Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পৃথিবীতে অতিবারী অরণ্য অধিক নয়। এগুলো বিভিন্ন ঝড়-সাইক্লোন-টর্নেডো-হারিকেন এবং অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অরণ্য পুনরায় বনায়ন করতে হয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়।স্থানীয় মানুষকে বন সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ, বন নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করে এবং গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে এনে এসব অতিবারী অরণ্যের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব।[1] জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পৃথিবীর বায়ু পরিশোধন তথা মানুষের বেঁচে থাকার স্হায়িত্ব বৃদ্ধিতে এবং পৃথিবীকে মানুষের উপযোগী রাখতে এসব অরণ্য সংরক্ষণের বিকল্প নেই।[2]
পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ প্রকৃতি ভালবাসে। একেকটি অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রকৃতি একেকরকম। সর্বত্র পর্যটকদের ভিড় হলেও সংরক্ষিত অরণ্য তথা সবুজ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে মানুষের আকর্ষণ একটু বেশীই থাকে। অতিবৃষ্টির অরণ্য গুলোতে সবুজ পর্যটন কেন্দ্র গড়লে মানুষের মনন সংস্কারে তথা মানসিক চাপ কমানো, দৃষ্টি প্রসারণ, ভাবনা ও কল্পনার উন্নয়ন তথা মস্তিষ্কের উন্নয়নে সহায়ক হবে।সবুজ পর্যটন হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ভ্রমণ করানো; যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে অরণ্য রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। [3] বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সবুজ পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে সুন্দরবন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অতিবারী অরণ্য হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন। এটি সবুজ পর্যটন খাতে অন্তর্গত।[4]
আমাজন বন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন। এটিকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়ে থাকে।এটি পৃথিবীর জন্য আর্শিবাদ। কিন্তু বৃক্ষ নিধন,দাবানল, টর্নেড়ো, সাইক্লোন,ঝড় ও অতি বৃষ্টির কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দক্ষিণ আমেরিকান দেশ গুলো , বিভিন্ন অরণ্য সংরক্ষণ সংগঠন ও এটিকে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে।[5]
কঠোর ভূমি ব্যবহারের বিধিমালা বাস্তবায়ন এবং সুরক্ষিত অঞ্চল তৈরি করে বন উজার করাটা ধীর করা হয়েছে।[6] অতিবারি অরণ্য ধ্বংসের উদ্বেগজনক হারের কারণে ঘটে চলা গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন, আমাজন অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অবদানকারীদের মধ্যে একটি। ব্রাজিলের জাতীয় সরকার জাতীয় নীতির সাথে উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্যবিশিষ্ট নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় আরও বৃহত্তর উপায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে।[5] শুধুমাত্র ২০০৯ সালে ব্রাজিল একটি সমস্যা স্বীকার করে এবং ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৩৬-৩৮ শতাংশ হ্রাস করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে, যেন বাতাসে নির্গত গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস করা যায়।
অতিবৃষ্টি অরণ্যের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার আরেকটি উপায় হচ্ছে পৃথিবীতে গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনা।
কিয়োটো প্রোটোকল দেশ গুলোকে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে নির্দিষ্ট সময় ও লক্ষ্য বেঁধে দিচ্ছে । বিশ্বের সিংহভাগ দেশ এটিতে স্বাক্ষর করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সহ অনেক দেশ এড়িয়ে যেতে এটিতে স্বাক্ষর করেনি।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল এটিতে স্বাক্ষর করে এবং অনুমোদন করে।[7]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.