রয়েছে যা উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও পাঠাগারটি ২০১৪ সাল থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মধ্যে পাঠকদের বাড়িতে বসে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বইপড়ার সুবিধা সৃষ্টিসহ সামাজিক শিক্ষার অগ্রসর ঘটাতে নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। [4]
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত নিমগ্ন পাঠাগার আলমডাঙ্গা শহরে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব প্রদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। শিল্প-সাহিত্যের উপর বিভিন্ন সেমিনার ও শিক্ষা প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে পাঠাগারটি বোদ্ধা মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।[5] [6]
উপজেলায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো,
(1914 সালে প্রতিষ্ঠিত)
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
গোকুলখালী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৭)
১৮৬২ সালে কলকাতার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে রেল পথে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে আলমডাঙ্গার যোগাযোগ সুবিধাজনক থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩৫টি হাট-বাজার রয়েছে। এ সকল হাটে বিভিন্ন ধরনের পশু, কৃষি পণ্য, তামাক, ভুট্টা প্রভৃতি ব্যাপক আমদানী ঘটে থাকে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ১৫০টি চালের মিল রয়েছে। মিলগুলো থেকে উৎপাদিত চাল উপজেলার অভ্যন্তরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রায় ২৫% লোক ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.