ইথিওপিয়ার ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইথিওপিয়া আফ্রিকার প্রাচীনতম দেশগুলির মধ্যে একটি।[1] ইথিওপিয়ান সভ্যতার উত্থান হাজার হাজার বছর আগে। আবিসিনিয়া বা "জে ইটিওপিয়া" নামে পরিচিত রাষ্ট্রটি আমহারা, তিগ্রায়ান এবং কুশিটিক আগাও দ্বারা গঠিত সেমেটিক অ্যাবিসিনিয়ানদের (হাবশি) দ্বারা শাসিত হয়েছিল। ইথিওপিয়ান উচ্চভূমির পূর্ব স্কার্পমেন্ট এবং নিম্নভূমি ছিল হারারি/হার্লাদের আবাসস্থল যারা ইফাত, আদাল এবং আফারসের মতো সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিল। মধ্য ও দক্ষিণে প্রাচীন সিদামা এবং সেমেটিক গুরেজ ছিল অন্য অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য বসবাসকারী জাতিসমূহের অন্তর্ভুক্ত। খ্রিস্টপূর্ব দশম শতকে স্থাপিত ডি'এমটি রাজ্য ছিল এই ভূখণ্ডে ক্ষমতায় উত্থাপিত প্রথম রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। তারা ইয়েহাতে রাজধানী স্থাপন করেছিল। খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে আকসুমাইট রাজ্য আধুনিক টাইগ্রে অঞ্চলে তার রাজধানী আকসুমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় এবং লোহিত সাগর অঞ্চলে একটি প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়। তারা দক্ষিণ আরব, মেরো এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে বশীভূত করে। চতুর্থ শতাব্দীর প্রথম দিকে, এজানার রাজত্বকালে খ্রিস্টধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়। ইজানার রাজত্বের সময় থেকে আকসুমাইটরা প্রথম নিজেদেরকে "ইথিওপিয়ান" হিসেবে পরিচয় দেয়। অল্প কিছু দিন পরেই প্রথম বিদেশি লেখক হিসেবে ফিলোস্টরজিয়াস আকসুমাইটদের ইথিওপিয়ান বলে অভিহিত করেন।[2] আরব উপদ্বীপে ইসলামের উত্থানের মাধ্যমে আকসুমাইট সাম্রাজ্যের পতন ঘটে, যা ধীরে ধীরে খ্রিস্টান আকসুম থেকে বাণিজ্যকে দূরে সরিয়ে দেয়।[ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ] এটি শেষ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, এর অর্থনীতি শ্লথ হয়ে যায় এবং এই অঞ্চলে আকসুমের বাণিজ্যিক আধিপত্য শেষ হয়।[3] আকসুমাইটদের পর জাগওয়ে রাজবংশ ক্ষমতায় আসে, যারা ১৩ শতকে সলোমনিক রাজবংশের ক্ষমতায় আরোহণ করার আগে লালিবেলায় একটি নতুন রাজধানী স্থাপন করেছিল। প্রাথমিক সলোমনিক যুগে ইথিওপিয়া সামরিক সংস্কার এবং সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল, যার ফলে তারা আফ্রিকার হর্নে আধিপত্য বিস্তার করার সুযোগ লাভ করে।